Friday, November 15, 2024
Magazine
More
    HomeTechnical Textileটেক্সটাইল প্রিন্টিং সম্পর্কে জেনে নিন

    টেক্সটাইল প্রিন্টিং সম্পর্কে জেনে নিন

    প্রিন্টিং/মুদ্রন হলো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি উপধাপ।

    Wet Processing সেক্টরের ২য় ধাপ হলো ডাইং/প্রিন্টিং।

    “Textile printing is the process of applying colour to fabric in definite patterns or designs. In properly printed fabrics the colour is bonded with the fibre, so as to resist washing and friction. Textile printing is related to dyeing but in dyeing properly the whole fabric is uniformly covered with one colour, whereas in printing one or more colours are applied to it in certain parts only, and in sharply defined patterns.”

    প্রিন্টেড টিশার্ট, শার্ট,লেডিস/জেন্টস অন্যান্য পোশাক আমরা সকলেই কম বেশি পরিধান করে থাকি।

    টেক্সটাইল জগতে অনেক আগে থেকেই প্রিন্টিং কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ছোট-বড় ব্যাবসা চলে আসছে
    ও নতুন নতুন মাত্রার ফ্যাশন যোগ হচ্ছে।

    বস্ত্রশিল্পের জগতে বহু পদ্ধতিতে প্রিন্টিং হতে পারে। প্রধান কয়েকটা পদ্ধতির নাম হলোঃ

    #হ্যান্ড_ব্লক_প্রিন্টিং
    বাসা বাড়িতে কিংবা ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পে এই পদ্ধতিতে কাপড় প্রিন্ট করা হয়। এটা অনেকটা কাগজের উপরে সিল দিয়ে ছাপ মারার মতো। একটা কাঠের ব্লকে ডিজাইন করা থাকে। সেই ব্লকে রঙ মাখিয়ে পরে সেটা কাপড়ের উপর চাপ দিয়ে ধরে ছাপ মারা হয়। অনেক সময় স্পঞ্জ কেটেও ব্লক তৈরি করে নেওয়া যায়। এতে সুবিধা হলো, স্পঞ্জের উপর আপনি নিজের ইচ্ছেমত ডিজাইন করে সে অনুযায়ী নিজেই কেটে নিতে পারবেন। আর ব্লক দিয়ে জামায় ডিজাইন করাটা অনেক মজার একটা বিষয়।

    #স্টেন্সিল_প্রিন্টিং
    একটা খুব লম্বা কাগজের শিটে কাঁচি বা ব্লেড দিয়ে কেটে ডিজাইন করা হয়। পরে সেই শিট ফেব্রিকের উপরে বিছিয়ে তাতে দেয়াল রঙ করার মতো ব্রাশ দিয়ে রঙ ঘষতে থাকা হয়। ডিজাইনের কাটা অংশ দিয়ে রঙ লাগে কাপড়ে। আর বাকি রঙ লেপ্টে থাকে কাগজের গায়। পরে শিটটা সরিয়ে নিলেই কাপড়ের গায়ের মূল নকশাটা বেরিয়ে আসে। পাইকারি হারে রঙ ঘষা হয় বিধায় অনেক রঙ নষ্ট হয় এ পদ্ধতিতে (কাগজের গায়েও অনেক রঙ লেগে থাকে, যা পুরোপুরি অকেজো)। ফলে ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহারের উপযোগী নয় এই পদ্ধতি।

    #ডিজিটাল_টেক্সটাইল_প্রিন্টিং
    কম্পিউটারের সাথে ইংকজেট প্রিন্টার দেখেছেন? এটাও তাই। তবে আকারে অনেক বড়। কম্পিউটারে ইনপুট দেয়া ডিজাইন অনুযায়ী প্রিন্টারটার কার্টিজ ফেব্রিকের নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে নির্দিষ্টি রঙ ছাড়তে থাকে।

    #সিলিন্ডার_প্রিন্টিং
    এটা বেশ জটিল একটা প্রক্রিয়া। অতি সহজ ভাষায় বলতে গেলে, স্টিল সিলিন্ডারের উপরের ইলেক্ট্রোপ্লেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে কপারের স্তর তৈরি করা হয়। পরে সেই কপারের স্তরে লেজার দিয়ে ডিজাইন খোদাই করা হয়। পরে সেই সিলিন্ডারগুলো মেশিনে সেট করা হয়। কাপড় সিলিন্ডারের মাঝ দিয়ে যাবার সময় সেই খোদাই করা অংশগুলোর থেকে কাপড় রঙ নিয়ে নেয় আর নকশা তৈরি হয়। এই পদ্ধতিতে যে কোনো ডিজাইন তৈরি করা সম্ভব। এদের উৎপাদন ক্ষমতাও অত্যধিক হয়ে থাকে।

