Friday, November 15, 2024
Magazine
More
    HomeBusinessটি-শার্টের ফ্যাব্রিক এর কঞ্জাম্পশন যেভাবে বের করবেন !!

    টি-শার্টের ফ্যাব্রিক এর কঞ্জাম্পশন যেভাবে বের করবেন !!

    গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ফ্যাব্রিকের হিসাব নিকাশের বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না, কারণ হিসেবে বলা যায়; গার্মেন্টসের ৪০-৪৫% খরচ বহন করে এই ফ্যাব্রিক। আমরা যদি একটা টি-শার্টের ফ্যাব্রিক কনজাম্পশন করতে চাই, তাহলে কিভাবে করব ?

    চলুন খুব সহজেই সমাধান করে ফেলি – একটা টি-শার্টের খরচ হিসাব করতে হলে, প্রথমেই টি-শার্ট সম্পর্কে বেসিক কিছু ইনফরমেশন জানা লাগবে, এবার চলুন তা জেনে নেই:

    একটা টি-শার্ট বানাতে যে খরচ হয়, তা মূলত কতগুলো বেসিক ফাংশন নিয়ে হয়ে থাকে যেমন-

    ১. ফ্যাব্রিকের ধরন এবং ওজন (সিঙ্গেল জার্সি, ডাবল জার্সি টাইপ)
    ২. বেসিক মেজারমেন্টস (স্লিভ লেন্থ, ব্যাক লেন্থ ইত্যাদি)
    ৩. সুয়িং আ্যালাউয়েন্স
    ৪. ওয়েস্টেজ (কাটিং অথবা সুইং এর ওয়েস্টেজ)

    এখন, কঞ্জাম্পশন বুঝার সুবিধার জন্য, আমরা একটি একটি টি-শার্টের বেসিক মেজারমেন্ট হিসেব করে, এর ফ্যাব্রিক কঞ্জাম্পশন বের করবো। ধরে নেওয়া যাক, ঐ বেসিক টি-শার্টের;

    ১) ব্যাক লেন্থ (টি-শার্টের এর পিছনের কলার থেকে একদম শেষ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য) = ৭০ সেমি
    ২) হাফ চেস্ট (শার্টের ডান পাশের সেলাই থেকে বাম পাশের সেলাই অব্দি দৈর্ঘ্য) = ৬০ সেমি
    ৩) স্লিভ লেন্থ (হাতার দৈর্ঘ্য) = ২৫ সেমি
    ৪) ফ্যাব্রিকের জি.এস.এম. = ১৪৫

    কঞ্জাম্পশন বের করার সূত্র;

    টি-শার্টের ফ্যাব্রিক এর কঞ্জাম্পশন =

    {(ব্যাক লেন্থ + স্লিভ লেন্থ) x (হাফ চেস্ট x ২) x ফ্যাব্রিকের জি.এস.এম. x ১২} ÷ ১০০০০০০০

    = {(৭০ + ৫) + (২৫ + ৫) x (৬০ x ২) x ১৪৫ x ১২} (ব্যাক লেন্থ ও স্লিভ লেন্থ এর ক্ষেত্রে ৫ সেমি অতিরিক্ত নিয়ে)

    = ২.২৮ কেজি + (২.২৮ কেজি এর ৭%) (এইখানে ৭% এলাউয়েন্স হিসেবে ধরা হচ্ছে)

    = ২.২৮ কেজি + ০.১৫৯

    = ২.৪৩৯ কেজি / ডজন।

    এই কঞ্জাম্পশন কিছু বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয় যেমন;

    ১. মার্কার: ফ্যাব্রিক কাটিং এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে মার্কার; গার্মেন্টসে মার্কারের ধরন যত বাড়বে, ফ্যাব্রিকের ব্যবহার তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

    ২. ফ্যাব্রিক শ্রিঙ্কেজ: ফ্যাব্রিক কনজাম্পশন এবং ফ্যাব্রিক শ্রিঙ্কেজ সমানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে অর্থাৎ যত বেশি ফ্যাব্রিক শ্রিঙ্কেজ হবে, সেই হারে ফ্যাব্রিক কনজাম্পশনের প্রয়োজন হবে।

    ৩. ফ্যাব্রিক এর প্রস্থ: ফ্যাব্রিক কনজাম্পশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হচ্ছে ফ্যাব্রিক প্রস্থ; অর্থাৎ ফ্যাব্রিক প্রস্থ যত বেশি হবে, ফ্যাব্রিক ওয়েস্টেজ তত কম হবে।

    ৪. ফ্যাব্রিক এর রিপিট ইউনিট: সলিড কালারের ফ্যাব্রিকের ক্ষেত্রে ফ্যাব্রিক কনজাম্পশন, স্ট্রিপস এবং চেক ফ্যাব্রিকের থেকে কম হয়ে থাকে; কিন্তু রিপিট ইউনিট বাড়লে, ফ্যাব্রিক কনজাম্পশন বেশি বা কম হতে পারে।

    ৫. গ্রেইন লাইন: ফ্যাব্রিক কনজাম্পশনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে গ্রেইন লাইন। সোজা গ্রেইন লাইন এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম কনজাম্পশন হয় কিন্তু ক্রস গ্রেইন এবং বায়াস গ্রেইন এর ক্ষেত্রে বেশি কনজাম্পশন প্রয়োজন।

    Writer Information:

    Name: Murshada Prodhan
    Institute: Primeasia University
    Batch: 192
    Department: Textile Engineering

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed