আপনারা অতিতে কিংবা বর্তমানে অনেক সময় শুনে থাকতে পারেন গার্মেন্টস, ফ্যাক্টরি অথবা কারখানা হটাৎ লে-অফ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমরা অনেকে আসলে লে-অফ সম্পর্কে জানি না সঠিকভাবে যার দরুন অনেক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
সাধারণত লে-অফ হচ্ছে যখন মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন দিতে অসুবিধায় ভোগে, যন্ত্রপাতি বিকল অবস্থা হলে, কাঁচামাল এর সল্পতা, এনার্জি সোর্সের অভাব ইত্যাদি এই সমস্ত সমস্যার মখমুখি হলে শ্রমিকদের কাজ দিতে অক্ষম হয়, ফলে শ্রমিকদের এবং কর্মকর্তা , কর্মচারীদের মালিকপক্ষ করমবিরতি দিতে বাধ্য হয়।
এখানে বিশেষ দ্রষ্টব্য হচ্ছে, শ্রম আইনের ২০১৬ ধারা অনুযায়ী মালিকপক্ষ লে-অফ দিতে পারবে শুধুমাত্র ৪৫ দিনের জন্য। এই ধারা অনুযায়ী বছরে একটি লে-অফ না অথবা আলাদা আলাদা করে সর্বমোট ৪৫ দিনের লেইঅফ দিতে পারবে। কিন্তু যদি মালিকপক্ষের খুব বেশি প্রয়োজন হয় তাহলে ১৫ দিন বেশি অর্থাৎ সর্বমোট ৬০ দিনের লে-অফ দিতে পারবে।
এখানে প্রশ্ন থাকতে পারে লেইঅফ দেওয়া হলে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে কিনা? অবশ্যই শ্রমিককে তাদের মজুরি দিতে হবে। শ্রমিকদের কথা অনুযায়ী ৪৫ দিনের মজুরি যেই হার হবে, সেই মুজুরির হার হবে মূল মজুরির ৫০%। অর্থাৎ শ্রমিক, কর্মচারী সবাইকে মূল মুজুরির ৫০% দিতে হবে পাশাপাশি যদি তাদের আবাসন ভাতা থাকে তাহলে তাদেরকে সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে। আবার ৪৫ দিনের বেশী অর্থাৎ ৬০ দিনের লে-অফ দেওয়া হলে মজুরির চার ভাগের এক ভাগ পরিশোধ করতে হবে এবং আবাসন ভাতা অপরিবর্তিত থাকবে অর্থাৎ সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যদি কেঊ অসৎ উদ্দেশ নিয়ে গার্মেন্টস, ফ্যাক্টরিতে, কারখানায় লে-অফ ঘোষণা করে তবে সেটই হবে আইন বহির্ভূত।
Reference: Easy 2 Learn
Written By:
Md. Raisul Islam Rifat
Daffodil International University
3rd Year