কার্ডিং মেশিন: কার্ডিং মেশিন স্পিনিং প্রসেস এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মেশিন, যা স্পিনিং এর পরবর্তী প্রসেসিং এর জন্য অপদ্রব্য, ময়লা এবং মেটাল পদার্থ গুলো দূর করে থাকে। কার্ডিং মেশিন ১৭৪৮ সালে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের লুইস পুল নামের এক ব্যাক্তি, হস্ত-চালিত কার্ডিং মেশিন আবিষ্কার করে। পরবর্তীতে ১৮৩৪ সালে জেমস ওয়ালটন, তারের কার্ড আবিষ্কার করেন। যা ব্যবহারের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে ও স্পিনিং মিলে এর ব্যবহার শুরু হয়। কার্ডিং মেশিনকে স্পিনিং মিলের এর কেন্দ্র বিন্দু বা মেরুদণ্ড বলা হয়।
কার্ডিং মেশিনের কাজ:
১) ফাইবার আলাদাকরন।
২) ফাইবার ব্লেন্ডিং।
৩) ফাইবার ওরিয়েন্টেশন করা।
৪) স্লাইভার গঠন করা হয়।
৫) মেটাল পদার্থ দূর করা।
৬) ছোট আঁশ, ময়লা,অপদ্রব্য দূর করা হয়।
৭) ফাইবার সোজা বা সমান্তরাল করা।
কাডিং মেশিনের মেইন যন্ত্রাংশ হল:
• ফিড প্লেট
• ফিড রোলার
• টেকার-ইন
• সিলিন্ডার
• টপ ফ্ল্যাট
• ডফার
• কন্ট্রোল রোলার
• ক্যালেন্ডার রোলার
• ট্রাম্পেট
রোলারের ডায়ামিটার:
1. টেকার-ইন – ৯ ইঞ্চি,
2. সিলিন্ডার – ৫০ ইঞ্চি,
3. ডফার – ২৭ ইঞ্চি,
4. কন্ট্রোল রোলার – ৩ ইঞ্চি
কার্ডিং এর অ্যাকশন: কার্ডিং এর অ্যাকশন তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথা:
1. কারডিং অ্যাকশন,
2. স্ট্রিপিং অ্যাকশন এবং
3. ডফিং অ্যাকশন
কার্ডিং অ্যাকশন: যদি দুটি কাছাকাছি পৃষ্ঠের তারের দিক বিপরীত থাকে এবং তাদের গতির দিক বা আপেক্ষিক গতিও বিপরীত হয় তবে দুটি পৃষ্ঠের মধ্যবর্তী ক্রিয়াটি কার্ডিং অ্যাকশন হিসাবে পরিচিত। টপ ফ্ল্যাট এবং সিলিন্ডারের মধ্যে কার্ডিংয়ের এই ক্রিয়াটি ঘটে যেখানে টপ ফ্ল্যাট এবং সিলিন্ডারের তারের দিক এবং ঘূর্ণন দিক উভয়ই বিপরীত।
স্ট্রিপিং অ্যাকশন: যখন দুটি কাছাকাছি পৃষ্ঠের তারের দিক বা আপেক্ষিক গতির দিক একই থাকে তখন দুটি পৃষ্ঠের মধ্যবর্তী ক্রিয়াটিকে স্ট্রিপিং অ্যাকশন বলে। সিলিন্ডার এবং টেকার-ইন এর মধ্যে স্ট্রিপিং অ্যাকশান ঘটে। এখানে সিলিন্ডার এবং টেকার-ইন এর তারের দিক এবং ঘূর্ণন দিক উভয়ই একই।
ডফিং অ্যাকশন: যখন দুটি কাছাকাছি পৃষ্ঠের তারের দিক পরস্পর বিপরীত দিকে থাকে কিন্তু গতির দিক একই হয়, তাহলে দুটি পৃষ্ঠের মধ্যবর্তী ক্রিয়াটিকে ডফিং অ্যাকশন বলে। এই ক্রিয়াটি সিলিন্ডার এবং ডফারের মধ্যে ঘটে। এখানে সিলিন্ডার এবং ডফারের তারের দিক বিপরীত তবে ঘূর্ণন দিক একই।
কার্ড ফিড দুই প্রকারের:
১) ল্যাপ ফিড (প্রচলিত)
২) চুট ফিড (আধুনিক)
ল্যাপ ফিড সিস্টেমের সুবিধা:
১) ল্যাপের ঘনত্ব খুব ভাল হয়।
২) পুরো সিস্টেমটা স্থাপনে তেমন কোনো ঝামেলা নেই।
৩) বিনিয়োগের ব্যয় এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কম হয়।
ল্যাপ ফিড সিস্টেমের অসুবিধা:
১) পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত শ্রমিক ও সময় বেশি লাগে।
২) ল্যাপ পরিবর্তনের সময় বেশি পরিমান ফাইবার নস্ট হয়।
৩) ল্যাপগুলি ভারী হওয়ার কারণে টেকার-ইন এ আরও বেশি লোড হয়।
চুট ফিড সিস্টেমের সুবিধা:
১) ফিড ওয়েবে ফাইবারের ওপেনিং এঙ্গেল অনেক বেশি হয়।
২) শ্রমিক ও সময় কম লাগে।
চুট ফিড সিস্টেমের অসুবিধা:
১) ওয়েবে কার্ডের ঘনত্ব, ল্যাপ ফিডের মতো ভাল নয়।
২) স্থাপন করতে বেশি ব্যয় হয়।
৩) অটো-লেভেলার আবশ্যক, সুতরাং বিনিয়োগের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় বেশি হয়।
কার্ডিং মেশিন এর ফর্মুলা:
1. Length of Sliver produced by a card = Length of lap fed × draft in card
2. Cleaning efficiency = {{Trash in lap (%) – Trash in sliver (%)} / Trash in lap (%)] x 100
3. Production of carding = Surface speed of doffer x {60 / (36 x 840 x Sliver hank)} x Efficiently % x Waste%
কার্ডিং মেশিন এর ইনপুট হল তুলা এবং আউটপুট হল স্লাইভার। কাডিং মেশিন স্পিনিং মিলে এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
Writer information:
Name: Md. Rony Miya
Institute: Primeasia University
Batch: 183
Campus Core Team Member (TES)