পাট
১. বাংলাদেশে পাটকে কি বলা হয়?
উত্তর: বাংলাদেশে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়।
২. বাংলাদেশে কয় ধরনের পাট পাওয়া যায়?
উত্তর: দুই ধরনের পাট বাংলাদেশে দেখতে পাওয়া যায়।
৩. সাদা পাটের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তর: Corchorus capsularis.
৪. তোষা পাটের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তর: Corchorus olitorius.
৫. পাটের জিনোম এর আবিষ্কারক কে?
উত্তর: পাটের জিনোম এর আবিষ্কারক ড.মাকসুদুল আলম।
৬. পাটের জিনোম আবিস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয় কত সালে?
উত্তর: ১৬ জুন ২০১০ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে পাটের জিনোম অনুক্রম (জীবনরহস্য) আবিষ্কারের ঘোষণা দেন।
৭. পাটের জিনোম আবিষ্কারে সহায়তা করেছে কোন বিশ্ববিদ্যালয়?
উত্তর: যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় ও মালয়েশিয়া বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়।
৮. পাটের জীবনকাল কতদিন?
উত্তর: পাটের জীবনকাল ১০০ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত।
৯. বাংলাদেশ বিশ্বের মোট পাটের ৩৩ শতাংশ উৎপাদন করে এবং কাঁচা পাটের ৯০ শতাংশ রপ্তানি করে।
১০. বাংলাদেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ছয় লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয় এবং উৎপাদন হয় ৭৪.৪০ লাখ টন।
১১. পাটের আঁশ থেকে তৈরি হয় শাড়ি, লুঙ্গি, সালোয়ার, কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, ব্যাগ, খেলনা, শোপিস, ওয়ালমেট, আলপনা, দৃশ্যাবলি, নকশিকাঁথা, পাপোশ, জুতা, স্যান্ডেল, শিকা, দড়ি, সুতলি, পর্দার কাপড়, গয়না, অলংকারসহ ২৮৫ ধরনের পণ্য, যা দেশে ও বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
১২. আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)’ ১৩৫ ধরনের বহুমুখী পাট পণ্যের স্থায়ী প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র চালু করেছে।
১৩. বিশ্বে পাট রপ্তানিতে বাংলাদেশ কততম?
উত্তর: প্রথম।
তুলা
১. তুলা শব্দটির প্রচলন ঘটে কবে?
উত্তর: আনুমানিক ১৪০০ খ্রীষ্টাব্দে তুলা শব্দের প্রচলন ঘটে।
২. তুলার ব্যাবহার শুরু হয় কবে থেকে?
উত্তর: প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক জানা যায় যে প্রায় সাত হাজার বছর পূর্বে তুলার ব্যবহার শুরু হয়।
৩. বাংলাদেশে উৎপন্ন তুলার জাত কেমন?
উত্তর: বাংলাদেশে উৎপন্ন তুলার জাত (cultivar) হলো আমেরিকান তুলা (Gossypium hirsutum)।
৪. বাংলাদেশে প্রায় ১১,৭৬৩ হেক্টর জমিতে মেঠো-তুলার চাষ হয়।
৫. তুলার একটি রোগের নাম।
উত্তর: তুলার ফিউজারিয়াম উইল্ট (fusarium wilt) রোগ হয় Fusarium oxysporum নামের এক ছত্রাকের সংক্রমণে।
৬. বিশ্বে কতটি দেশে তুলা চাষ হয়?
উওর: বিশ্বে প্রায় ৭৫টি দেশে তুলা চাষ করা হয়।
৭. বাংলাদেশে কি ধরনের তুলা চাষ হয়?
উত্তর: বাংলাদেশে Gossypium hirsutum এবং Gossypium Arboreum এর চাষ করা হয়।
৮. সমগ্র বিশ্বের প্রায় ২৬ শতাংশ তুলা ভারত এবং ২২ শতাংশ তুলা চীনে উৎপাদিত হয়।
৯. তুলা আমদানিতে বাংলাদেশ কততম?
উওর: বাংলাদেশ তুলা আমদানিকারক দেশ হিসাবে বিশ্বের দ্বিতীয়।
১০. তুলা উন্নয়ন বোর্ড কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর তুলা উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেন।
১১. দেশে চাহিদার মাত্র ৩ শতাংশ তুলা উৎপাদন হয়।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া ও বাংলাপিডিয়া।
Writers Information:
Sajjadul Islam Rakib
Campus Ambassador-TES
National Institute of Textile Engineering and Research-NITER
Batch-10