আমাদের কৃষি অর্থনীতির জন্য দারুণ সুখবর বয়ে আনছে ন্যাচারাল ফাইবার। কৃষির উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে আবিষ্কৃত হচ্ছে একের পর এক ন্যাচারাল ফাইবার। এমন অনেক কিছুই আমাদের চারপাশে রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে আমরা জানি না; অথচ সেসব থেকে কত চমৎকার উপকরণ বের হতে পারে। যেমন ধইঞ্চা গাছ।
ধইঞ্চার বৈজ্ঞানিক নাম Sesbania bispinosa, এর বন্য অবস্থার প্রজাতিটির বৈজ্ঞানিক নাম Sesbania aculeata. এটি সেসবানিয়া গণের অন্তর্ভুক্ত ছোট বৃক্ষ।
পাটের বিকল্প হিসেবে ধইঞ্চা চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক এবং এ গাছ থেকে ন্যাচারাল ফাইবারও তৈরি হচ্ছে।
ফলে ধইঞ্চা শব্দটি অবজ্ঞাসূচক থাকছে না। কারণ, এই উদ্ভিদ থেকে জ্বালানি, সবুজ সারের পর এখন উৎপাদিত হচ্ছে ন্যাচারাল ফাইবার। আবার আফ্রিকান ধইঞ্চা গাছ কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের সোনালি আঁশ ন্যাচারাল ফাইবার হিসেবে সারা বিশ্বে নতুনভাবে পরিচিতি লাভের দ্বারপ্রান্তে। এর কাছাকাছি ন্যাচারাল ফাইবার হিসেবে সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ধইঞ্চা গাছের ফাইবার। পাটগাছ যেভাবে জাগ দিয়ে আঁশ বের করা হয়, ধইঞ্চা আঁশও সেভাবে বের করা হয়। পরিমাণে পাটের মতো না হলেও এর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেবার মতো নয়। ধইঞ্চা গাছের ন্যাচারাল ফাইবারের রঙ হচ্ছে রুপালি। ন্যাচারাল বাস্ট ফাইবারের মধ্যে পাটের মানসম্পন্ন আঁশের মতো ধইঞ্চার আঁশও মানসম্পন্ন করা যাবে, যদি যথাযথ উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদি তা হয়, বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাত হবে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ। ধইঞ্চা ফাইবার কিছু অংশে পাটের তুলনায় ভালো। যেমন- ফাইবারের দৈর্ঘ্য, আণবিক বিন্যাস, দৃঢ়তা। স্থায়িত্ব, ঘর্ষণ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ময়লা রোধের ক্ষমতা, পরিচ্ছন্নতা। তবে পাটের সহায়ক হিসেবে ধইঞ্চা ব্যবহার করার সুযোগ আছে। পাটের জিন গবেষণা ও উন্নয়নে যেমন বিজ্ঞানীরা সাফল্য এনেছেন, তেমনি ধইঞ্চার জিন নিয়ে গবেষণা এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে বৈপ্লবিক কিছু ঘটানো সম্ভব।
তথ্য ও ছবিঃ উইকিপিডিয়া।
Fouzia Jahan Mita
NITER 10th Batch