নাইলন (Nylon) মানুষের তৈরি প্রথম Synthetic Fiber, কারণ নাইলন যেসব যৌগ থেকে বানানো হয় তারা সরাসরি প্রকৃতি থেকে আসে না। সেগুলাে আসে কৃত্রিমভাবে। নাইলন এক ধরনের পলিমার যৌগ, এটি অনেকগুলাে মেম্বার নিয় গঠিত।
নাইলন একটি পলিঅ্যামাইড ফাইবার । অ্যামাইড (-CO-NH-) নামক রাসায়নিক পদার্থের পলিমারাইজেশন করে পলি অ্যামাইড গঠন করা হয় যাকে নাইলন নাম দেয়া হয় । এ পলি অ্যামাইড লম্বা চেইন সিনথেটিক পলিমার যার কম পক্ষে ৮৫% অ্যামাইড লিংকেজ সরাসরি দুটি অ্যারোমেটিক রিং দ্বারা যুক্ত থাকে ।
আধা-সুগন্ধযুক্ত পলিমাইডের উপর ভিত্তি করে সিন্থেটিক পলিমার পরিবারের জন্য একটি জেনেরিক উপাধি। নাইলন হ’ল একটি থার্মোপ্লাস্টিক রেশমি উপাদান যা তন্তু, ছায়াছবি বা আকারে গলে-প্রক্রিয়াজাত করা যায়। এটি প্রোটিনের পেপটাইড বন্ডের অনুরূপ অ্যামাইড লিঙ্কগুলির সাথে সংযুক্ত।
নাইলনের ইতিহাস:
নাইলনের উদ্ভব হয় ১৯৩৭ সালে, যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ালেস এইচ ক্যারোদারস নামের একজন রসায়নবিদের দীর্ঘদিনের গবেষণায় এই উপদান আবিষ্কৃত হয়। ক্যারোদারস লং চেইন পলিমার ফাইবার আর কৃত্রিম রেশমের ওপর প্রায় ১০ বছর ধরে গবেষণা চালান। কিন্তু গবেষণাটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ব্যাপারটি হতাশার হলেও ক্যারোদারস ও তাঁর দল হাল ছাড়েনি। আরও কিছু দিন গবেষণা চালিয়ে তারা মলিয়ামিড নামের এক প্রকার কৃত্রিম অণুর উদ্ভব ঘটায়।
ক্যারোদারসের মৃত্যুর পর তাঁর প্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণালব্ধ বিষয়গুলো থেকে ‘ফাইবার ৬৬’ নামের একটি উপাদানের উদ্ভব ঘটায়। পরবর্তী সময়ে এটি নাইলন নামে পরিচিতি লাভ করে।
নাইলন ব্যবহারের উপকারিতা:
i) নাইলন সুতা অনেক শক্ত এবং স্থিতিস্থাপক বা Elastic. তাই শক্ত কোন কিছু বাঁধা জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
ii) নাইলনের দড়ি ব্যবহার করে পাহাড়ে উঠা এবং পাহাড় থেকে নামতে পারা যায়।
iii) প্যারাসুট দড়ি হিসেবে নাইলনের ব্যবহার করা হয়।
iv) নাইলনের রং অনেক উজ্জল থাকে। এতে যেকোন রঙ দেয়া যায়।
v) নাইলন খুব বেশি পানি ধারণ করে না কিন্তু এরা আমাদের শরীরের তাপ ধারণ করতে পারে।
নাইলন তন্তু দৃঢ়, ইলাস্টিক এবং হালকা. চিকন এবং সহজ ধুয়ে পরিষ্কার করা যায় তাই এটি জামাকাপড় তৈরীর জন্য খুব জনপ্রিয়। মোজা, দড়াদড়ি, গুটাইয় ফেলা, টুথব্রাশ, গাড়ী সীট বেল্ট, স্লিপিং ব্যাগ, পর্দা ইত্যাদি তৈরিতে নাইলন ব্যবহার করা হয়।
Writer information:
Fouzia Jahan Mita
NITER 10th Batch