এই Z.D.H.C. পূর্ণরূপ হচ্ছে Zero Discharge of Hazardous Chemicals (Z.D.H.C.)।
এই Z.D.H.C. বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্পারেল, ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড এবং রিটেইলার দের একটি সামস্টিক সংগঠন যারা কিনা আমাদের সমগ্র টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বিপদজনক কেমিক্যালসমূহের প্রকৃতিতে যাতে কোনো ধরনের নির্গমন না ঘটে সেই লক্ষ্যে একসাথে কাজ করে আসছে।
Z.D.H.C. এর যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে Greenpeace DeTox Campaigning এর মাধ্যমে যা পরবর্তীতে ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করে সারা পৃথিবীতে Green Revolution এর জন্য। প্রারম্ভিক সময়ে এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ২০২০ সালের আগেই টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বিপদজনক কেমিক্যালসমূহের প্রকৃতিতে নিঃসরণ সম্পূর্ণ রূপেই বন্ধ করা। শুরুর দিকে মাত্র ৬ টি কোম্পানি নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে আমেরিকা এবং ইউরোপ ইউনিয়ন এর নামি-দামি স্পোর্টসওয়্যার, লাক্সারি ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোও এই সংগঠন এর সাথে যোগদান করে।
আমরা জানি যে, অ্যাপ্পারেল এবং ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিয়ের সাপ্লাই চেইন অনেক জটিল, অনেক দীর্ঘ হয়ে থাকে। এই ইন্ডাস্ট্রিগুলো সর্বদাই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে সস্তা শ্রমের প্রাপ্যতা অনেক বেশি। এই সকল ক্ষেত্রে পণ্য প্রস্তুতকরনের সুবিধাসমূহের অথবা ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রমিকের কেমিক্যাল ব্যবহারের কারিগরি শিক্ষার অভাব হতেই পারে। সেই জন্য সংগঠনটি কিছু কার্যকরী পদক্ষেপের তালিকা প্রকাশ করে। সেইগুলো নিম্নরুপঃ-
১) বিপদজনক কেমিক্যালসমূহের প্রভাব বিবেচনায় রেখে ব্যবহার উপযোগী কেমিক্যালসমূহের তালিকা প্রনয়ন।
২) কেমিক্যালসমূহের জন্য ব্যবহার উপযোগী বিশেষ গাইডেন্স শীট। যা কিনা শ্রমিকদের Greenpeace (গ্রিনপিস হল একটি বেসরকারী আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদি সংস্থা) দ্বারা চিহ্নিত এবং সত্যায়িত ১১ ধরনের hazardous chemical সম্পর্কে তথ্য দিবে।
৩) (M.R.S.L.) = Manufacturing Restricted Substance List, একটি রিসার্চ লিস্ট। যেটি কিনা সেই সকল hazardous chemical গুলোকেই অন্তর্ভুক্ত করে যে গুলোর কোনো বিকল্প নেই।
লেখকঃ
বাঁধন সাহা।
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট, ২য় বর্ষ)।