যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা “নাসা”র নাম আমরা সবাই জানি।নাসার কাজ সম্পর্কেও আমরা প্রায় সকলেই অবগত।মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করা এবং মহাকাশে মানুষ পাঠানোই নাসার প্রধান কাজ।তাহলে নাসা এবং মহাকাশ এর সাথে টেক্সটাইল কীভাবে সম্পর্কযুক্ত এটাই প্রশ্ন।নাসা এবং মহাকাশের সাথে টেক্সটাইল যেভাবে সম্পর্কিত তা নিয়েই আজকের আলোচনা।
বাংলাদেশের অর্থনীতির শতকরা ৮৫ ভাগ আসে বস্ত্র ও পোশাক খাত থেকে।বাংলাদেশে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুযোগ থাকার পাশাপাশি দেশের বাইরেও আছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য অপার সুযোগ।আর সে সুযোগ নাসা পর্যন্ত বিস্তৃত।
নাসায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য যে ধরনের কাজের সুযোগ আছে;
১. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে মহাকাশ গবেষণার জন্য ন্যানো-কম্পজিট নিয়ে কাজ করতে হয়।
২.নাসায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারকে করতে হয় কার্বন ফাইবারের শিল্ড তৈরির কাজ।
৩.গবেষণা করতে হয় স্পেসস্যূট তৈরি করা নিয়ে।
স্পেসস্যূট ব্যতীত মহাকাশ যাত্রা অকল্পনীয়। তাই এক্ষেত্রে একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের ভূমিকা অপরিসীম।
এভাবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি সফল ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের বাইরে এবং মহাকাশ গবেষনার ক্ষেত্রেও।উদাহরণ হিসেবে প্রথমেই আসে বুটেক্সের রুবায়েত ভাইয়ার নাম।যিনি একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং বর্তমানে প্রিন্সিপাল ডেটা সায়েন্টিস্ট হিসেবে নাসায় কর্মরত আছেন। প্রথম আলোর একটি সাক্ষাতকারে বিস্তারিত জানান তিনি।
মহাকাশযাত্রার প্রথম নারী সদস্য ভেলেনতিনা তেরেশকোভা ও ছিলেন একজন টেক্সটাইল কারখানার কর্মী।
তাই টেক্সটাইল শুধুমাত্র জামা কাপড় বা গার্মেন্টসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, টেক্সটাইল পৃথিবীর বাইরে মহাকাশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
সোর্স: গুগল
লেখিকা:
নাম: অনু আক্তার
ব্যাচ: ২০১৯
ডিপার্টমেন্ট : টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।