ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিকের মাঝে সুন্দর যোগসূত্র তৈরীর লক্ষ্যে সবসময় কাজ করে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারস সোসাইটি(টিইএস)। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস মেশিনারী এক্সিবিশন(ডিটিজি),২০২৩ তে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারস সোসাইটির ফাউন্ডার রিফাতুর রহমান মিয়াজি ভাইয়ের বদান্যতায় আমানত শাহ্ ফেব্রিকস এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মঞ্জুরুল হাসান স্যারের সাথে পরিচয় হয়।আলাপচারিতার এক পর্যায়ে স্যার বলেন,তোমাদের সময় এখন সবকিছু ভালোভাবে জানার,একাডেমিক পড়ার সাথে সচক্ষে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট তোমাদের জন্য জরুরী। এতে তোমরা তোমাদের একাডেমিক পড়ার সাথে ইন্ডাস্ট্রির তফাৎ উপলব্ধি করতে পারবে।তোমরা একটা গ্রুপ করে সময় নিয়ে আমাদের এখানে আসো,আমি সবসময় তোমাদের পাশে আছি।
অতঃপর ০৫-২০২৩ তারিখে আমরা টিইএসের কয়েকজন সদস্য মিলে আনানত শাহ্ ফেব্রিকসের উদ্দেশ্যে রওনা হই।আমরা পৌঁছার পর স্যারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে স্যার আমাদের কিছু উপদেশমূলক ও দিকনির্দেশনামূলক কথা বলেন। তারপর ক্যাম্পাসের বড় ভাই ও ডায়িংয়ের এসিস্ট্যান্ট ম্যানাজার নাঈম ভাই আমাদের শাহরিয়ার রিয়াদ ভাইয়ের (প্রোডাকশন ম্যানাজার) সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। রিয়াদ ভাই আমাদের প্রথমে ওয়ারপিং এর বৃত্তান্ত ব্যাখ্যা করেন।তারপর প্রোডাকশন ইউনিটে প্রোডাকশন প্রসেস,ফেব্রিক্স তৈরীর ধারাবাহিতা সুন্দর করে তুলে ধরেন। তারপর টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস এর আনুষাঙ্গিক বিষয়ে কাউন্সিলিং করেন,যা কিনা এই পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে অত্যন্ত তাৎপর্য ভূমিকা পালন করে।
তারপর নাঈম ভাই আসাদুল ইসলাম আসাদ(এসিট্যান্ট ম্যানাজার,প্রিন্টিং) ভাইয়ের সাথে আলাপ করিয়ে দেন। আসাদ ভাইয়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে মনে হলো,উনার সাথে মনে হয় অনেক আগে থেকেই পরিচয়,দীর্ঘদিন ধরেই মনে হয় আমাদের চিনেন।প্রাথমিক পরিচয় শেষে ভাই আমাদের প্রিন্টিং ইউনিটে নিয়ে যান। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝিয়ে বলেন। ছোট থেকে বড় সব ধরনের প্রোডাক্টে কিভাবে প্রিন্টিং করা হয় সে প্রসেসগুলো হাতে-কলমে দেখিয়ে দেন।বিভিন্ন লগো থেকে শুরু করে,শার্ট-প্যান্ট, টিশার্ট ও হোম টেক্সটাইলের ডিজাইন এবং ডিজিটাল প্রিন্টিং বিষদভাবে ব্যাখ্যা করেন। রোটারি ও ফ্লাট বেডের মধ্যে পার্থক্য,কোনটা সমধিক ব্যবহৃত হয়,প্রোডাকশন রেটের সাথে খরচের হিসাবটাও ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন।
এরপর নাঈম ভাই উনার ডায়িংয়ের সেক্টরে নিয়ে যান।মেশিন পার্টস বর্ণনার সাথে সাথে মেশিনের কাজ,উদ্দেশ্য,প্রোডাকশন রেট,ক্যামিকেল থেকে শুরু করে এডজাষ্টমেন্ট সময়সহ পুরো প্রসেস বিস্তারিত বর্ণনা করেন। সাইজিং, ডিজাইজিং, মারসারাইজিং, স্কাউরিং, ব্লিচিং, বিভিন্ন ডাই,ক্যামিকেল এজেন্টসহ ফেব্রিক্স ডায়িংয়ের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তারপর সব ধরনের আধুনিক ডায়িং মেশিনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,যত ভালো মেশিন তত ভালো ফিনিশিং।
পরিশেষে এসভান্স ল্যাবে পরিদর্শন করতে গিয়ে অনেক নতুন জ্ঞান অর্জিত হয়।সব ধরনের প্রোডাকশন এখান থেকে এপ্রুভ হয় এবং যেকোনো বায়ারের অর্ডার এখান থেকেই বিভিন্ন সেক্টরে স্থানান্তরিত হয়।ফলে ফেব্রিক্স এর গুণগত মান ও প্রোডাকশন কোয়ালিটি অটুট থাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাঁধন মজুমদার