বস্ত্রখাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনবল এবং দক্ষ জনবল তৈরি করা ঠিক তখনি সম্ভব হবে যখন দেশের সর্ব-বৃহৎ এবং রপ্তানী খাতে প্রায় ৮৫% অবদান রাখা বস্ত্র-খাতের ফ্রন্টলাইনার খ্যাত বস্ত্র-প্রকৌশলীদের গ্রন্থগত শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষার উপর সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তাইতো বস্ত্রপ্রকৌশলী বিদ্যায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য মিল ভিজিটের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ডক্টর এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের গত ৮ই মার্চ ২০২২ এ সিল্ক সিটি খ্যাত “রাজশাহী” র সপুরা সিল্ক মিলস লিমিটেডে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো তাদের প্রথম মিল ভিজিট।
মিল ভিজিটের উদ্দেশ্যে কলেজ ক্যম্পাস থেকে তাদের নিজস্ব বাসে শিক্ষার্থীদেকে নিয়ে আনুমানিক ভোর ৬ টা নাগাদ বাস গুলো কলেজ প্রাঙ্গন ত্যাগ করে।
সকাল ১১.৩০ এ সপুরা সিল্ক মিলস লিমিটেডে তারা পৌছায় এবং সেখানে ৪টি বিভাগ ভিত্তিক চারটি গ্রুপ হয়ে চারজন শিক্ষক এবং সপুরা সিল্ক মিলস লিমিটেডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অধীনে সু-শৃংঙ্খল ভাবে মিল ভিজিট সম্পন্ন করে।
ছবিতেঃ সপুরা সিল্ক মিলস লিমিটেডে ডমটেক ফেকাল্টি।
বলে রাখা ভালো উক্ত কারখানায় তারা রেশম পণ্যের আদ্যোপ্যান্ত সম্পর্কে পুরো স্বচ্ছ ধারণা পায় যেখানে তাদের দেখানো হয় রেশম পোকার অন্যতম খাদ্য তুত গাছ থেকে শুরু করে রেশমের গুটি থেকে পুণ্যবয়স্ক পিউপা পর্যায়ক্রমে মথ এ পরিনত হোয়া, ডিম ফুটে লার্ভা থেকে শুরু করে তাদের জীবনচক্র সহ সুতা থেকে ধাপে ধাপে বয়ন, ডায়িং,প্রিন্টিং এবং সবশেষে সিল্ক থেকে ফাইনাল প্রোডাক্ট হাতে পাওয়া।
একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহারিক শিক্ষার গুরত্ব এবং তাৎপর্য অতুলনীয় এবার সেদিকে এক্টু আলোকপাত করা যাকঃ
*একজন দক্ষ এবং কৌশলী প্রকৌশলী হোয়ার ক্ষেত্রে এর অবদান ব্যাপক।
*শিক্ষার্থীদের ভিত্তি শক্ত করা এবং পাশাপাশি এই সেক্টরে ব্যবহৃত মেশিন গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়।
*বস্ত্রপ্রকৌশলী বিদ্যায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্ম-পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা পেতে এর গুরত্ব অনস্বীকার্য।
বলে রাখা ভালো সব ডিপার্টমেন্ট ভিজিট শেষ করতে দুপুর ১.৩০ বাজে, পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী পদ্মা পাড়ে এবং সেখানেই তাদের দুপুরের খাবার দেওয়া হয় এবং আনুমানিক বিকাল ৪.৩০ এ পদ্মা পাড় ত্যাগ করে এবং বলাই বাহুল্য ফিরতি পথে দেশের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ এবং সুলতানি আমলের অন্যতম ঐতিহ্য নঁওগার কুসুম্বা মসজিদ পরিদর্শন করে পরবর্তীতে মসজিদ পরিদর্শন শেষে আনুমানিক সন্ধা ৬.৩০ এর দিকে তারা ক্যম্পাসের উদ্দেশ্যে পুনরায় যাত্রা শুরু করে।
মিল ভিজিট,সাইট ভিজিট শেষে শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করে এবং খুব আনন্দঘন পরিবেশেই শেষ হয় ডমটেক দ্বিতীয় ব্যাচের প্রথম মিল ভিজিট।
লেখক পরিচিতিঃ
আরাফাত খান প্রীতম
ক্যাম্পাস এম্বাসেডর
ডক্টর এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।