আমাদের এ আধুনিক বিশ্বে প্রতিদিন যেমন চ্যলেঞ্জিং কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঝুকিও।আর এসব ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে বিশেষ পরিধান করা অত্যাবশ্যক। উদাহরণ স্বরুপ, “একটি রাসায়ানিক কারখানায় যে ব্যাক্তি কাজ করেন সে ব্যাক্তি ঐ রাসায়ানিক দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এ থেকে সুরক্ষা জন্য রাসায়ানিক প্রতিরোধী পোশাক পরতে হবে “।
এসব ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কর্মচারীদের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে দিকে লক্ষ রাখা নিয়োগ কর্তারই দায়িত্ব। ক্ষতিকারক বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ব্যাক্তিগত সুরক্ষা পোশাক পরিধান করা উচিত। নিচে ধাপে ধাপে কিছু সুরক্ষা পোশাকের তালিকা দেওয়া হলো:-
১.সশস্ত্র বাহিনীর জন্য রক্ষাকারী পোশাক।
২.তাপ ও শিখা প্রতিরোধী পোশাক।
৩.স্পেশ শাটল সুরক্ষা পোশাক।
৪.কয়লার খনিতে কাজের সুরক্ষা পোশাক
৫.রেসিং ড্রাইভারের জন্য সুরক্ষা পোশাক ৬.উজ্জ্বল তাপ প্রতিরোধী পোশাক।
৭.ফায়ার ব্রিগ্রেড এর জন্য সুরক্ষা পোশাক।
★সশস্ত্র বাহিনীর জন্য :- আমরা সাধারনত জানি যে সশস্ত্র বাহিনীর সেনারা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে থাকেন। যেমন নৌ বাহিনীর অনেক কামান্ডো আছেন যাদের অনেকক্ষণ পানির নিচে থাকতে হয়,এক্ষেত্র যদি তাদের পোশাক ওয়াটার প্রুফ না হয় তবে পানিতে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন এমনি পানিতে অনেক সময় থাকার ধরুন ত্বকের এপিথেলিয়াল কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তদ্রুপ সেনা বাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট এর জন্যও প্রয়োজন সুরুক্ষা পোশাক।
★রাসায়ানিক প্রতিরোধী পোশাক:- রাসায়ানিক প্রতিরক্ষামূলক বস্ত্র এর প্রধান উদ্দেশ্য হল বিপজ্জ্বন রাসায়ানিক পদার্থ থেকে রক্ষা করা। বিভিন্ন রাসায়ানিক বিক্রিয়ার সময় এক্স-পোজার ঘটে যা খুবই ক্ষতিকর। আর যদি রাসায়ানিক সুরুক্ষা পোশাক পরিধান করে এসব রাসায়ানিক অপারেশন চালানো হয় তবে এসব এক্সপোজার থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও বিভিন্ন জৈবিক রাসায়ানিক বিপদ রয়েছে যেমন X-ray,UV,etc..
★ তাপ ও শিখা প্রতিরোধী পোশাক:- অনেক ইন্ড্রাস্ট্রিজ বা কর্মক্ষেত্র আছে যেখানে প্রচুর তাপমাত্রায় কাজ করতে হয়। আর এ অতিরোক্ত তাপমাত্রায় কাজ করার জন্য তাদের অনেকে অনেক সমস্যা বা শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন যা একেবারেই কাম্য নয়। অনেকে হাইপোথারমিয়া’তে আক্রান্ত হতে পারেন।তাই তাপ প্রতিরোধের জন্য হিট সেনসিটিভ পোশাক পরিধান করতে হবে।
★কয়লা খনির জন্য প্রতিরক্ষমূলক পোশাক:- কয়লা খনিতে কাজ করার জন্য ইন্ডিয়ান জুট ইন্ডাস্ট্রিজ রিসার্চ এসোসিয়েশন(IGIRA) দ্বারা এক ধরনের শিখা প্রতিরোধী কাপড় উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ ফ্যাব্রিকটি সাধারণত 183 থেকে 247cm প্রশস্ত কম্পাক্ট বোনা এবং কম বায়ু ব্যাপ্তিযোগ্য গুন সম্পন্ন। উক্ত ফ্যাব্রিকটি কয়লাখনির জন্য খুবই উপযোগী, নিরাপদ এবং আরামদায়ক। পরিশেষে এটা সহজেই অনুমেয় দৈনন্দিন জীবনে আত্মরক্ষর্থে টেক্সটাইল কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।শুধু আত্বরক্ষার্থেই নয় প্রত্যহিক জীবনের সর্বক্ষত্রেই টেক্সটাইল আজ অগ্রগামী।সুতরাং এ আশা রাখতেই পারি,”যে আগামী বিশ্বটা হবে আমাদের বিশ্ব, বিশ্বটা হবে টেক্সটাইলের বিশ্ব।” লেখক:-
মোঃ তানভীর হোসেন সরকার
ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।(নবম ব্যাচ) জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষনা ইনস্টিটিউট।
4