✅শিল্প বিপ্লব কী এবং এর ইতিহাসঃ
মানুষের পরিবর্তে যন্ত্রপাতির সাহায্য শিল্পক্ষেত্রের উৎপাদনে যে পরিবর্তন সাধিত হয় সেটিই মূলত শিল্পবিপ্লব নামে পরিচিত ।
ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লবের যাত্রা শুরু হয় । ১৭৫০-১৮৫০ সালের সময়কালে কৃষি এবং বাণিজ্যিক ব্যবস্থা হতে আধুনিক শিল্পায়নের দিকে গতি শুরু হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটে । আর এ পরিবর্তনই শিল্প বিপ্লব নামে পরিচিত । মানবসভ্যতার ইতিহাসে তিনটি শিল্প বিপ্লবে পরিবর্তন হয়েছে সারা বিশ্বের পরিক্রমা । ১৭৬০ সালে শুরু হওয়া শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে শিল্পায়নের সূত্রপাত । ১৭৮৪ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিন তৈরির মাধ্যমে যা ব্যাপক কলেবরে বৃদ্ধি পায়। এ সময় মানুষ শিল্পায়নের স্বাদ পেলেও ত্রাসের রাজত্ব থেকে মুক্তি পায়নি । ১৮৭০ সালে বিদ্যুৎ আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষ পেয়েছে আলোকিত বিশ্ব । ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেট আবিষ্কার হওয়ার ফলে কায়িক শ্রমের বিপরীতে এখন মস্তিষ্কনির্গত জ্ঞানের বিপ্লব ঘটেছে । শিল্পোৎপাদনের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায় । এ তিন বিপ্লবকে ছাপিয়ে যেতে শুরু করেছে নতুন এক পরিবর্তনের ছোঁয়া যাকে মিডিয়াসহ বিশ্বমোড়লরা ডিজিটাল বিপ্লব বলে সম্বোধন করছেন যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নামে পরিচিত ।
✅চতুর্থ শিল্পবিপ্লবঃ
আমরা এখন তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের একদম শেষ ধাপে অবস্থান করছি । দিন দিন নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি । চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পূর্ন ডিজিটাল শিল্পবিপ্লব হতে চলছে যেখানে থাকবে অটোমেশন প্রক্রিয়া, হিউম্যান রোবট, ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ইত্যাদি । এসকল প্রযুক্তির কল্যাণে অচিরেই শিল্পখাতে বিরাট পরিবর্তন সাধিত হতে যাচ্ছে যা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নামে পরিচিত ।
✅চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও টেক্সটাইল সেক্টরঃ
টেক্সটাইল সেক্টরে প্রযুক্তির ব্যাবহার দিন দিন বাড়ছে । ফ্যাক্টরি থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত প্রযুক্তির ব্যাবহার এখন চোখে পড়ার মত । পাশাপাশি টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, স্মার্ট টেক্সটাইল এর উন্নতি, টেক্সটাইল মেশিনসমূহে অটোমেশন, সর্বক্ষেত্রেই প্রযুক্তির ব্যাবহারের প্রবণতা এই সেক্টরে শিল্পবিপ্লব ঘটানোর জন্য যথেষ্ট ।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব একপ্রকার ডিজিটাল শিল্পবিপ্লব । এই বিপ্লবে অটোমেশন, নিউরোটেকনোলজী,প্রযুক্তি পাল্টে দিবে সমগ্র বিশ্বের শিল্প খাত যার বিশাল প্রভাব পড়বে টেক্সটাইল সেক্টরেও । তথ্য প্রযুক্তির ছোয়ায় বদলে যাবে টেক্সটাইলের ভবিষ্যৎ । চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দরূণ টেক্সটাইল সেক্টরে সুফল বয়ে আনবে । পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জ এর মোকাবিলাও করতে হবে এই খাতে । সবমিলিয়ে সম্ভাবনাময় এক নতুনত্বের ছোয়া পেতে চলছে টেক্সটাইল বিশ্ব ।
