বর্তমান বিশ্বে একটি বড় আতংকের নাম হলো করোনা ভাইরাস।এই ভাইরাস থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আমরা নানাবিধ সাস্থ্যবিধি অবলম্বন করছি।হাতে গ্লাভস,মুখে মাস্ক,হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি।তবে শুধুমাত্র এই মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার সাস্থ্যবিধি অবলম্বন করে এখানেই শেষ নয় পাশাপাশি আমাদের নজর রাখতে হবে সাস্থ্যবিধি মেনে আমরা যেসকল জিনিস পত্র ব্যাবহার করছি তা পরিবেশের জন্য কতটুকু উপুযুক্ত?পরবর্তীতে পরিবেশের উপর এর প্রভাব কিরুপ প্রতিক্রিয়া ফলিত হবে?করোনা একটা সময় চলে গেলেও এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া যেনো আমাদের না ভোগায় তার প্রতি সজাগ দৃস্টিভজ্ঞী রাখা উচিত।
ঠিক তেমন ই বর্তমানে মাস্ক আমাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জামা কাপড়ের মতোই অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।মাস্ক ছাড়া আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পথ চলার কথা কল্পনাও করতে পারি না।কিন্তু এই মাস্ক একটা নির্দিষ্ট সময় ব্যবহারের পর পরিত্যক্ত হয়ে যায় ফলে আমরা তা ফেলে দেই।আর এই পরিত্যক্ত মাস্ক আমাদের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।যা বর্তমান বিশ্বকে ঝুঁকির সম্মুখীন করে তুলেছে।আর তাই এই ঝুঁকি এড়াতে ফ্রান্স তৈরী করেছে পরিবেশ বান্ধব এক বিশেষ ধরনের মাস্ক।
তবে জানলে আশ্চর্য হবেন যে এই বিশেষ ধরনের পরিবেশ বান্ধব মাস্ক তৈরী হচ্ছে এক ধরনের গাজা গাছ থেকে।এই গাজা একটা নির্দিষ্ট পরিমানের বেশি মানবদেহের জন্য হানিকর যা নিয়ে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা রয়েছে।তবে পরিবেশ বান্ধব মাস্ক হিসেবে বেশ সাড়া ফেলেছে গাজা গাছ থেকে তৈরী মাস্ক আবিস্কারকরা।
এই পরিবেশ বান্ধব মাস্ক মূলত তৈরী হয় এক ধরনের গাজার আশঁ দিয়ে।বাংলাদেশে এর আনাগোনা দেখা না গেলেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ও কানাডায় ইতিমধ্যে এর বেশ চলন শুরু হয়ে গিয়েছে।ক্রেতারা ব্যবহারের জন্য নিয়মিত এই মাস্ক ক্রয় করছে।এই পরিবেশ বান্ধব মাস্কটি যেনো কম খরচে সকলে ক্রয় করতে পারে তাই এর মূল্য খুব কম ধরা হয়েছে।যার মূল্য মাত্র এক ইউরোর কাছাকাছি।
এই বিশেষ ধরনের পরিবেশ বান্ধব মাস্কের উদ্যক্তা হলেন “ফ্রিদেরিক রাউর”
“ফ্রিদেরিক রাউর”বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন-
আমরা পরিবেশের সাথে বৈরিতা করে কখনো টিকতে পারবো না।মাটির সাথে সম্পর্ক মানুষের।এই মাটিতে যেনো মিশে যায় আমাদের ব্যবহার্য পন্য তা মাথায় রাখতে হবে।মাস্কে প্লাস্টিকের ব্যবহার রয়েছে আবার কোনো কোনো মাস্কে রয়েছে পলিথিনের ব্যবহার যা পরিবেশের জন্য খবই ক্ষতিকারক।তবে আমাদের মাস্ক মাটিতে মিশে যেতে সক্ষম।তিন থেকে ছয় মাসের মধ্য খুব সুন্দর ভাবে মিশে যেতে পারে এই মাস্ক।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে ২১৪ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে পুরোদমে মাস্ক উৎপাদন চলছে।
ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া মাস্কের কারণে পরিবেশ দূষণের চিত্র ইতিমধ্যে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।পরিবেশবাদীরা এ নিয়ে সর্বোচ্চর এখন।আর তাই মনে করা হচ্ছে এমন পরিবেশবান্ধব মাস্ক মাটি ও নদী সমুদ্রে পড়ে ক্ষতির কারন হবে না,বরং রক্ষা করবে ভারসাম্য।
বিশ্বজুড়ে প্রতিমাসে ১২৯বিলিয়ন ‘ওয়ান টাইম ইউজ’ মাস্ক ব্যাবহৃত হয়।আর হ্যান্ড গ্লাভস ব্যাবহার হয় ৬৫ বিলিয়ন।যার অধিকাংশই পরিবেশবান্ধব নয়।
করোনা কখনো চলে গেলেও পরিবেশের এই ক্ষতি দীর্ঘদিন ভোগাবে বিশ্ববাসীকে।
সূত্রঃরয়টার্স।
Writer Information:
Nahida Akter Tonima
Department of Textile Engineering.
BGMEA University Of Fashion and Technology(BUFT)