বাবা সকাল এ বাজারে গেলও মাছ কিনতে । যথারিতি মাছ কিনে বাসায় ফিরে আসলো। আম্মু মাছ দেখার জন্য নিলো হঠাৎ দেখে মাছের আশঁ নেই । আম্মু তো অবাক যে এতো গুলো মাছ একটারও আশঁ নেই। তখন বাবা বললো মাছ এর দোকানী বললো আশঁ ছাড়াও মাছ নেওয়া যাবে। উনি বলছিলো আপনারাতো বাসায় নিয়ে আশঁ ফেলেই দিবেন তার থেকে আমার কাছেই রেখে যান আমি এইগুলো কোম্পানি কে দিয়ে দিবো।
এই মাছের নাম মিল্কিফিশ। যা একটি সামুদ্রিক মাছ । তাইওয়ান এর একটি ফাইবার তৈরির কোম্পানি এই মিল্কিফিশ থেকে Camangi Bionic নামের ফাইবার তৈরি করেছে যা এই মাছের আশঁ থেকে তৈরি করা হয়।
আধুনিক বিজ্ঞান এর যোগে সম্ভব না এমন জিনিস এর সংখ্যা কমই আছে । টেক্সটাইল এ সব কিছুরই সঠিক ব্যবহার করা হয় ঠিক তেমনই টেক্সটাইল শিল্প থেকে বাদ যায় নি মাছ ও। হে ঠিক পড়ছেন মাছ থেকেও ফাইবার বা সুতা তৈরি করা সম্ভব ।
মাছ থেকে ফাইবার তৈরির প্রক্রিয়াঃ
- মাছের আশঁটে থেকে ফাইবার তৈরির অন্যান্য ফাইবার তৈরির থেকে তুলনামূলক ভাবে একটু কঠিন প্রথম এ মাছের আশঁ সংগ্রহ করতে হয়।
- সেই আশঁ গুলো ভালো করে ধুয়ে রোদে অবশ্যই পর্যাপ্ত তাপমাত্রায় শুকাতে হয়।
- ভালো করে শুকানো হলে তাতে এনজাইম মিশাতে হয় যাতে ভিতরে অ্যামিনো এসিড এর বন্ধন ভেঙ্গে যায়।
- বায়োটেকনোলজি এর সাহায্যে collagen peptide বানানো হয় যা বিভিন্ন মাধ্যম প্রক্রিয়া ব্যবহার করে Bionic ফাইবার বানানো হয়।
Bionic ফাইবার এর উপকারীতাঃ
- Bionic ফাইবার ত্বকের উপরের আংশের আর্দ্রতা অতি দ্রুত কম করে ফেলে কার এর আর্দ্রতা ধারণা ক্ষমতা অনেক বেশি ।
- বিদ্যুৎ প্রতিরোধী( স্থির বিদ্যুৎ গঠনে বাঁধা সৃষ্টি করে)
- শরীর অতিরিক্ত ঘামলে এই ফাইবার এর তৈরি পোশাক পরলে শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধ বের হবে না।
- এই ফাইবার এর তৈরি পোশাক স্কিন এ কোনও প্রকার ক্ষতি করে না।
কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকার কারনে Bionic ফাইবার এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।তাইওয়ান এর ঐ কোম্পানির লোকরা নিজের দেশ থেকে আশঁ সংগ্রহ করেও বাইরের দেশ থেকেও আশঁ আমদানি করছে। ধারনা করা যায় একদিন এই ফাইবার এর চাহিদা বিশ্বব্যাপী থাকবে।
Reference:
The Daily Star
Wikipedia.
Written by:
Fouzia Jahan Mita
Faysal Mahmud Sezan
National Institute of Textile Engineering and Research (NITER)
10th batch
Department of Textile Engineering.