।।মো:রাফি সারোয়ার, বুটেক্স প্রতিনিধি।। বাংলাদেশের টেক্সটাইল পড়ুয়া শিক্ষার্থিদের বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে টেক্সটাইল টুডে আয়োজিত টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্টের ৮ম আসর খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশের ক্রমবর্ধমান পোশাক শিল্পের ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য স্বভাবতই উদ্ভাবনী এবং নেতৃত্ব প্রদানকারী লোকদের প্রয়োজন হবে। সেই সাথে যারা নতুন ধারণা আনতে পারে এবং ভোক্তাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারে তারা এই প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে সফল হওয়ার সামর্থ্য রাখে।
টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাবের একটি উদ্যোগ। যার প্রতিপাদ্য বিষয় হলো স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রতিযোগীতার আয়োজন করা,যেখানে শিক্ষার্থীদের আধুনিক পদ্ধতিতে উদ্ভাবন (গবেষণা বা জ্ঞান তৈরি) প্রকল্পের মাধ্যমে সর্বশেষ উন্নয়নগুলি গ্রহণ করার জন্য প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দিয়ে ভবিষ্যতের নেতাদের প্রস্তুত করা।
টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাবের একটি উৎসাহী উদ্ভাবন সমন্বয় দল একটি ‘প্র্যাকটিক্যালি টেস্টেড ইনোভেশন মডেল’ ব্যবহার করে প্রকল্পগুলির কার্যকর ফলাফল নিশ্চিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় সেন্ট্রো টেক্স লিমিটেড প্রেজেন্টস টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট, পাওয়ার্ড বাই আর্কোমা, ৮ম বারের মত আয়োজন করতে যাচ্ছে টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাব।
এই আয়োজনের প্ল্যাটিনাম স্পন্সর হলো ডাইসিন গ্রুপ এবং জয় কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড। তাছাড়া আপনা অর্গানিকস প্রাইভেট লিমিটেড থাকছে অ্যাওয়ার্ড মানি স্পন্সর হিসেবে এবং কোয়ালিটি পার্টনার হিসেবে থাকছে এস জি এস বাংলাদেশ লিমিটেড।
তাছাড়া দেশ জুড়ে সম্ভাব্য উদ্ভাবনী মাস্টারমাইন্ডদের একই ছাদের নিচে জড়ো করতে গত ১১ আগস্ট (শুক্রবার) ডাইসিন গ্রুপের বিজয়নগর অফিসে ‘ ইন্সপায়ারিং ইনোভেশন ‘ নামক একটি ক্যাম্পাস সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে ১৭ টির বেশি ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে, যারা টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্টের ৮ম আসরের ক্যাম্পাস এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে এবং সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলো কাজ করবে ইমপ্লিমেন্টেশন পার্টনার হিসেবে।
উল্লেখ্য,টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্টের গত (৭ম) আসরে টেক্সটাইল টুডে ৩০০ জন পেশাদার এবং বিশেষজ্ঞকে শিল্প উদ্ভাবন বাস্তবায়নে জড়িত করে ১০০ টি প্রকল্প প্রদান করেছে।