Saturday, November 23, 2024
Magazine
More
    HomeBusinessকোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি? আমাদের কি করা উচিত?

    কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি? আমাদের কি করা উচিত?

    বাংলাদেশের অর্থনীতি টেক্সটাইল বা তৈরি পোষাক খাতের উপর বেশিরভাগ নির্ভরশীল।তৈরি পোষাক খাতে অন্যান্য সকল দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে চায়না।এবং এর পরেই আসে বাংলাদেশ,ভিয়েতনাম,কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোর নাম।তৈরি পোষাক খাতে বাংলাদেশের মূল প্রতিযোগি হলো ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া।করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সমগ্র বিশ্বের ভবিষ্যৎ অর্থনীতিতে এক আমূল পরিবর্তন আসতে পারে বলে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ গভেষকরা বলেছেন।এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি বস্ত্র খাত এর প্রধান প্রতিযোগী দের এবং আমাদের করোনা ভাইরাসের প্রভাব একটু জেনে নেয়া যাক।

    প্রথমে দেখি বাংলাদেশের অবস্থা, বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৮ই মার্চ ২০২০ সালে।বর্তমান ৯ই এপ্রিল সকাল পর্যন্ত আমাদের মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১৮ জন।আমাদের রোগী মারা গেছে ২০ জন।সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩৩জন।(সোর্সঃwww.worldometer.info)

    অপর দিকে ভিয়েতনামে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ২৩ শে জানুয়ারি ২০২০ সালে।বর্তমানে ৯ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত তাদের মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫১ জন।আশ্চর্যজনক বিষয় হলো ভিয়েতনামে কোন রোগী মারা যায় নি।সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১২৬ জন,(সোর্সঃwww.worldometer.info)।যেখানে ২০০ এর উপরে আক্রান্ত হওয়া প্রায় সব গুলো দেশেই কোন না কোন রোগী মারা গেছে।এর মানে তারা বিশ্বের কাছে প্রমান করতে চাচ্ছে তারা করোনা থেকে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত করোনা মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে।

    অপরদিকে কম্বোডিয়ায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয় ২৭ জানুয়ারী ২০২০ সালে।বর্তমানে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১৭ জন।আশ্চর্যজনক বিষয় হলো কম্বোডিয়ার কোন রোগী মারা যায় নি।তাদের সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৬৩ জন। (সোর্সঃwww.worldometer.info)

    এছারা চায়না যারা তৈরি পোষাক খাতে প্রতিযোগিতায় প্রায় সবার ধরা ছোয়ার বাইরে তাদের করোনা ভাইরাসের আর কোন ভয় নেই বললেই চলে।

    এমতাবস্থায় আমাদের দেশের সরকার প্রধান ও তৈরি পোষাক শিল্প মালিকদের সুপরিকল্পিত ভাবে চিন্তাভাবনা করতে হবে।নয়ত অনেক দেরি হয়ে যাবে।আমাদের করোনা রোগী যেন কোন ভাবেই ৩০০-৪০০ এর অধিক না হয়ে যায়।এই জন্য যে সব গরিব মানুষরা ত্রানের জন্য ঘোরাঘুরি করছে তাদেরকে যেভাবেই হোক অতিদ্রুত ঘর বন্দি করতে হবে।এবং তাদের ঘরে ঘরে যেয়ে ত্রান পৌছানোর ব্যবস্থা করা। আবার করোনা টেস্ট করানো যেন বন্ধ না হয়ে যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।কারন টেস্ট কম করলে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারন করতে পারে।আশার কথা হলো আমাদের সরকার প্রধান করোনা টেস্ট করার পরিমান খুব ভাল ভাবেই বাড়িয়েছে।

    সর্বোপরি আমার এই লেখার উদ্দেশ্য একটাই আমাদের দেশের অর্থনীতিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাব থেকে রক্ষা করা।কারন আমাদের প্রতিযোগিরা সর্বদাই আমাদের অর্থনীতির বাজারটা তারা দখল করতে চাইবে।

    আবিদ হাসান আকাশ
    বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগ
    সপ্তম ব্যাচ
    জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট-(নিটার),সাভার, ঢাকা

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed