শুনতে খুব অবাক লাগছে তাই না? হ্যা ঠিকই শুনেছেন আপেল থেকেও তৈরি হচ্ছে চামড়া
অ্যালবার্টো ভলকান আবিষ্কার করছিলেন এটি,
সর্বপ্রথম ইতালিতেই শুরু হয়েছিলো তার গল্পটি|প্রথমে মুলত এটি 15% আপেল বর্জ্য ব্যবহারে তৈরি হয়েছিলো|
হয়তোবা এটা ছিলো শুরু, কিন্ত এর সম্ভাবনা ছিলো ব্যাপক
চলুন এবার এর উৎপাদন সম্পর্কে কিছু বলা যাক।
উৎপাদনঃ
৫০% আপেল খোসা এবং ৫০℅ পলিউরিথেন থেকে তৈরি করা হয় আপেল লেদার।
উত্তর ইতালির টাইরাল অঞ্চলে প্রচুর পরিান আপেল জন্মে।
এই আপেলগুলো রস অথবা জ্যাম তৈরির সময় আপেলের বীজ, ডালাপালা এবং চামড়া ব্যবহার করা যায় না। ফলে পরিত্যক্তবাকিগুলো ফেলে দেয়া হয়।
এবং ফ্রুমেট এই ফেলে দেয়া পরিত্যাক্ত আপেলের ক্র্যাপগুলো সংগ্রহ করে এবং আপেলের রসে পরিনত হওয়ার পর বাকিগুলোপিষে ফেলা হয় এবং পরে প্রাকৃতিকভাবে একটি সূক্ষ্ম গুঁড়োতে শুকানো হয়। এবং এই গুড়ো গুলোকে এক ধরনের রজনের সাথেমিশ্রিত করা হয় যা মূলত শুকনো এবং চূড়ান্তভাবে একটি বস্তুর মধ্যে রেখে দেয়া হয়।
এবং এই চূড়ান্ত উপাদানের ৫০% হলো আপেল এবং বাকি উপাদানগুলো হলো রজন যা গুড়াগুলোকে একসাথে করে। এবং এইরজন এবং গুড়াগুলো একত্রে মিশে তৈরি করা হয় এই প্রাকৃতিক চামড়া।
এবার তাহলে এর ব্যবহার দেখা যাক,
প্রথম দিকে আপেল লেদার থেকে সর্বপ্রথম তৈরি করা হয়েছিলে জুতার নানা কালেকশন।
বর্তমানে এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে লক্ষ করা যায় জুতা, ব্যাগ ছাড়াও নানান ধরনের উন্নতমানের জিনিসপত্র তৈরি করা হয়।
আপেল এর থেকে প্রাপ্ত চামড়া এটি পরিবেশবান্ধব, এটি পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকারক নয়। এবং এর সুবিধা হলো, এটি টেকসই, UV প্রতিরোধক, হাইপোলেজেনিক এবং ১০০% জীবানুমুক্ত।
দিন দিন সবকিছুতেই ঘটছে পরিবর্তন। সেখানে যুক্ত হচ্ছে নানান সব চোখ ধাধানো আবিষ্কার।
এটিও তার ব্যতিক্রম নয়। হয়তো আমরা কখনো কল্পনাও করিনি যে আপেল থেকেও তৈরি হবে চামড়া। কিন্তু আধুনিক বিশ্ব তাকরে দেখিয়েছে।
প্রতিনিয়ত সব কিছুতেই যুক্ত হচ্ছে নতুনত্ব। দিন শেষে বলাই যায় যুগের বিবর্তনে মানুষ ও হয়ে উঠছে আধুনিক। আর আমরাপাচ্ছি নতুন নতুন আবিষ্কার।
সোর্সঃ
sustainably-chic.com
veerah.com
olivercompanylondon.com
এবং বিভিন্ন বই।
Writer’s Information
Atiqur Rahman
E-mail: [email protected]
Mymuna Akter
E-mail: [email protected]
Md. Hasibul Islam Akash
E-mail: [email protected]
Kanij Afrose Rothy
E-mail: [email protected]
Department of Textile Engineering
Green University Of Bangladesh