    #ডিসচার্জ_প্রিন্টিং
    এটা একটু ব্যতিক্রমী পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে পুরো কাপড়টাই ডাই (Dye) বা রঙ করে ফেলা হয়। পরে ডিসচার্জিং কেমিক্যাল ব্যবহার করে কাপড়ের নির্দিষ্ট জায়গা হতে ডিজাইন অনুযায়ী রঙ তুলে ফেলা হয়। ফলে রঙ তোলা জায়গাটায় একটা ডিজাইন তৈরি হয়ে যায়। অর্থাৎ অন্যান্য পদ্ধতিতে যেখানে রঙ লাগিয়ে কাপড় প্রিন্ট করে, সেখানে এই পদ্ধতিতে কাপড় হতে রঙ তুলে ফেলে কাপড় প্রিন্ট করা হয়। রঙ তুলে ফেলা অঞ্চলে সাদা ডিজাইন তৈরি হয়।

    #স্ক্রিন_প্রিন্টিং
    সর্বাধিক প্রচলিত পদ্ধতি। টেক্সটাইল প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিগুলোর অধিকাংশই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে। স্ক্রিন প্রিন্টিংয়ে থাকে একটা পর্দার মতো জিনিস, যেটাকে বলা হয় মেশ (Mesh)। এই মেশের একপাশে পুরোটা জুড়ে লাগানো হয় ইমালশন। এই ইমালশন ভেদ করে মেশের এক পাশ হতে আরেক পাশে রঙ যেতে পারে না। পরে এই মেশের কিছু জায়গা হতে ইমালশন উঠিয়ে ফেলা হয়। ঐ ইমালশন উঠিয়ে ফেলা জায়গা দিয়েই রঙ মেশের ঐপারে গিয়ে কাপড়ে লাগতে পারে। বুঝাই যাচ্ছে, ইমালশন উঠানোর পরে মেশের সেই জায়গাটা আমাদের প্রত্যাশিত ডিজাইনের মতো দেখাবে।

    এই মেশটা একটা কাঠের ফ্রেমে টানটান করে লাগানো থাকে। এই ফ্রেমটাই হচ্ছে স্ক্রিন, আর এটার নামেই পদ্ধতিটার নামকরণ। হয়ে গেলো স্ক্রিন প্রিন্টিংয়ের প্রাথমিক প্রস্তুতি। এবার স্ক্রিনটাকে কাপড়ের উপরে রেখে সেটায় পেস্টের মতো থকথকে রঙ ঢালা হয়। তারপর একটা রাবারের স্কুইজার দিয়ে [এটাকে বলা হয় ‘স্কুইজি (Squeegee)’] মেশের বিপরীতে বল প্রয়োগ করে পেস্টটাকে একবার বা দুইবার করে স্ক্রিনের এমাথা-ওমাথা ঘষা হয়। মেশের ডিজাইন করা (ইমালশন উঠানো) অংশ দিয়ে রঙ বেরিয়ে লাগে কাপড়ে। ব্যস, হয়ে গেলো স্ক্রিন প্রিন্টিং!

    Printing Sample

    Screen_Printing_Basic

    এই স্ক্রিন প্রিন্টিংটাই আমরা আজকে দেখবো আমাদের এই আর্টিকেলে। তবে সেটা উপরের ছবির মতো মানুষের হাত দিয়ে হচ্ছে না। হচ্ছে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মেশিনে। তবে বলে রাখি, স্ক্রিন প্রিন্টিং কিন্তু আবার কয়েক প্রকারের হতে পারে। তার মধ্যে দুটো হলোঃ

    ক) রোটারি স্ক্রিন প্রিন্টিং – ছবি দেখলেই বুঝবেন। রিজার্ভার হতে রোলারে রঙ সাপ্লাই দেয়া হয়। রোলারের স্ক্রিনে আগেই ডিজাইন অনুযায়ী ইমালশন উঠানো থাকে। প্রতিটা রোলারের ভেতরে থাকে আরেকটা ‘স্কুইজি রোলার’। সেটার চাপে স্ক্রিন রোলারের ভেতরে থাকা রঙ বেরিয়ে এসে কাপড়ে লাগে। রোলারগুলো এগিয়ে-পিছিয়ে থাকে কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশে ডিজাইন অনুযায়ী রঙ পৌঁছে দেবার জন্যে। সবগুলো রোলারের রঙ মিলে একটা সম্পূর্ণ নকশা তৈরি হয়।

    খ) ফ্ল্যাট বেড স্ক্রিন প্রিন্টিং – উপরে বর্ণিত চারকোণা স্ক্রিনগুলোই এখানে ব্যবহৃত হয়। ব্যাপারটা ঘটে পুরোপুরি ম্যাশিনে।

    লিখাটি লিখতে যে ওয়েবসাইটের সাহায্য নেওয়া হয়েছেঃ
    https://bigganjatra.org/

    লেখকঃ
    মেহেদী দীপ্ত।
    প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট, ২য় বর্ষ )

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed