স্পিনিং সেক্টরে আমাদের সবার আগে যে মেশিনের নাম মাথায় আসে সেটা হচ্ছে Blow Room। এর কাজ হচ্ছে কটন বেল থেকে বেল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে কটনকে আলগা করে। মূলত এর কাজ তিনটি। যথাক্রমে ওপেনিং, ক্লিনিং এবং মিক্সিং। বর্তমান বাজারে প্রধানত দুটি কোম্পানির blow room মেশিন বেশি চলে। একটি হচ্ছে Reiter এবং অন্যটি হচ্ছে Trutzchler।আজকে আমার আলোচ্য বিষয় হচ্ছে এই Reiter Blow room মেশিন নিয়ে।এই Reiter blow room আবার কয়েকটি অংশে বিভক্ত।সেগুলো হচ্ছে…
১। ইউনিফ্লক
২। হেভি পার্টিকেল সেপারেটর
৩। আর্গাস
৪। ইউনিক্লিন
৫। ইউনিমিক্স
৬। ইউনিস্টোর
৭। ভিশন শিল্ড এবং ম্যাজিক আই
৮। কন্ডেনশার
ইউনিফ্লক :: মূলত কটন বেল ওপেন করার কাজ করে থাকে
হেভি পার্টিকেল সেপারেটর : ভারী বা বড় কোন অপদ্রব্য যেমন ইটের টুকরো, গাছের শিকর,বাকল ইত্যাদি থেকে থাকে তবে তা আলাদা করে ফেলে।
আর্গাস: এটি USAএর একটা টেকনোলজি।কটনে যদি আগুন লাগার মতো কোন দ্রব্য বা কিছু থেকে থাকে তবে তা দূর করতে এই টেকনোলজি ব্যবহার হয়।মূলত বড় ইন্ডাস্ট্রিতে এটা ব্যবহার হয়।
ইউনিক্লিন: কটনের মাঝে যদি কোন ময়লা থেকে থাকে তবে ইন্ডাস্ট্রি তার চাহিদা মতো একটি বা দুটি মেশিন দিয়ে এই ময়লা বা ডাস্ট দূর করে থাকে।
ইউনিমিক্স: সব কটন বেলে ভালো খারাপ মিলেই কটন থাকে।এই ভালো খারাপের সমন্বিত একটি ভালো কটন তৈরির জন্য কটন মিক্স করার প্রয়োজন হয় যার কাজ করে থাকে ইউনিমিক্স।
ইউনিস্টোর : ইউনিমিক্স এর আউটপুট এখানে জমা হয়।মূলত ইউনিমিক্স হতে প্রাপ্ত কটন কে এখানে স্টোর করাই এর কাজ।
ভিশন শিল্ড এবং ম্যাজিক আই: ভিশন শিল্ড এবং ম্যাজিক আই হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। কটনের মধ্যে বিভিন্ন কালারের ফাইবার দূর করার জন্য ভিশন আই ব্যবহার করা হয়। লাইট সেন্সর ব্যবহার করে ভিশন আই বিভিন্ন কালারের ফাইবার ডিটেক্ট করে থাকে এবং একই কালারের ফাইবার ডিটেক্ট করার জন্য ম্যাজিক আই ব্যবহার করা হয়।
কন্ডেনশার: ইহা ব্লোরুমের সর্বশেষ ধাপ। কার্ডিং সেকশনে কি পরিমাণ কটন প্রাবাহিত হবে তা নির্ধারণ করাই হচ্ছে কন্ডেনশারের প্রধান কাজ।
লেখকঃ
মো. হাসিবুল হাসান সুজন
শিক্ষার্থী, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি