বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও উন্নত রাষ্ট্র ধরা বলতে আমেরিকার নামটিই উঠে আসে । যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জাপানের পাশাপাশি আমেরিকা-ও ফ্যাশনে শীর্ষস্থানীয় দেশ।
আমেরিকানদের সংস্কৃতি তাদের পোশাকের মধ্যে প্রতিবিম্বিত হয়, বিশেষত কাবাবের টুপি, বুট, জিনস এবং চামড়ার মোটরসাইকেলের জ্যাকেটগুলো আমেরিকান শৈলীর প্রতীকী।
আমেরিকার ফ্যাশন শিল্পের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে নিউইয়র্ক সিটি ও লস আঞ্জেলেস। তারা নেতৃস্থানীয় ফ্যাশন রাজধানী হিসাবে বিবেচিত হয় আমেরিকাতে। প্যারিস,মিলান ও লন্ডনের পাশাপাশি নিউইয়র্ককেও গ্লোবাল ফ্যাশন রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
শীতে আমেরিকায় বেশীরভাগ রাজ্যে তুষারপাত হয় যেকারণে নারী পুরুষ উভয়েই বুট-জুতো,ভারী জ্যাকেট,হাত মোজা, জিন্স/ডেনিম প্যান্ট এবং টুপি পরিধান করে। আর গ্রীষ্মকালে পরিধান করে শার্ট সঙ্গে লুজ পায়জামা, ডিভাইডার, টি-শার্টসহ স্কার্ট। বাচ্চারা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, সঙ্গে সুতি গেঞ্জি পরিধান করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে যেসব পোশাক আমদানি করে:
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা জিন্সের শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, জিন্সের স্কার্ট, স্পোর্টস ওয়্যার, জগিং ওয়্যার,সুইমিং ওয়্যার, বিকিনি, স্লিপিং ওয়ার, থ্রি কোয়ার্টার, টি শার্ট, পলো টি শার্ট ইত্যাদি আমদানি করে থাকে।
বিশ্ববিখ্যাত আমেরিকান ডিজাইনার লেবেলের তালিকা:
রালফ লরেন কর্পোরেশন, ক্যালভিন ক্লেইন, মাইকেল করস, আলেকজান্ডার ওয়াং, ভেরা ওয়াং, মার্ক জ্যাকবস, অস্কার ডি লা রেন্টা, ডায়ান ভন ফার্স্টেনবার্গ, ডোনা করান, এবং ভিক্টোরিয়ার সিক্রেটের মতো অনেক শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনার লেবেলের সদর দফতর। প্রতি বছর গ্রীষ্মের শেষের দিকে নিউ ইয়র্কে ফ্যাশন সপ্তাহও হয় যা বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ফ্যাশন সপ্তাহ।
2021 সালের হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 13,592 টেক্সটাইল মিলের ব্যবসা রয়েছে, যা ২০২০ থেকে -১.৯% হ্রাস পেয়েছে।
ফ্যাশন ট্রেন্ডে দেখে সহজেই বুঝা যায় আমেরিকানরা পোশাকের ক্ষেত্রে কতটা রুচিশীল এবং তারা আধুনিকতার সাথে সাথে পরিবর্তন মেনে নিয়ে নিজেদেরকে রেখেছে অনন্য উচ্চতায়।
Source: Google
Writer Information:
Touhiduzzaman Tonmoy
Department of Textile Engineering
BGMEA University of Fashion & Technology
Batch:201