Saturday, December 21, 2024
Magazine
More
    HomeBusinessআসন্ন মন্দাকে পাত্তা না দিয়ে, ৪০০ কোটি ডলার নতুন বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত...

    আসন্ন মন্দাকে পাত্তা না দিয়ে, ৪০০ কোটি ডলার নতুন বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত পোশাক ও বস্ত্র খাত

    সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম এর একটি শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। আগামী মাসে বিশ্বের আরেকটি শীর্ষ ব্র্যান্ড- প্রাইমার্কের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে আসছেন। বাংলাদেশের নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন- বিকেএমইএ- এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম টিবিএসকে জানান, প্রাইমার্কের প্রতিনিধিরা পোশাক খাতের দুটি সংঠনের সাথে বৈঠক করবেন।

    উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে অর্থনীতিবিদ ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞরা বিশ্ব অর্থনীতি মন্থর হয়ে পড়ার সতর্কতা দিচ্ছেন ক্রমাগত। এর মধ্যে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম কমিয়ে আনার মতো পদক্ষেপ নিলেও বাংলাদেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিপুল বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংঠন বিজিএমইএ এবং টেক্সটাইল মিল মালিকদের সমিতি (বিটিএমএ) সূত্র, ২০২৪ সাল নাগাদ এখাতে আরও উচ্চ সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে ৪০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ পাইপলাইনে রয়েছে বলে জানিয়েছে। এছাড়া, ১০০ কোটি ডলারের নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথাও জানা গেছে। এর মধ্যে শুধু একটি কোম্পানিই করবে ৭০ কোটি ডলার। এসব বিনিয়োগের সুফল চলতি বছর থেকেই পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    এবিষয়ে আরও জানতে ১২ জন উদ্যোক্তার সাথে আলাপ করা হয়েছে । তাদের ৯ জন জানিয়েছেন, তারা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ করবেন।

    ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র এখন চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছে। ফলে পশ্চিমা ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বা বায়ারদের মধ্যে অন্য উৎস থেকে সংগ্রহের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আর এই সুযোগ গ্রহণ করাটাই হলো নতুন বিনিয়োগের পেছনে প্রধান উদ্দেশ্য। এরমধ্যেই চীন থেকে সরে অনেক কার্যাদেশ বাংলাদেশে আসছে। ফলে চাহিদা বাড়ায়, পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে বিনিয়োগও বাড়বে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ-ভিত্তিক ক্রোনি গ্রুপ এরমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে। বর্তমানে তাদের ২৫ হাজার শ্রমিকের কারখানাকে আগামী এক বছরে ৪০ হাজার শ্রমিকের কারখানায় রূপান্তর করছে, যাতে নন-কটন পোশাকও তৈরি করা হবে।

    ক্রোনি গ্রুপের চেয়ারপার্সন নীলা হোসনে আরা বলেন, আমাদের কিছু বায়ার চীনে তাদের অর্ডারের অংশ কমিয়ে, এখানে বাড়াচ্ছেন। খ্যাতনামা ব্র্যান্ড টম টেইলর এর উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্র্যান্ডটি চীন থেকে সোর্সিং কমিয়ে আমাদের এখানে বাড়াচ্ছে। কিছু ইউএস বায়ারও এখানে অর্ডার বাড়াচ্ছে। আমরা আশা করছি, পরবর্তী বছরগুলোতেও তা অব্যাহত থাকবে। এজন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছি’।

    ক্রোনি গ্রুপের মতোই পোশাক ও বস্ত্র (টেক্সটাইল) খাতের অন্যান্য কোম্পানি ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। পোশাক খাতের আরেকটি বড় প্রতিষ্ঠান ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ জব্বার জানান, ক্রেতারা চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাচ্ছে, ভবিষ্যতেও কমাবে। ‘অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের কনফিডেন্স (আস্থা) বেড়েছে। ফলে আমাদের সামনে সুযোগ অপেক্ষা করছে’। ২০২৩ সাল বিনিয়োগের বছর হওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরবর্তী বছরগুলোর সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বিনিয়োগ করতে হবে। এবিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে একটি শিক্ষালাভের কথাও তুলে ধরেন এমএ জব্বার।

