প্রত্যেক দিন সকাল এ এক কাপ চা এর সাথে খবরের কাগজ আমাদের সবারই প্রিয়।একদিন এর কাগজ এর ব্যাবহার ওই একদিন ই কেনও না ওইদিন ছাড়া তো এই কাগজ এ আপডেট খবর আসবে না। কেউ কেউ কাগজ পরা শেষ হলে ফেলে দেয় কেউ আবার রেখে দেয় চুলায় আগুন জ্বালাতে। অনেকেই আবার কেজি দরে বিক্রিও করে দেয়। কেউ কি কখনো ভেবেছেন এই খবরের কাগজ থেকেও পোশাক (বাহারি ড্রেস) বানানো সম্ভব? হে টেক্সটাইল জগতে খবরের কাগজ এরও ব্যবহার আছে । কোনও কিছুই ফেলনা নয় এখানে।
পোশাক তৈরির প্রক্রিয়াঃ
১. প্রথমে খবরের কাগজকে খুব চিকন করে কেটে নিতে হবে।
২.ওই কাটা অংশ গুলোকে করুশ দিয়ে কাঠিতে পেঁচিয়ে হালকা টুইস্টের সঙ্গে সুতার বল তৈরি করতে হবে।
৩.কোমরের পরিমাপ করে একটি বেল্ট বানাতে হবে।
৪. সংবাদ পত্রিকা টি চিহ্নিত করে এক এক করে ওই বেল্টের চার পাশে লাগাতে হবে এভাবে স্তরে স্তরে খবরের কাগজ লাগালেই হয়ে যাবে নিচের স্কার্টটি।
৫.একসাথে দুটি পত্রিকা আঠার সাহায্য লাগিয়ে আপনি স্কার্ট তৈরি করার সময় যেমনটি করেছিলেন তেমন দুটি সংবাদপত্রকে একসাথে করে শরিল এর মাপে ভাজে ভাজেঁ দিতে হবে।
৬. এইক্ষেত্রে উপরের অংশটি সিলিন্ডার আকৃতি হয়ে যাবে তখন কাঁচি দিয়ে মাঝখান বরাবর কেটে দিতে হবে এবং হাত এর মাপে সাইডে কাটতে হবে।
৭.খেয়াল রাখতে হবে যেনও শিট এর শীর্ষে না কাটা হয় ।
হয়ে গেলো একটি পূর্নাঙ্গ খবরের কাগজ এর ড্রেস।
এই খবরের কাগজ থেকে পোশাক তৈরির পদ্ধতিতে আঠা, রঙ, কোনো কিছুই ব্যবহারের প্রয়োজন পরে না। কোনো প্রকারের পরিবেশ দূষণ হয় না। এতে রঙ ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।
এই ধরনের পোশাক এর ক্ষেত্রে সতর্কতাঃ
১.আগুন থেকে দূরে থাকতে হবে নাহলে পোশাক এ আগুন ধরে যেতে পারে।
২.বৃষ্টিতে খররের কাগজ গলে যায় সেই ক্ষেত্রে পোশাকও গলে যাবে বৃষ্টি বা খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে ।তাই এসব আবহাওয়াতে এই ধরনের পোশাক না পরাই ভালো।
২৪ ঘন্টা শেষ হলে খবর এর কাগজ ফেলে না দিয়ে শৌখিনতার বসে এভাবে পোশাক বানালে হয়তো এক সময় এই ধরনের পোশাক এর ব্যবহার বাড়বে এই ধরনের পোশাক সব সময় ব্যবহার করা না গেলেও বিভিন্ন ফ্যাশন শো গুলোতে হঠাৎ ব্যবহার এর উপযোগী ।.
তথ্য ও ছবিঃ উইকিপিডিয়া, জাগোবাংলা।
Writer Information:
Fouzia Jahan Mita
&
Faysal Mahmud Sezan.
NITER 10th Batch.
Department of Textile Engineering.