উল্লেখ্য, হাল্ট প্রাইজ হলো শিক্ষার্থীদের নোবেল খ্যাত বিশ্বের সবচেয়ে বড় অান্দোলন।
হাল্ট প্রাইজ একটি বৈশ্বিক অান্দোলন,যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে এবং ইউনাইটেড নেশনস কর্তৃক গৃহীত একটি কার্যক্রম।২০১০ সালে আহমেদ আস্কার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই হাল্ট প্রাইজ এবং এর অর্থায়নে ভূমিকা রাখেন বার্টিল হাল্ট, তাই এই প্রতিযোগিতার নাম হয় “হাল্ট প্রাইজ”। হাল্ট প্রাইজ ২০২১ এর বিষয় ছিলো “ফুড ফর গুড”।
এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতিসংঘের চিহ্নিত সমস্যার সমাধান এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বিজয়ীদের ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
হাল্ট প্রাইজ এট নিটার অন-ক্যাম্পাসে এ প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫৮ টি দল সিলেকশন পর্বে অংশ নিয়েছিল। অন-ক্যাম্পাস ফাইনালের জন্য নির্বাচিত দল ছিল চৌদ্দটি।
চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা ৬ মিনিটে এবারের প্রতিযোগিতার ‘চ্যালেঞ্জ ফুড ফর গুড’ সম্পর্কিত তাদের বিজনেস আইডিয়া শেয়ার করে। পরবর্তীতে তারা বিচারকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে।
হাল্ট প্রাইজ নিটার অন-ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল হলো ‘ShootingStars’। বহু প্রতীক্ষার পর টানটান উত্তেজনার মধ্যে বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হলেন, মুশফিকা অানজুম মাইশা, অাবিদ হাসান ফাহিম, তানভীর শিকদার সিয়াম এবং মোহাম্মদ অারিফুল ইসলাম।
চ্যাম্পিয়ন টিমের দলনেত্রী মুশফিকা অানজুম মাইশা উচ্ছ্বাসের সাথে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে জানান যে, ” ‘Food for Good’ এই বিষয়ের উপর আয়োজিত হাল্ট প্রাইজ ২০২১ এ আমরা নিটারে বিজয়ী হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।
এই পথ চলার শুরুতে আমরা খুবই ভয় পেয়েছিলাম।আমাদের দলের সবার ধারণা ছিলো না যে আমরা কি করব। আমরা অনেক অনেক ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের শিক্ষক ও সিনিয়রদের যারা আমাদের ধারণাটা নির্ধারণ করতে সাহায্য করেছিলেন ।
এখানে একটা মজার গল্প আছে। প্রথম দিকে আমাদের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু তখনও আমরা এই বিষয়ের আবসটরাক্ট জমা দিতে পারিনি কারণ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসাইনমেন্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তারপর ও আমাদের আবসটরাক্ট ও ভিডিও তৈরি করেছিলাম জমা দেওয়ার শেষের দিন রাত ১১:৫৪ মিনিটে ও জমা দিয়েছিলাম ১১:৫৯ মিনিটে। যেহেতু আমাদের হাতে সময় কম ছিল এবং আমরা ভালো কিছু করতে পারি নি। তাই আমাদের টিমের সবার কল্পনাও ছিল না যে বেস্ট ১৪ টিমের মধ্যে আমরা স্থান করে নিব।
আবার আলহামদুলিল্লাহ যে আমরা ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছিলাম বাকি অসাধারণ ১৩ টি টিমের মধ্যে।
অন ক্যাম্পাস অর্থাৎ পিচ রাউন্ড নিয়ে সত্যিকার অর্থে আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম।কিন্তু আবারও আমি আমাদের সিনিয়র দের ধন্যবাদ জানাচ্ছি কারণ তারা অনেকবার অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গদের দিয়ে আমাদের প্র্যাকটিস করার সুযোগ করে দিয়েছিল। যার ফলে আমরা বুঝতে পেরেছি যে কীভাবে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সর্বশেষ আমরা ২৫শে ডিসেম্বর অন ক্যাম্পাস রাউন্ডে অংশগ্রহণ করেছিলাম।যদিও আমি ভেবেছিলাম কিছুটা সমস্যা হতে পারে কারণ পুরোটাই অনলাইনে হচ্ছে।
কিন্তু আমাদের ইভেন্ট আয়োজন কমিটি এইটা খুব সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছিল। সর্বশেষ বিজয়ী ঘোষণা করা হলো যেটাতে আমরা অবাক হয়েছিলাম। দলনেত্রী হিসেবে আমি নার্ভাস ছিলাম যখন সেরা তিনটা দল ঘোষণা করা হলো। দিনশেষে আমরা নির্বাচিত হয়েছি আমাদের ক্যাম্পাসকে পুরো বাংলাদেশের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ, সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের সহায় হয়েছে যার কারণে আন্তর্জাতিক হাল্ট প্রাইজ ইভেন্টে আমরা নিটারে অন ক্যাম্পাস রাউন্ডে বিজয়ী হয়েছি। তাই আমি সবার কাছে দোয়া চাই আমাদের পরবর্তী রাউন্ডের জন্য।”
অনক্যাম্পাস অায়োজনের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন, বেক্সিমকো কমিউনিকেশনসের অাকাশ ডিটিএইচ, টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারস,টেক্সটাইল টুডে,মাস্তুল, ফানুস’৭১ সংবাদ।
বিচারকমন্ডলী ছিলেন শ্রদ্বেয় গুণীব্যক্তিবর্গ। বিচারক হিসেবে ছিলেন মোহাম্মদ মাহাদিউজ্জামান স্যার, শফিউর রহমান স্যার, তারেক অামিন স্যার, তাকিত মল্লিক স্যার, অাশিকুর রহমান স্যার।
প্রোগ্রামটি শেষে অরগানাইজিং কমিটি মেম্বার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার শুভজিত দাশ অভিব্যক্তিতে জানান, এই Panedemic টাইমে এবং প্রতিকূলতা পেরিয়ে অনলাইনে নতুন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা পাশাপাশি ইভেন্টটি সুন্দরভাবে অরগানাইজে, হাল্ট প্রাইজের প্রতি একটা অাবেগ যেন ভালোবাসার জায়গায় পরিণত হল।