বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা দ্রুত গতীতে এগিয়ে চলছে এক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে। কিন্তু এ পথের বাকে বাকে রয়েছে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ। সওরের দশকের শুরুতে যা চিন্তা করা যায় নি, তা আজ বাস্তব। এনজিও ও ক্ষুদ্র ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবেশের মাধ্যমে গ্রামীন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঋণ সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা,তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতি এবং ঔষধ শিল্পের প্রসার ; যা অর্থনীতিকে দ্রুত কৃষি থেকে শিল্পে রুপান্তর করে এবং অবকাঠামোয় বড় বিনিয়োগ, যা আগের অর্থনীতির সঙ্গে সংযোগ স্হাপনে সহায়তা করে।
কৃষি খাতে সবুজ বিপ্লব, গ্রামীন বিনিয়োগ, নরীদের উপবৃওি কর্মসূচি,প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন এবং নব্বই দশক-পরবর্তী আরো কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্হিতিশীলতা আর্জন।
তবে এ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাঝেও রয়েছে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ।দুর্বল গণতন্ত্র, সুশাসনের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ইত্যাদি। এই সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এসব সমস্যা না থাকলে দেশ আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যেত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশি-বিদেশী অর্থনীতিবিদরা এতদিন এই ‘প্যারাডক্স ‘ বা স্ববিরোধকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘মিরাকুলাস’ বা জাদুকরী শক্তি বলে বর্ণনা করে মুগ্ধ বিস্ময় প্রকাশ করে এসেছেন। কিন্তু সময় আনেক পেরিয়ে গেছে। বিদ্যমান সমস্যা গুলো অব্যাহত থাকলে অর্থনৈতিক অগ্রগতির এই সুখপ্রদ পর্ব আর বেশি দিন স্থায়ী হবে না। বস্তুত কোনো স্ববিরোধেররই চূড়ান্ত পরিণতি স্থায়ী হতে পারে না।
তাই এত সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে শ্রমশক্তির উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। দক্ষ জনবল সৃষ্টি করতে হবে, অধিকতর বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সম্প্রসারন, আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন এবং সর্বোপরি সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
মোঃ তানভীর হোসেন সরকার
ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ ( নিটার )