✅স্মার্ট টেক্সটাইল ফ্যাক্টরি তৈরীর প্রবণতা বাড়াবে শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাঃ
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এক প্রকার ডিজিটাল শিল্পবিপ্লব যেখানে থাকবে প্রযুক্তির নিত্যনতুন ব্যাবহার । টেক্সটাইল স্মার্ট টেক্সটাইল ফ্যাক্টরি তৈরীর প্রবণতা যত বাড়বে ততই নিকটে আসবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব । অটোমেশন প্রযুক্তি, ডিজিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম, রোবটিক্স ইত্যাদির সমন্বয়ে গড়ে ওঠবে স্মার্ট ফ্যাক্টরি । একটি পুর্নাঙ্গ স্মার্ট টেক্সটাইল ফ্যাক্টরির অভ্যন্তরে যে যে ব্যাবস্থাসমূহ থাকবেঃ
১) ডিজিটাল তথ্য স্থানান্তরঃ
ক) গার্মেন্টস স্কেচকে থ্রি ডি বিন্যাসে মডেলিং করা হবে ।
খ) ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ডিজিটাল পরিবেশে মডেলটি পরীক্ষা করা হবে ।
গ) ক্লাউড প্রযুক্তির অবকাঠামো ব্যবহার করে ডিজিটাল পরিবেশে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাটিং সিস্টেমে পণ্যটির চিহ্নিতকরণ করা হবে ।
ঘ) একটি সুরক্ষিত এবং নমনীয় নেটওয়ার্ক অবকাঠামোতে একটি নির্ভরযোগ্য ডেটা যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল তথ্য স্থানান্তর বাস্তবায়নের সময় সাইবার-সুরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে শিল্পকারখানাগুলি রক্ষা করা হবে ।
২) কাটিং সেক্টরে হিউম্যান রোবটঃ
ক) হিউম্যান রোবট সিস্টেম দ্বারা গুদাম থেকে কাটিং রুমে কাপড় বহন করা হবে ।
খ) হিউম্যান রোবট দ্বারা কাটিং টেবিলে ফ্যাব্রিক ছড়িয়ে দেওয়া হবে ।
গ) রোবট লেজার সিস্টেম ব্যাবহার করে কাটিং অপারেশন সম্পূর্ণ করা হবে ।
৩) রোবট ব্যাবহৃত কোয়ালিটি কন্ট্রোলঃ
ক) গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য চূড়ান্ত পণ্যটিকে নির্দিষ্ট মানের মানদণ্ড অবশ্যই মেটানো উচিত যা গ্রাহকের কাছে বিতরণের আগে পূর্বনির্ধারিত । এই মানের পণ্যের গুণাবলী , ফ্যাব্রিকের গুণমান এবং উৎপাদন অপারেশনগুলির মতো মানদণ্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে । গুণমান নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়াটি দ্রুততর করতে, এর সাফল্য বাড়াতে এবং নিয়মিত উৎপাদন সম্পর্কিত ডেটা সংগ্রহের জন্য কম্পিউটার সহায়ক কোয়ালিটি কন্ট্রোল সিস্টেম প্রতিষ্ঠিত হবে ।
খ) উন্নত চিত্র প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি এবং মেশিন লার্নিং পদ্ধতির সাহায্য চূড়ান্ত পণ্যটির মানের সমস্যার সহজে রিপোর্ট করার জন্য ক্ষমতা সরবরাহ করবে ।
৪) সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেম ব্যাবহৃত প্যাকেজিং:
ক) আরএফআইডি লেবেলে থাকা তথ্য অনুসারে প্যাকেজিং প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হবে যাতে সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেম এর সাথে মানুষের কোনও সমন্বয় না ঘটে।
খ) আরএফআইডি লেবেলগুলি গ্রাহকের দ্বারা উৎপাদিত তথ্য এক্সেস করার জন্য পণ্যগুলিতে রাখা হবে ।
৫) ইন্টেলিজেন্স প্রোডাক্টিভিটিঃ
ক) পোশাকের উপর রাখা আরএফআইডি ট্যাগগুলি কীভাবে তৈরি করা যায়, কীভাবে লোহা, বোতাম, ধোয়া এবং প্যাক করা যায় । এটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে পৃথক বস্তুর স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার একটি পদ্ধতি হবে ।
খ) প্রতিটি উতপাদক স্টেশনে রাখা আরএফআইডি পাঠকরা সিস্টেমের সাথে একীভূত হবে ।
গ) কোনও পোশাকের আরএফআইডি ট্যাগ পড়ে, ওয়াশিং অপারেশনের জন্য জলের তাপমাত্রা এবং আয়রন অপারেশনের সর্বোত্তম তাপমাত্রা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে এবং মেশিনগুলি ওয়াশিং এবং ইস্ত্রি করার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা সেট করবে ।
✅টেকনিক্যাল টেক্সটাইলে উন্নতি ঘটাবে শিল্প বিপ্লবঃ
টেকনিক্যাল টেক্সটাইল বলতে এমন সব টেক্সটাইল সামগ্রীকে বোজায় যা ফ্যাশনের সাথে সম্পর্কিত নয় বরং তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয়ে উন্নত ফাইবার ব্যাবহারের মাধ্যমে টেক্সটাইল সামগ্রী তৈরী করা । টেকনিক্যাল টাক্সটাইল সামগ্রিসমূহ নিম্নরূপঃ
ক) বিল্ডটেক ( কন্সট্রাকশনের কাজে ব্যাবহৃত )
খ) জিওটেক ( ভূমি সংক্রান্ত কাজে ব্যাবহৃত )
গ) ক্লথটেক ( ক্লথিং টেক্সটাইল সামগ্রি )
ঘ) ইন্ডুটেক ( ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কাজে ব্যাবহৃত )
ঙ) এগ্রিটেক ( কৃষি কাজে ব্যাবহৃত )
চ) হোমটেক ( গৃহস্থলীর কাজে ব্যাবহৃত )
ছ) মোবাইলটেক ( অটোমোবাইল শিল্পে ব্যাবহৃত )
জ) ইকোটেক ( ইকোলজিক্যাল সংক্রান্ত ব্যাবহার )
ঝ) প্যাকটেক ( প্যাকেজিং কাজে ব্যাবহৃত )
এসকল টেকনিক্যাল টেক্সটাইল সামগ্রী শিল্পক্ষেত্রে দারূণ পরিবর্তন এনেছে । চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ঘটানোর জন্য উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির সংস্পর্শে এসে এই খাতকে আরো উন্নত করে তুলতে হবে ।
✅টেক্সটাইল সেক্টরে অটোমেশন জাগায় শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাঃ
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ঘটবে টেক্সটাইল সেক্টর সম্পূর্ণ অটমেশনের আওতায় চলে আসার ফলে। পণ্যর অর্ডার থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত প্রতিটি ধাপই চলে আসবে অটোমেশনের অধীনে ।টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিতে মেশিন চালানোর জন্য আর দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে না । স্পিনিং,উইভিং,কাটিং,প্রিন্টিং,ডায়িং সহ সকল মেশিনাদি চলবে অটোমেশন প্রক্রিয়ায় । ফলে উৎপাদন বেড়ে যাবে বহুগুণে । সময় লাগবে কম । এভাবে অটোমেশনের ফলে টেক্সটাইল শিল্পে বড় পরিবর্তন সাধিত হবে ।
✅আসন্ন শিল্প বিপ্লব এর চ্যালেঞ্জসমূহঃ
১) প্রাথমিক বিনোয়োগঃ যেহেতু এটি একটি ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব তাই বিনোয়োগের বিষয়ে বেশি মনোযোগী হতে হবে । টেক্সটাইল সেক্টরে সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেম, রোবোটিক্স, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, থ্রিডি প্রোডাক্ট ডিজাইন, ওয়্যারলেস সেন্সর নেটওয়ার্ক, বড় ডেটা অবকাঠামো ইত্যাদি তৈরী অবশ্যই ব্যায়বহুল প্রক্রিয়া । তাই প্রাথমিক বিনোয়োগ টা একপ্রকার চ্যালেং এর বিষয় ।
২) প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জঃ সম্পূর্ণ ডিজিটাল এই বিপ্লবে আসবে নতুন নতুন উন্নত তথ্য প্রযুক্তি যার ব্যাবহার সহজ নয় । তাই এসকল প্রযুক্তির ব্যাবহারের জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনবল এবং উন্নত প্রশিক্ষণ ব্যাবস্থা যা চ্যালেঞ্জস্বরূপ ।
৩) গোপনীয়তা ও সুরক্ষাঃ চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ঘটলে টাক্সটাইল সেক্টর অটোমেশনের অধীনে চলে যাবে যেখানে এই সেক্টরের যাবতীয় তথ্য সার্ভারে জমা থাকবে যার গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা নিঃসন্দেহে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ।
৪) চাকরির ঝুকি ও বেকারত্ব বৃদ্ধিঃ ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিল্পায়ন হলে সেখানে থাকবে অটোমেশন প্রক্রিয়া, থাকবে হিউম্যান রোবট, সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেম এর মত অত্যাধুনিক প্রক্রিয়া । এই সকল প্রক্রিয়া ব্যাবহার করে মেশিনসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করবে । এতে দরকার হবে না কোন জনবল । ফলে চাকরির ঝুকিতে পড়বে এই সেক্টরের সাথে জড়িত সকল কর্মচারী এবং চাকরী হারানোর ফলে বেকারত্বের হার মারাত্বক আকারে বেড়ে যাবে ।
৫) সামাজিক অসুবিধাঃ ডিজিটাল শিল্পায়নের ফলে মানুষ প্রযুক্তির দিকে আরো বেশি করে ঝুকে পড়বে । এতে সামাজিকভাবে বিভিন্ন অসুবিধার সৃষ্টি হবে যার মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জের বিষয় ।
✅চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাঃ
১) ডিজিটাল শিল্পায়নকে সামনে রেখে এখন থেকেই টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিসমূহের প্রযুক্তিগত অবকাঠামো তৈরী করতে হবে ।
২) টেক্সটাইল সেক্টরে অটোমেশন এর জন্য যাবতীয় সুযোগ সুবিধার ব্যাবস্থা করতে হবে
৩) উন্নত প্রযুক্তি এবং অটমেশন মেশিন ব্যাবহারের জন্য দক্ষ জনবল তৈরীতে প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করতে হবে ।
৪) এই খাতে গবেষণা, উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি করতে হবে ।
৫) টেকনিক্যাল ও টেকসই টেক্সটাইলের দিকে অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে হবে ।
৬) পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে ।
৭) যেসকল কর্মচারী চাকরীর ঝুকিতে রয়েছে তাদেরকে প্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রশিক্ষন দিতে হবে ।
✅শিল্প বিপ্লবের ফলে টেক্সটাইল সেক্টরে অর্জনঃ
১) টেক্সটাইল পণ্যর উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ।
২) কমপক্ষে ২০-৩০% সময় ও ব্যয় হ্রাস পাবে ।
৩) টেক্সটাইল পণ্যর মান বৃদ্ধি হবে ।
৪) এই সেক্টরের সাথে জড়িত সকলের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে ।
৫) বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনের প্রতিযোগীতা বৃদ্ধি পাবে ।
পরিশেষে বলা চলে যে টেক্সটাইল সেক্টরে নিত্যনতুন উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ব্যাবহারে আগ্রহ অতিসত্বর চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ঘটাতে সক্ষম । চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটলে টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে । বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল শিল্পের জয়জয়কার শোনা যাবে । নতুন প্রজন্মের নিকট স্বপ্নের শিল্পে রূপ নিবে আজকের এই টেক্সটাইল শিল্প ।
Writer:
Tanjidur Rahman Sakib
Department of Apparel Engineering
Sheikh Kamal Textile Engineering College
Email: [email protected]