মাননয়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতি ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ডক্টর এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ।কলেজটির শুভ উদ্বোধন করেন পীরগঞ্জের পূত্রবধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৯ কিঃমিঃ পশ্চিমে খরস্রোতা যমুনেশ্বরী নদীর কিনারা ঘেষে অতি মনোরম প্রাকৃতিক ও নির্জন পরিবেশে গড়ে উঠেছে আমাদের এ কলেজ।ক্যাম্পাসের সাথেই শুরু হয়েছে ওয়াজেদ মিয়া সেতু।৩০৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে।সেই সাথে শিক্ষার্থীদের বিকালের বিনোদনের জন্যও এই সেতু অত্যন্ত জনপ্রিয়। বলতে পারি,এটি আমাদের ক্যাম্পাসেরই একটি অংশ।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজে মূলত টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং ডিগ্রিতে চার বছর মেয়াদী বি.এসসি ইন টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয়।এটি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) কর্তৃক অনুমোদিত এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে বস্ত্র অধিদপ্তর দ্বারা পরিচালিত।
পূর্বে বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজ ছিল পাঁচটি।বুটেক্স অনুমোদিত ষষ্ঠ কলেজ হিসেবে ২০১৯ সালে প্রথম বর্ষ ও ২০২০ সালে নতুন ব্যাচ হিসেবে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এখন কলেজটিতে মোট অধ্যয়নরত শিক্ষাথীদের সংখ্যা মোট ২৩৭ জন।বড় ভাই বোনদের ভালোবাসা ও ছোটদের সম্মান দুই মিলে ক্যাম্পাসটি সকলের কাছে ভালোবাসার একটি পরিবারে পরিণত হয়েছে।সেই সাথে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার প্রতি অনুরাগের কারণে ছয় কলেজের মধ্যে আমাদের কলেজটি শীর্ষ(দ্বিতীয়) স্থান অধিকার করতে পেরেছে।
কলেজের শিক্ষার মান বজায় রাখার জন্য আমাদের কলেজে রয়েছে আধুনিক মানের সমস্ত পরীক্ষাগার ও অত্যাধুনিক এবং সময়োপযোগী সকল যন্ত্রপাতি।সেই সাথে রয়েছে উন্নতমানের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য অবকাঠামোগতভাবে উন্নত পৃথক হল এবং আবাসিক স্টাফ কোয়ার্টার।
বুটেক্স সহ অন্যান্য টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর মতো এখানেও রয়েছে সকল সুযোগ-সুবিধা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই কলেজের উন্নয়ের দিকে সর্বদা সোচ্চার দৃষ্টি প্রদান করেন।
সুদৃশ্য এই কলেজটিতে রয়েছে:
*বিশাল একাডেমিক ভবন
*অডিটোরিয়াম
*লাইব্রেরি ভবন
*অধ্যক্ষের বাস ভবন
*অফিসার্স ডরমিটরি
*টিচার্স কোয়ার্টার
*স্টাফ কোয়ার্টার
*পাওয়ার প্ল্যান্ট
*স্পিনিং শেড
*ডাইং শেড
*উইভিং শেড
*ছাত্রদের হল
*ছাত্রীদের হল
ল্যাব সমূহ:
→অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব
→কটন স্পিনিং ল্যাব
→উইভিং ল্যাব
→টেস্টিং ল্যাব
→ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব
→মেকানিক্যাল ল্যাব
→ওয়েট প্রসেসিং ল্যাব
→নিটিং ল্যাব
→এ্যাপারেল ল্যাব
→ফিজিক্স ল্যাব
→কেমিস্ট্রি ল্যাব
→গার্মেন্টস ল্যাব
কলেজের প্রকল্পে রয়েছে:
→ভলিবল ও বাস্কেটবল খেলার মাঠ
→উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য নিজস্ব বাস
ছাত্র সংগঠন সম্পাদনা:
→স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “শীতলছায়া”
ক্লাব:
→সাংস্কৃতিক ক্লাব
→ডিবেটিং ক্লাব
→ক্যারিয়ার ক্লাব
→ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব
→ফটোগ্রাফি ক্লাব
→স্পোর্টস ক্লাব
→জিমনেশিয়াম ক্লাব ইত্যাদি।
স্টুডেন্টদের খেলাধুলার জন্য কলেজের রয়েছে নিজস্ব মাঠ।তাছাড়া ইনডোর গেমস এর জন্য রয়েছে পৃথক কমন রুম।
সংস্কৃতি বিকাশে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।সেজন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের জন্য নিয়মিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে।তাছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস ও আদর্শকে সামনে রেখে সরকারি ছুটির দিনগুলো পালিত হচ্ছে বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ সম্পূর্ণ রাজনীতি ও র্যাগিংমুক্ত একটি ক্যাম্পাস।
সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টর এগিয়ে নেয়ার জন্য আমরা সর্বদা দৃঢ প্রত্যয়।এই প্রত্যয় চেতনায় লালন করে আমাদের পরিবারের সকল সদস্য এগিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
সার্বিক সহায়তায়-
মোঃ রাশিদ
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ
ফের্ব্রিক ইন্জিনিয়ারিং(১ম ব্যাচ)।
লেখক-
মোঃ ইসতিয়াক হোসেন উল্লাস
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ
ফেব্রিক ইন্জিনিয়ারিং(২য় ব্যাচ)।
ছবি সংগ্রহে : আকিকুর রহমান।