রমজান বিদায় নিচ্ছে, অনের কাছে রমজান মাস বেশ টাইম ট্রাভেলের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে বলে মনে হলেও এটা সত্য যে রমজানের দুই তৃতীয়াংশ আমরা অলরেডি খরচ করে ফেলেছি। কিন্তু “খরচ” কি এখানেই শেষ?
সামনে ঈদ, প্রচুর ব্যাস্ততা, প্রচুর কেনা-কাটা,প্রচুর জার্নি তারউপর মাত্রাতিরিক্ত গরম। সব মিলিয়ে ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে মানুষের আগ্রহের কোনোরকম কমতি নেই। কিন্তু কয়েকটা জায়গায় আমাদের আগ্রহের বেশ ঘাটতি দেখা যায়। বিষয়টা অনেকটা ঈদকে কেন্দ্র করে কেনা-কাটাতেই সীমাবদ্ধ রাখি?
আমাদের বাঙালির অন্যতম ঐতিহ্যবাহী কাপড় পাখি কিংবা কিরনমালা। কত জনই বা সুসাইড করলো সেটার হিসাব ক জনই রেখেছে? হয়ত সঠিক হিসাব সংরক্ষন করলে গ্রিনিচ বুকে নাম লেখানো যেত। কিন্তু ভেবে দেখেছেন? পাখি কিংবা কিরনমালা ড্রেগগুলো কি আমাদের সংস্কৃতির? কিংবা দোকানদার কি কখনো কাপড় বিক্রি করার সময় বলে যে এগুলো দেশীয় কিরনমালা কিংবা পাখি ড্রেস? কিংবা বললেই কি ঐ কাপড়গুলোতে আমাদের আগ্রহ থাকত?
অনেক প্রশ্ন, বিভিন্ন ভাবে প্রশ্নগুলোকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব কিন্তু সঠিক উত্তর দেখা সম্ভব নয়। কারন হিসাবে আগেই খোলসা করেছি যে আমরা বাঙালি জাতি। অতি আবেগ মিশ্রিত আমাদের এই চাহিদাগুলো দেশপ্রেমের সঙ্গা জানলেও নিজের সত্তার মধ্যে দেশ প্রেম দেখাতে আগ্রহী নই। তখন আবার ভালো জিনিস খুজি। কিন্তু ভালো জিনিসের জন্য সব-সময় সুদূর চীন কিংবা ভারত দেশে কেন যেতে হবে?
আমরা কি কম পারি? গার্মেন্টস কিংবা টেক্সটাইল সেক্টরে ভারত কিংবা চীন থেকে আমরা যোজন যোজন এগিয়ে। তবুও আমরা কেন ঝুকছি ঐ বিদেশী কাপড়গুলোর দিকে?
তাই বলি কি এবারের ঈদে না হয় দেশী কাপড়ের দিকে একটু ঝুকি?
খালেদুর রহমান সিয়াম
নিটার, ৯ম ব্যাচ।