    যেমন ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোটামুক্ত সুবিধা উঠে যাওয়ার ফলে যে সংকট দেখা দেয়, অনেক উদ্যোক্তা সে সময়েও পোশাক খাতে (বস্ত্র ও এক্সেসরিজে) বিনিয়োগ করেন। তার মতে, ‘হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না। কোটা উঠে যাওয়ার সময় যারা বিনিয়োগ করেছেন, তারা পরে লাভ করেছেন ‘। এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৪ সালে যখন কোটা উঠে যায়, তখন দেশের বাজারে শুধু অনিশ্চয়তার কথাই হচ্ছিল। তারপরও আমরা বিনিয়োগ বৃদ্ধি করি। এমনকী ১/১১- এর রাজনৈতিক গোলযোগের সময়েও আমরা বিনিয়োগ বাড়িয়েছি। কারণ, আমরা জানতাম– অন্ধকার রাতের পরেই উজ্জ্বলতম দিন আসে’। এখাতের ব্যবসায়ী নেতারা জানান, কারখানাগুলো অতিরিক্ত অর্ডার করতে পারবে কিনা– ইতোমধ্যেই সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন বায়াররা।

    সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলা সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম এর একটি শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। আগামী মাসে বিশ্বের আরেকটি শীর্ষ ব্র্যান্ড- প্রাইমার্কের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে আসছেন। বাংলাদেশের নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন- বিকেএমইএ- এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম টিবিএসকে জানান, প্রাইমার্কের প্রতিনিধিরা পোশাক খাতের দুটি সংঠনের সাথে বৈঠক করবেন। তিনি বলেন, বায়াররা চীন থেকে পোশাকের ব্যবসা কিছুটা কমিয়ে অন্য দেশগুলোতে নিচ্ছে। বাংলাদেশেও আসছে। ‘আমাদের সামনে আগামী বছরগুলোতে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষত নিটওয়্যার খাতে’। এছাড়া, গত বছরের নভেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ প্রদর্শনীতে বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ব্যবসা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

    বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান টিবিএসকে বলেন, ওই প্রদর্শনীতে বিদেশি ক্রেতারা এদেশে ব্যবসা বৃদ্ধিতে তাদের আগ্রহের কথা বলেছেন।তবে ২০২৩ সালে বিশ্ববাজার ভালো যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা। এ বিষয়ে জানতে, বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানিকারক তিনটি বিদেশি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তাদের প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।

    কোনো কোনো উদ্যোক্তা ভবিষ্যতে বড় সম্ভাবনার সঙ্গে একমত নন। বিজিএমইএ’র পরিচালক ও লায়লা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক সক্ষমতা তৈরি হয়ে আছে। ২০২৩ সালে অন্য দেশ থেকে আসা অর্ডার পরিস্থিতি ভালো যাওয়ার সম্ভাবনা কম। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশই যায় ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে। রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টেগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‍্যাপিড) এর তথ্যমতে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক বাজারের প্রায় ২২ শতাংশ ছিল চীনের দখলে, যা ২০১০ সালে ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ। গত বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির পোশাক আমদানিকারকরা পরবর্তী দুই বছরে চীনের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে বেশি হারে পোশাক ক্রয় করতে আগ্রহী।

    চীনের হারানো বাজারের বেশিরভাগ দখলই গেছে ভিয়েতনামের কাছে। সেখানে বাংলাদেশের অংশ ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ২০১০ সালের প্রায় ৪৪ শতাংশ থেকে– ২০২১ সালে চীনের বাজার হিস্যা নেমেছে ৩০ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশের অংশ দ্বিগুণ হয়েছে। এই বাজারে ভিয়েতনামের হিস্যা তেমন বাড়েনি। বাজারের সম্ভাবনাময় অংশ ধরতে পোশাক প্রস্তুতকারকদের পাশাপাশি এক্সেসরিজ প্রস্তুতকারকরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

    সবার জন্যই আরও বেশি ব্যবসার সুযোগ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত মিথিলা টেক্সটাইল বিশ্বের খ্যাতনামা প্রায় ১০টি ব্র্যান্ডের কাপড় সরবরাহ করে স্থানীয় পোশাক কারখানাগুলোয়। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আজাহার হোসেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এক বায়ার আগে তাদের থেকে চাহিদার ৫ শতাংশ সরবরাহ কিনতেন, বাদবাকী অংশের বেশিরভাগই ছিলো চীন থেকে। তারা এখন আমাদের সঙ্গে ব্যবসা বাড়াতে চাচ্ছে। ‘তবে আমরা সময়মত সরবরাহ করতে পারবো কিনা– এনিয়ে তাদের উদ্বেগ আছে’। বাংলাদেশের গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মতি বলেন, এক্সেসরিজ খাত বর্তমানে পোশাক রপ্তানিকারকদের  বছরে ৭০০ কোটি ডলারের এক্সেসরিজ আইটেম দিচ্ছে। ‘যে সক্ষমতা তৈরি হয়েছে, তাতে বছরে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলারের সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব’। তিনি বলেন, বর্তমানে চাহিদার ১০ শতাংশের মত এক্সেসরিজ আমদানি করতে হয়। ‘এই অংশও সরবরাহ করার সক্ষমতা আমাদের আছে, কিন্তু বায়ারদের পছন্দের কারণে আমদানি করতে হয়’।

    ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা যেখানে উদ্যোক্তারা জানান, চীনের পোশাক রপ্তানির ৬৫ শতাংশই হলো নন-কটন, এদিকে বাংলাদেশেরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ জব্বার জানান, তার কোম্পানি এখন ব্লেন্ডেড সুতা (তুলা ও নন-কটনের মিশ্রণ) উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, স্পোর্টসওয়্যার, আউটওয়্যার এবং অন্তর্বাস সামগ্রীতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

    মিথিলা টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান আজাহার খান জানান, তার কোম্পানি সম্প্রতি ম্যান মেড ফাইবারের ফেব্রিকের একটি ইউনিট চালু করেছে। এছাড়া, কটনভিত্তিক আরেকটি ইউনিট চালুর কথা ভাবছেন তারা, কিন্তু গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অপেক্ষা করছেন। গত কয়েক বছরে নন-কটন টেক্সটাইলে বিনিয়োগ বাড়ছে এবং আরো বিনিয়োগ নিয়ে আসছেন উদ্যোক্তারা। নোমান গ্রুপ, এনভয় গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, ম্যাকসন্স গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ ও শাশা ডেনিমের মতো শীর্ষস্থানীয় স্পিনাররা এখন সিন্থেটিক ও মিশ্র সুতা উৎপাদনের স্থাপনা গড়ে তুলছেন। এনভয় টেক্সটাইলের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভবিষ্যৎ বাজার চাহিদা বিবেচনা করে, আমরা ১২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি সিন্থেটিক ব্লেন্ডেড সুতা উৎপাদন কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ করছি।

    নতুন ইউনিটটি দৈনিক ১২ টন সুতা উৎপাদন করবে’।খাত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিটিএমএ’র হিসাবের বামিথিলা টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান আজাহার খান জানান, তার কোম্পানি সম্প্রতি ম্যান মেড ফাইবারের ফেব্রিকের একটি ইউনিট চালু করেছে।এছাড়া, কটনভিত্তিক আরেকটি ইউনিট চালুর কথা ভাবছেন তারা, কিন্তু গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অপেক্ষা করছেন।গত কয়েক বছরে নন-কটন টেক্সটাইলে বিনিয়োগ বাড়ছে এবং আরো বিনিয়োগ নিয়ে আসছেন উদ্যোক্তারা। নোমান গ্রুপ, এনভয় গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, ম্যাকসন্স গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ ও শাশা ডেনিমের মতো শীর্ষস্থানীয় স্পিনাররা এখন সিন্থেটিক ও মিশ্র সুতা উৎপাদনের স্থাপনা গড়ে তুলছেন।

    এনভয় টেক্সটাইলের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভবিষ্যৎ বাজার চাহিদা বিবেচনা করে, আমরা ১২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি সিন্থেটিক ব্লেন্ডেড সুতা উৎপাদন কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ করছি।নতুন ইউনিটটি দৈনিক ১২ টন সুতা উৎপাদন করবে’।খাত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিটিএমএ’র হিসাবের বাইরে আগামী এক বছরে আরো প্রায় ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ আসছে টেক্সটাইল খাতে, যার একটি অংশ নন-কটন খাতে বিনিয়োগ হবে।এ খাতের শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা, বিশ্বমানের লজিস্টিকস সহায়তাসহ সার্বিক নীতি বিনিয়োগবান্ধব হলে–আরও বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসবেন। এমএ জব্বার মনে করেন, এ শিল্পে সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমর্থন, নীতিগত সংস্কার, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ও নীতি, লজিস্টিক সহায়তা যুগোপযোগী করতে হবে। কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। ‘আমি রেডি আছি, কিন্তু গ্যাস সাপ্লাই পেলাম না, তাহলে বিনিয়োগ ক্ষতির মুখে পড়বে।বিনিয়োগকারীদের প্রতিযোগী দেশগুলো কী ধরনের সুবিধা অফার করছে–তা দেখলে বোঝা যায় আমাদের কী করা দরকার। আমাদের বন্দর ও কাস্টম ব্যবস্থাতেও আধুনিকায়ন প্রয়োজন- বলেন তিনি।

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    সাজ্জাদ হোসেন সাকিব

    RELATED ARTICLES

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed