বর্তমানে প্রযুক্তিগত টেক্সটাইলে অনেক উদ্ভাবন ঘটছে! ন্যানোটেক্সটাইল প্রযুক্তি তাদের মধ্যে অন্যতম। ন্যানো টেক্সটাইল হল এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে টেক্সটাইল পণ্য তৈরির সময়ে ন্যানোমিটার ধরণের অতীত অতীত ছোট পার্টিকেল ব্যবহার করা হয়। এই প্রযুক্তিতে ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহার করে টেক্সটাইল পণ্যের মধ্যে বিশেষ গুণাবলী যোগ করা হয়, যেমন রঙ, টেক্সচার এবং বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যসম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য। এটি ন্যানো পার্টিকেলগুলির ব্যবহারের ফলে টেক্সটাইল পণ্যের কার্যকরিতা এবং মান বাড়ানো যায়। এখন ন্যানো টেক্সটাইল এর কিছু বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা, কাজ এবং ব্যবহার সম্পর্কে জানব :
বৈশিষ্ট্য :
•উচ্চ ফাংশনালিটি
•অল্ট্রা-ভেলোজিটি ফাইবার
•কোম্পাক্ট স্ট্রাকচার
•অত্যন্ত ছোট সাইজ
•উন্নত কার্যকারিতা
•সুস্থ ও কম বিদ্যুত খরচ
•বিভিন্ন উপাদানে ব্যবহার
•স্বাভাবিক মাইক্রোবাইয়াল প্রতিরোধ
সুবিধা :
•সাধারণ টেক্সটাইলের তুলনায় উন্নত
•ভালো বিন্যাসের সুযোগ
•উচ্চ পরিষ্কারতা
•বায়োকম্প্যাটিবিলিটি
•সুস্থতার জন্য সাহায্যক
•পরিবেশমুক্ত তৈরি
•ইনোভেশন এবং অনুসন্ধানের সুযোগ
অসুবিধা :
•স্বাভাবিক টেক্সটাইলের তুলনায় দ্রব্যতা স্তরের পরিবর্তন
•প্রযুক্তি ত্রুটির প্রবল প্রভাব
•মূল্য ও মূল্যহীনতা
•নিরাপত্তা পর্যায়ের ব্যবহার, ইত্যাদি।
টেক্সটাইলে ন্যানোটেকনোলজির কাজ :
•ফাইবার সৃষ্টি ও বৃদ্ধি,
•নীল পড়তা এবং ধূসর প্রতিরোধ বাড়াতে সাহায্য করে,
•কাপরের ওজন ও ভর হ্রাস,
•সেলফ-ক্লিনিং টেক্সটাইল,
•প্রতিরোধ বৃদ্ধি,
•তাপমান নিয়ন্ত্রণ,
•রঙিন পণ্যের দীর্ঘস্থায়ীতা বাড়ায়,
•পোশাকের শুষ্কতা বাড়ায়, ইত্যাদি।
টেক্সটাইলে ন্যানোটেকনোলজির ব্যবহার:
•প্রতিরক্ষামূলক পোশাক (UV, স্ট্যাটিক)
•মেডিকেল কাপড়, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং
•জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ পোশাক
•ইলেকট্রনিক টেক্সটাইল
•সামরিক ও যুদ্ধের পোশাক
•জ্যাকেট, গ্লাভস, ক্যাপ ইত্যাদি
উপসংহার :
টেক্সটাইলে ন্যানোটেক্সটাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বহুল গবেষণা এবং প্রয়োগ হচ্ছে। ন্যানোটেক্সটাইল দ্রুত ক্ষমতা বিস্তার, প্রতিরক্ষা, ও পুরোনো কার্বন ফাইবারের উন্নতি সহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে।
ফায়সাল আহমেদ
বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগ
গ্রীন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