যারা হ্যারিপটার সম্পর্কে পড়েছে কিংবা হ্যারিপটারের সিনেমা গুলো দেখেছে তাদের নিশ্চয় মনে আছে একটি চাদর গায়ে দিয়ে কিভাবে হ্যারিপটার অদৃশ্য হয়েছিল।আর এই ম্যাজিকাল চাদরকে বাস্তবে কে চাবে না বলুন।এতদিন সিনেমায় কিংবা গল্পে এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেখে থাকলেও আধুনিক বিজ্ঞান খুব শীঘ্রই আমাদের সেই ম্যাজিকাল চাদর এনে দিচ্ছে।এমন একটি পোশাক যা মানুষকে সেকেন্ডেই অদৃশ্য করে দিবে।
এই প্রকৃতিতে অনেক প্রাণীই আছে যারা বিপদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য শরীরের রং বদলে মাটি পাতা কিংবা গাছের সাথে মিশে থাকে।এই অদৃশ্য চাদরের ফেব্রিকে আছে সেন্সিং সেল যা পরিবেশের রং সেন্স করতে পারে।রং চিহ্নিত করার পর একটি ইলেকট্রিকাল সিগনালিং সঞ্চারিত করে হিট-সেনসিটিভ ডাই প্রযুক্তিতে ফেব্রিকের উপরের স্তরটির রং বদলে আশেপাশের রং ধারণ করে।অক্টোপাস বা স্কুইডের শরীরে যে বিশেষ কোষ থাকে তারই অনুকরণে তৈরি হচ্ছে এই চাদর।চাদরটির বৈশিষ্ট্য এমন যে,চাদরের ওপর পড়া আলোর দিক মুহূর্তেই ঘুরে যায়।তাই পেছনে থাকা বস্তু বা ব্যক্তিকে সামনের কেউ দেখতে পারে না।শুধু সাধারণ আলো নয় অতিবেগুনি রশ্মি, ইনফ্রারেড বা শর্টওয়েভ ইনফ্রারেড আলোর ক্ষেত্রেও একই কাজ করবে।তাই একে ‘ব্রডব্যান্ড ইনভিজিবলিটি ক্লোক’ ও বলা হচ্ছে।এই চাদরটি উদ্ভাবন হয়েছে মেটাস্ক্রীন নামক বস্তু দিয়ে যা কপার ও পলিকার্বনেট ফিল্মের তৈরি।পলিকার্বনেট গুলো 100 মাইক্রোমিটার ও কপারের তারগুলো মাত্র 66 মাইক্রোমিটার পাতলা।কপার ও পলিকার্বনেটকে জালের মতো আকৃতির মাধমে মেটাস্ক্রিন তৈরি করা হয়েছে।
এই প্রযুক্তি এখন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হাতের মুঠোয়।ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিউট অফ টেকনোলজির একদল গবেষক এই গবেষণায় সফল হয় এবং তারা জানায় এই চাদর অনেকটা ক্যামোফ্লাজের মতো কাজ করে।ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির তৈরি এই চাদরের নাম রাখা হয়েছে ‘ভ্যাটেক’।
কানাডার হাইপারস্টিলথ বায়োটেকনোলজি করপোরেশন অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন দেশের সেনাদের জন্য ক্যামোফ্লাজ ইউনিফর্ম তৈরি করে আসছে।প্রতিষ্ঠানটি ‘কোয়ান্টাম স্টিলথ’ নামক এক প্যাটেন্টের জন্য আবেদন করেছে এবং তারা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানায়,বাস্তবে রূপ নিয়েছে অদৃশ্য চাদর।এক দশক ধরে চারটি প্যাটেন্টের জন্য কাজ করে তারা সার্থক হয়েছে।
সূত্রঃ nature. com,intelligentliving.co,banglanews24,ebela
Bipro Brota Roy
Ahsanullah University of Science and Technology
Department of Textile Engineering
(Batch-40)