কলা রুয়ে না কাটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত।’
কথায় আছে দরকারি জিনিসের কদর আলাদা,বাদ যায়না কোন অংশই।দরকারি হলে বাদ যাবেই বা কেনো?ঠিক তেমনি কালের প্রয়োজনীয় এক বস্তু “বানানাটেক্স”।আর আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হচ্ছে বানানাটেক্স নিয়েই…
কলা আমরা রোজই খাই,আমরা সবাই জানি কলা গাছে ফলন সংগ্রহের পর গাছটিকে কেটে ফেলে দিতে হয়,কিন্তু এবার আমরা জানতে যাচ্ছি এমন এক পরিবেশ বান্ধব আবিষ্কার যার দরুন কলাগাছের কোনো অংশই ফেলনা যাবেনা,ব্যাবহার হবে বাকলের সব অংশ।
🔷বানানাটেক্সঃ
বানানা টেক্স হলো বানানা অর্থাৎ কলার বাকলের তৈরি ফেব্রিক। আসলে কলা নয়,আকাবাকা বানানা গাছের তন্তু দিয়ে তৈরি কাপড়,যার নাম বানানাটেক্স৷ কলা গাছের বাকল থেকে তৈরিকৃত সুতা টেকসই ও মানসম্পন্ন। জুট বা কটনের সঙ্গে মিশ্রণে্র পরে এটি আরও টেকসই হয়।
🔷যেভাবে তৈরী হয়ঃ
কুইস্টিয়ন ব্যাগ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বানানাটেক্স সৃষ্টির পথ দেখিয়েছেন। তাইওয়ানে বিশেষ এক বুনন কেন্দ্রে কলাগাছের বাকলের মন্ড থেকে কাগজ তৈরী করা হয়,সরু করে কাগজ কেটে সুতা তৈরি করে কাপড় বোনা হয়৷ সেই কাপড় দিয়ে তৈরি হয় নানান নকশার ব্যাগ,কাপড়,পরিবেশ বান্ধব স্যানিটারি ন্যাপকিন, হ্যান্ডক্রাফট,বিলাস বহুল ফেব্রিকসহ অনেক কিছু৷ সেখানকার কাজের পরিবেশ ইইউ মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ৷ এসবের ডিজাইনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷ সব খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করে স্টাইল বেশ হালকা মেজাজের ও বাস্তবধর্মী টেক্সটাইল ফেব্রিক তৈরি করা হয়।
🔷সম্ভাবনাঃ
কলা গাছ থেকে সারা বছরই ভালো ফলন পাওয়া যায়। সমতল ও পাহাড়ী অঞ্চলে সময়ের সাথে সাথে বাণিজ্যিকভাবেও বর্তমানে কলার উৎপাদন বেড়েছে। কলা গাছের বিকল্প কোন ব্যবহার না থাকার কারণে কলার ছড়া কাটার পর কলা গাছও কেটে ফেলা হতো। তবে বর্তমান সময়ে পরিত্যাক্ত কলার বাকল থেকে উৎপাদিত হচ্ছে ভালোমানের ফাইবার বা সুতা। একটি কলা গাছের বাকল থেকে কম করে হলেও ২০০-২৫০ গ্রাম সুতা উৎপাদন করা যায়।এর ফলে তুলা,পাটের তৈরী সুতার বিকল্প চিন্তার সুযোগ হচ্ছে।বানানাটেক্স মাটিতে পচনশীল বলে পরিবেশের ক্ষতি করে না,যার দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে জলবায়ুর বিরুপ আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। সুইজারল্যান্ড,ফিলিপিনস এর মত উন্নত দেশের পরিবেশ সচেতন প্রভাবশালী মানুষের জন্য ইতিমধ্যে শহুরে ব্যাগ তৈরি করছে। কখনও সেই ব্যাগ আর ফ্যাশনদুরস্ত মনে না হলে সেটি পচিয়ে ফেললেই চলবে!
তথ্যসূত্রঃ গুগল, ইউটিউব
তথ্য সংগ্রহেঃ
১.মেহেদী হাসান মুগ্ধ
ডিপার্টমেন্ট অব ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং
২য় ব্যাচ
2.মোঃ আসাদুজ্জামান সীমান্ত
ডিপার্টমেন্ট অব ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং
২য় ব্যাচ
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,পীরগঞ্জ,রংপুর।