তুলা সবচেয়ে বেশি ব্যবহারিত ফাইবার । টেক্সটাইল ফাইবারের মধ্যে ৫০% এরও বেশি তুলা ফাইবার । তুলা চাষকে পরিবেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক চাষ বলে মনে করা হয় । সাধারনভাবে তুলা চাষ করতে প্রচুর পরিমাণে টক্সিক কেমিক্যালের ব্যবহার করতে হয় । এতে মানুফেকচারিং এ খরচ কমলেও, কীটনাশকের ব্যাবহার পরিবেশ ও চাষী উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। তুলা চাষে অত্যাধিক পরিমাণে পানি ও সারের প্রয়োজন পরে ।পৃথিবীর মোট আবাদি জমির ২.৫ % এ তুলা চাষ করা হলেও মোট ব্যাবহ্রিত সারের ১৬% এর বেশি ব্যবহার হয় তুলা চাষে ।
জমিতে ব্যাবহৃত নাইট্রেট সার পরবর্তীতে নাইট্রাস অক্সাইড N20 (লাফিং গ্যাসে )পরিনত হয় যা একটি গ্রিনহাউজ গ্যাস এবং যার ক্ষতিকারক প্রভাব কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় ৩০০ গুন বেশি ।
অন্যদিকে গড়ে মাত্র ১ কেজি তুলা উৎপাদনে পানির প্রয়োজন পরে প্রায় ২০০০০ লিটারের মত । মধ্য এশিয়ার এরাল লেক শুকিয়ে যাওয়ার কারন হিসেবে তুলা চাষ কে মনে করা হয় । কারন এ অঞ্চলের পানি সেঁচের ৬০% এর বেশি খরচ হয় তুলার চাষের পেছনে ।
এসব বিরূপ প্রভাবের দরুন উন্নত ও সাব ট্রপিক্যাল দেশ গুলোতে অরগানিক তুলার চাষ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।সেখানে ইন অরগানিক তুলা উৎপাদনে তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলো এগিয়ে যাচ্ছে কারন এসব দেশে পরিবেশ দূষণের তোয়াক্কা করা হয় না । গত পাঁচ বছরে আমেরিকা ও কানাডাতে অরগানিক তুলার চাষ ২৬% করে বেড়েছে ।
এক্ষেত্রে চাষের জমি প্রস্তুত করতে কমপক্ষে দুই বছরের মত সময় লেগে যেতে পারে । শুধু তাই নয় জলবায়ু,মাটি ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক্ষম জাতও বেছে নিতে হবে । তুলা গাছের ফাকে ফাকে সয়াবিন,সিম ও মটরশুঁটির মত গাছ লাগাতে হবে গেগুলো মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমান বাড়াবে, এভাবে বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে ।
মূল লেখাঃ Mohammad Sakerun Alam (ফেসবুক থেকে)