গতকাল সুইডিশ খুচরা জায়ান্ট H&M তার পোশাক সরবরাহকারীদের ইতোমধ্যে প্রস্তুতকৃত পণ্য চালান নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, যা কিছু বাংলাদেশী রফতানিকারীর ত্রাণে অনেকটাই স্বস্থির খবর। H&M এমন এক সময় খবরটি নিয়ে এসেছিল যখন বাংলাদেশ থেকে আসা বিশ্বজুড়ে পোশাক সরবরাহকারীরা ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল এবং বিলম্বিত শিপমেন্টের চিন্তাভাবনা করেছে।H&M একটি সংবাদমাধ্যমে বলেছে,” আমরা ইতিমধ্যে উত্পাদিত পোশাক ও উত্পাদনজাত পণ্য সরবরাহ করে আমাদের পোশাক উত্পাদন সরবরাহকারীদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াব। ” সুইডিশ সংস্থাটি কোনও বিশেষ দেশের কোনও বিশেষ সরবরাহকারীর কথা উল্লেখ করেনি।
H&M গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল আইটেমগুলো বছরে ২৩০ টিরও বেশি বাংলাদেশী কারখানার কাছ থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শিল্পের লেনদেন করে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে। H&M বারবার সংবাদ মাধ্যমে একটা কথাই উল্লেখ করে আসছে যে “আমরা অবশ্যই এই পণ্যগুলির জন্য অর্থ প্রদান করব এবং আমরা আমাদের অনুমুদিত শর্তাদি সাপেক্ষে এক্সপোর্ট অব্যহত রাখবো”।তাছাড়া এই মূহূর্তে পন্যের দাম কষাকষি নিয়ে কোনরকম আলোচনায় বসবো না। এই মুহুর্তে, সাম্প্রতিকভাবে নতুন অর্ডারগুলো নিয়ে আপাতত কোনোরকম চিন্তা মাথায় আনবো না পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষায় আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহন করবো। “পরিস্থিতি পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা আবার অর্ডার দেওয়া শুরু করবো।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা ৫ টা পর্যন্ত ১,০২৫ টি কারখানায় ৮.৬৪৪১৭ মিলিয়ন ইউনিট ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল হয়েছে ।H&M বলেছে যে সরবরাহকারীরা এবং তাদের কর্মচারীরা এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্তভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তারা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালভাবে অবগত। “ক্রমাগত পরিবর্তিত পরিস্থিতির ফলে শিল্প এবং গোটা বিশ্ব যে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের পোশাক সরবরাহকারীদের প্রতি কোমল এবং স্বচ্ছ হতে চাই। ” পুরো ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এবং আমরা আমাদের সমস্ত নেটওয়ার্ক এবং পরিচিত মাধ্যমগুলোর সমস্যা সন্ধান করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যা বিশ্বের পোষাক শিল্পকে কিছুটা হলেও স্বস্থিতে রাখতে পারে ।
H&M এর মতো সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের পাশাপাশি অনেক উন্নয়নশীল দেশে মূল ভূমিকা পালন করে। টেক্সটাইল শিল্প বস্ত্র উত্পাদনকারী দেশগুলিতে অর্থনৈতিক মানদন্ড বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং স্থিতিশীলতায় অবদান রাখে। “আমরা এই মুহুর্তে নিবিড়ভাবে তদন্ত করে দেখছি যে কীভাবে আমরা স্বাস্থ্য, আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশ, সমাজ এবং ব্যক্তিদের সহায়তা করতে পারি।এই জন্য প্রথমিক পর্যায়ে আমরা টেক্সটাইল শিল্পের উপর নির্ভরশীল দেশগুলির প্রতি আমাদের ফোকাস থাকবে” ।
এদিকে, বিজিএমইএ কমপক্ষে 20,000 ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে, যা অনুদান দেওয়া হবে।
খবরটি The daily star পত্রিকা থেকে আংশিক পরিমার্জিত।