বাসায় প্রাইভেট এর কথা বলে যখন আপনি পার্কে চলে যান। হঠাৎ সামনে বাবা পরে গেলে ইচ্ছে হয় না ইশ যদি অদৃশ্য হতে পারতাম এখন। কি হয়? কিন্তু এটাতো আসলে বাস্তব এ সম্ভব না।অনেকের কি এখন হ্যারি পটারের সেই ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’-এর কথা মনে পরছে? যেটার আড়ালে লুকালে আর কেউ দেখতে পারবে না। অনেকটা এমনই একটি চাদর যা গায়ে জড়িয়ে নিলেই আপনাকে কেউ দেখতে পারবে না
আপনাদের সেই ইচ্ছে একটু হলেও পূরণ করা সম্ভব । হে ঠিক পরলেন সম্ভব।
বিজ্ঞান এর অগ্রযাত্রায় প্রায় অনেক কিছু সম্ভব। ঠিক তেমনি সাম্প্রতিক আমেরিকার University of Californian এর একদল বিজ্ঞানী উদ্ভাবন করেছেন –
Ultra-thin invisibility skin cloak (চাদর) যা মানুষের অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার কাল্পনিক ইচ্ছাকে অনেকটাই বাস্তবে রূপান্তর করতে পারবে।
আমাদের আশেপাশে অনেক প্রানীই আত্মরক্ষার জন্য পরিবেশে নিজের রং পরিবর্তন করে বসবাস করে। এই চাদর ও ঠিক তেমনই যখন যেই পরিবেশ থাকে সেই পরিবেশ এর সাথে মিলিয়ে রং পরিবর্তন করে যাতে ছোট ছোট লাইট সেন্সিং সেল থাকে। এই কারনেই দূর থেকে এই জায়গায় কিছু আছে কিনা বুঝা যায় না।।।
Ultra-thin invisibility skin cloak কাপড় তৈরির উপাদানঃ এ চাদর তৈরি হয় ultrathin layer of nanoantennasa (gold block) একত্রিত করে যা ৮০ ন্যানোমিটার পাতলা হয়ে থাকে।
এই চাদর পরলে কেনও অদৃশ্য দেখায়ঃ
আমরা সবাই জানি আলো সাধারণত সরলরেখায় প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে পরে তখন আমরা সামনের জিনিসটা দেখতে পাই। এই চাদর এ ব্যাবহৃত করা Gold Blocks( Meta-engineered) এর মাধ্যমে বস্তু থেকে আলোকরশ্মি নির্গত হয় এই আলোকরশ্মি দিক পরিবর্তন করতে পারে যার ফলে সামনের বস্তুটি অদৃশ্য হয়ে যায়।।
এই চাদরের ব্যবহারঃ
এই চাদর এর সব থেকে বেশি ব্যবহার দেখা যাবে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাজ্য এবং কানাডার বিভিন্ন কোম্পানি সৈনিক দের জন্য এই অদৃশ্য চাদর তৈরি করা শুরু করেছে।
Meta-engineered ব্যাবহার করে এমন আরো অনেক ধরনের পোশাক বানানো যাবে । যদতে কেউ এই পোশাক পরে স্থির হয়ে দাড়িয়ে বা বসে থাকলে দূর থেকে তেমন কেউ বুঝবেই না।। বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের হাত ধরে ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি আরো উন্নত হবে বলে আশা করা যায়।
Reference: Wikipedia, bdprotidin.
Written By:
Fouzia Jahan Mita &
Faysal Mahmud Sezan
NITER 10th Batch.
Department of Textile Engineering.