লিনেন এমন ফেব্রিক যার উল্লেখ আছে বাইবেলে।আজও বহুল পরিচিত এই ফেব্রিক্সটির আবিষ্কার হয়েছে বহু যুগ আগে। তাই একে পৃথিবী সব থেকে আদিম ফেব্রিক বলা হয়।
এই ফেব্রিক আজ কিংবা কাল আবিষ্কার হয় নি।প্রায় ৩০,০০০বছর আগেও এই ফেব্রিক্সের ব্যবহার ছিল।মিশর এবং দক্ষিণ ইউরোপে এই ফেব্রিক ব্যবহার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।মিশরের পিরামিডের মমি গুলো যে কাপড় দিয়ে জড়ানো তা আর অন্য কিছু না লিনেন ফেব্রিক।ফ্রান্স,ইতালি,বেলজিয়ামের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হতো এই ফ্লেক্স।এই ফসল থেকে আলাদা করা হতো বীজ আর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সেই ফাইবার থেকে তৈরী হতো কাপড়।১৮শতকের দিকে লিনেন ছিল ইউরোপ এর অন্যতম অর্থনৈতিক হাতিয়ার যার প্রভাব ছিল অনেক বছর অব্দি।যার প্রভাব পড়েছিল আমেরিকার তেও।এইভাবে ইংল্যান্ড ও জার্মানির শিল্প উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে এর উৎপাদন।১৯শতকে রাশিয়া প্রায় ৮০%ফ্লেক্স ফাইবার উৎপাদন করে যার প্রভাব ছিল তাদের সম্পূর্ণ অর্থনীতি জুড়েই। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ছিল লিনেনর ব্যাপক ব্যবহার।আয়ারল্যান্ডে মূলত তৈরী হতো ব্যাপকহারে।ভারত উপমহাদেশে এই ফেব্রিক্স এসেছে মিশরের হাত ধরে।কিন্তু পচ্ছন্দের তালিকাতে লিনেন এগিয়ে আছে সেই শুরুর দিক থেকেই।এর খুবই চাহিদার পাশাপাশি এই ফেব্রিক্স ছিল খুবই দামি। এই লিনেন শব্দটির অনেক প্রচলিত মানে থাকলেও সবচেয়ে ব্যবহৃত মানে হল লাইন।এই কাপড় তৈরি হয় সুতা গুলোকে সারিবদ্ধ বা লাইন আকারে সাজিয়ে যা একে করে তুলে শক্তিশালী।এই ফেব্রিক্স কটন ফেব্রিকস থেকেও শক্তিশালী।এর পানি শোষণের ক্ষমতাও অনবদ্য।বিভিন্ন রংয়ের সাথে মেশার ক্ষমতা এনেছে বৈচিত্র্যতা এর ব্যবহারের তালিকাতে।তবে ভাজ পড়ার প্রবণতা দেখা যায় এই ফেব্রিক্সটিতে।আগে এই ফেব্রিক্স এর প্রচলন থাকলেও এখন এর ব্যবহার আগের ইতিহাস ছাড়িয়ে গিয়েছে।লিনেন এর সাথে কটন মিশিয়ে নতুন এবং আরও উন্নত ফেব্রিকস তৈরি করা হচ্ছে।
এর বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে জীবনব্যাপী।প্রতিদিনের ব্যবহৃত জিনিস পত্র এবং ঘর সাজানোর কাজেও এর ব্যবহার লক্ষণীয়।শুকনো ফ্লেক্স সীড বা শণ বীজ থেকে তৈরী এই ফেব্রিক এর বিশেষ গুণাগুণের জন্য আজও পরিচিত।এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য যেমন মজবুত কাঠামো,সহজে রং শোষণের ক্ষমতা একে টিকিয়ে রেখেছে যুগের পর যুগ।
Source : Wikipedia, Google scholar
নামঃ চৈতি পাল
সেমিস্টারঃ২য় বর্ষ,প্রথম সেমিস্টার
ব্যাচঃ ৩৯
আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়