সাজ্জাদুল ইসলাম রাকিব (নিজস্ব প্রতিবেদক)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও আবেগের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে প্রধান ফটক। বিশ্ববিদ্যালয় (নিটার) প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিলেও হয়নি তার বাস্তব প্রতিফলন। ফলে ফটক নিয়ে প্রায়ই বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল। অবশেষে পূরণ হলো শিক্ষার্থীদের বহুল প্রত্যাশিত নিটার মূল ফটকের দৃশমান কাজ। আজ বেলা ১১ টায় উদ্ভোদন করা হলো নিটার মূল ফটকের কাজ। উক্ত উদ্ভোদনী যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ সাধারণ কর্মচারীগন।
মূল ফটক নির্মানের নিমিত্তে আগ্রহীদের কাছ থেকে নকশার আইডিয়া (Conceptual Drawing) আহবান করা হয়েছিল। চলতি বছরের শুরুতে নিটার মূল ফটকের ডিজাইন প্রদান করার জন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে অফিসিয়াল নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশ টি ছিল এই যে, নকশার আইডিয়া অবশ্যই মৌলিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। প্রাপ্ত নকশার আইডিয়া থেকে বাছাই কমিটি ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের দ্বারা চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নের মাধ্যেম পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্মক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। অবশেষে প্রায় ৪০ টি ডিজাইন বাছাইকরণ থেকে নির্বাচিত হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী কে. এম আহসান জামান (টিই-১৯০৯১৫৯) এর করা মূল ফটকের ডিজাইন টি।
ফটক দৃশ্যমান হবার পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে ১৭.৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই ক্যাম্পাসটি। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সাভারের নয়ারহাটে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (টিআইডিসি) নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা নিটার নামেও পরিচিত।
১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে জাতীয় বস্ত্র নকশা প্রণয়ন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র বা নিট্রেড প্রকল্প গ্রহণ করা হয়; এই প্রকল্প ২০০৭ সালে শেষ হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৯ সাল হতে কার্যকরীভাবে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।
২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষ হতে নিটারে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬ টি বিভাগ চালু রয়েছে উক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে।