আশিক মাহমুদ ,নিজস্ব প্রতিনিধি।
কোভিড-১৯-এর বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব ও দ্রুত বিস্তার যত দ্রুততম সময়ে হয়েছে ঠিক তত দ্রুতই বানিজ্যিক খাতে এর প্রভাব পড়েছে। রফতানি পোশাক খাতও তার বাইরে পড়ে নি। কোভিড-১৯ বাংলাদেশের রফতানি পোশাক খাতে ঝড়ের মতো এসে করে গিয়েছিল সব লণ্ডভণ্ড।
এ বছরের এপ্রিলে মাসে ব্যাপক হারে কমে যায় রফতানি। তবে মে মাস থেকে রফতানি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা গেছে, যার ধারাবাহিকতা জুনেও অব্যাহত ছিল।করোনার প্রভাবে ২০২০ মার্চে, ২০১৯ মার্চের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের রফতানি কমে ২০ দশমিক ১৪ শতাংশ। এরপর এপ্রিলে কমে ৮৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর মে মাসে কমে ৬২ শতাংশ। জুনেও রফতানি কমার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেও ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হার আগের তুলনায় কম, ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে বিজিএমইএ জানিয়েছে, চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রফতানি (নিট ও ওভেন) হয়েছে ২১২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। গত বছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ২৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারের পোশাক। এদিকে এক অর্থবছর বিবেচনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পোশাক পণ্যের মোট রফতানি ছিল ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ৩২ লাখ ডলারের। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পোশাক রফতানি হয়েছে ২ হাজার ৭৮৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারের।
এ হিসেবে সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রফতানি কমেছে ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
কোভিড-১৯ এর কারনে পোশাক রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ধীরে ধীরে সামলে উঠতে শুরু করেছে। যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময়ের প্রয়োজন তবুও রফতানি বৃদ্ধি কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে আনছে।