বাংলাদেশের অর্থনীতির ৭০ ভাগই নির্ভর করে পোশাকশিল্প রপ্তানির উপর। করোনায় এ খাতের উপর নেমে এসেছে বিশাল বিপর্যয়।বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে অর্থ সংকট। দেশে ছোট-বড় গার্মেন্টস কারখানার সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মাত্র দুই তিনটি কারখানায় হাতে গোনা কয়েকজন শ্রমিকের থাকার ব্যবস্থা আছে। বাকি কোনও কারখানায় শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা নেই।
আবার করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য শ্রমিকদের যতটুকু দূরত্বে থাকার কথা, দেশের একটি কারখানায়ও সেই ধরনের পরিবেশ নেই। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও কারখানাগুলো চালু রাখতে চাচ্ছেন গার্মেন্টস মালিকরা। এ জন্য বিজিএমইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গার্মেন্টস কারখানা খুলতে হলে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে তারপর খুলতে হবে,শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থাও করতে হবে,তারা যেন সুরক্ষিত অবস্থায় থাকতে পারে। এসব নিয়ম মেনে তারা কারখানা চালু করতে পারবে। এক মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে বাংলাদেশে পাঁচশ’টিরও বেশি তৈরি পোশাক কারখানায় আবার কাজ শুরু করা হয়েছে৷ কর্মীদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কারখানাগুলোতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও৷
এ লক্ষ্যে আজ গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য বিজিএমই এর করোনা ল্যাব উদ্বোধন ।দেশের তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত করতে প্রথমবারের এ খাতের কর্মীদের জন্য ল্যাব তৈরি করছে পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এতে কারিগরি সহায়তা করছে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বাডাস)। বিজিএমইএ বেশির ভাগ অর্থায়ন করলেও এতে বেসরকারি অংশীদারিত্বও থাকছে। বিজিএমইএ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংগঠনটির সূত্রে আরো জানা যায়, ল্যাব উদ্বোধন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এ ছাড়া থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রমুখ। সংগঠনটির সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুসারে বাংলাদেশে প্রথম বিশ্বমানের এই ল্যাব তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে।
আর দেশের প্রথম ‘স্টেট অব দ্য আর্ট কভিড-১৯ ল্যাব তৈরি করছে পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। প্রাথমিকভাবে গাজীপুরের চন্দ্রায়, ড. ফরিদা হক মেমোরিয়াল জেনারেল হাসপাতালে প্রধান ল্যাবটি কার্যক্রম শুরু করবে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল ও সাভারে আরো দুটি ল্যাব করা হবে। এতে ওষুধ এবং ল্যাব খরচ দেবে বিজিএমইএ। আন্তর্জাতিক মানের এসব ল্যাব সেন্টারে প্রতিদিন (এক শিফটে) ১৮০টি করে নমুনা সংগ্রহ করা যাবে। পর্যায়ক্রমে শিফটসহ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো হবে। এই ল্যাবগুলো হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুসারে। বিজিএমইএ জানায়, ল্যাব উদ্বোধন উপলক্ষে আজ সকাল ১১টায় বিজিএমইএ এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করছে।
Writer information:
তানভীর সিকদার,
নিজস্ব প্রতিবেদক।