সাপ!!সাপ!!
বলে চিৎকার করে উঠলো একটি তরুনী। তার চিৎকার এ পরিবারের সবাই বাইরে এসে হাজির । বড়রা সবাই লাঠি নিয়ে নিমিষেই মেরে ফেললো সাপটিকে। ফেলে দিয়ে আসলো দূরে কোথাও। এটা গ্রাম অঞ্চল এর নিত্যদিনের ঘটনা। ঠিক এভাবেই মানুষ সাপ এর কামুড় এর ভয়ে সাপ দেখার সাথে সাথেই মেরে ফেলে দেয়।
কখনো কি ভেবেছেন এই মৃত সাপটাও কোনও কোনও দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দুয়ারে।হে ঠিক পড়েছেন ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম সাপের চামড়া রফতানিকারক দেশ।ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৯৬,০০০ মানুষ সাপের চামড়ার রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। এখন কি ভাবছেন যে সাপের চামড়া দিয়ে কি কাজ হয়? সাপের চামড়াও টেক্সটাইলে ব্যাবহার যোগ্য একটি উপাদান । অবাক হলে? সাপের চামড়াও টেক্সটাইলে দেখে? টেক্সটাইলে কোনও কিছুই ফেলনা নয়।
সাপের চামড়া সরবারাহের প্রক্রিয়াঃ
সাপ ধরার কাজে অনেকেই নিয়োজিত আছে৷ তারা বিভিন্ন জায়গায় থেকে সাপ বস্তাবন্দি করে নিয়ে আসে ফ্যাক্টরিতে। তারপর সব নিয়ে যায় কসাইখানায়। সেখানে কয়েকজন নির্দিষ্ট মানুষ থাকে যারা সাপগুলোকে জবাই করে ম্যাচেটের সাহায্য মাথায় আঘাত করে। এরপর কিছু মানুষ সাপের চোয়াল গুলো খোলে যাতে করে চামড়াটা পানির পাইপ এর মতো আলাদা ভাবে খোলে যায়। তারপর সব চামড়া বড় বড় টেবিলে উপর রেখে কয়দিন রোদে শুকানো হয়। এভাবেই সংগ্রহ করে থাকে সাপের চামড়া।
রোদে শুকানোর পর কয়েকজন মিলে চামড়া গুলোকে বেল্ট,মানিব্যাগ ইত্যাদির আকারে কেটে থাকে। তা চুলায় সেকা হয় কিছুক্ষণ এর জন্য । এর পর এই চামড়ায় রঙ দিয়ে রঙ্গিন করা হয় সর্বশেষ এ বিভিন্ন প্রসেস এর মাধ্যমে জুতা,মানিব্যাগ, বেল্ট এ প্রেরণ করা হয়।
সাপের চামড়ার ব্যবহারঃ
- জুতা
- বেল্ট
- পার্স
- ব্যাগ
- মানিব্যাগ জ্যাকেট ইত্যাদি।
স্নেক স্কিন এর তৈরি পন্যের চাহিদা অনেক। ঠিক তেমনি চওড়া দাম। জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস করে এই অবৈধ সাপের চামড়ার পণ্যের ব্যাবসা ব্যাপকভাবে লাভজনক।
Reference: দৈনিক কালের কন্ঠ, উইকিপিডিয়া।
Written By:
Fouzia Jahan Mita
Faysal Mahmud Sezan
NITER 10th Batch
Department of Textile Engineering.Attachments area