Friday, November 15, 2024
Magazine
More
    HomeCampus Newsনিটারে আরো ৩টি নতুন ডিপার্টমেন্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

    নিটারে আরো ৩টি নতুন ডিপার্টমেন্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

    মোঃতানভীর হোসেন সরকার ,নিটার প্রতিনিধি।

    গত ১লা মার্চ ২০২০ইং রবিবার সাভার নয়ারহাটে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনসাটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ নিটার এ ২০১৯-২০২০ ইং শিক্ষা বর্ষের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি নতুন ৩ টি ডিপার্টমেন্ট আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করা হয়।ডিপার্টমেন্ট সমূহ হল বি. এস সি ইন কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং(সিএসই) ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং(ইইই) এবং মাস্টার্স পর্যায়ে এমবিএ ইন টেক্সটাইল এন্ড অ্যাপারেল ভ্যালু চেইন।

    নিটারের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড.মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথী হিসেবে ছিলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরি, এম পি।বিশেষ অতিথী হিসেবে ছিলেন নিটার গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিটিএমর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন,
    বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মকবুল হোসেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথীর বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, দক্ষ জনশক্তি আমাদের আগামী শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রয়োজন। নিটার চতুর্থ শিল্প বিল্পবে শিল্পখাতকে নেতৃত্ব দিবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
    মুজিব বর্ষের প্রক্কালে অনুষ্ঠিত নবীনবরণ কে ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ্য করেন তিনি।

    শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিটার কে – দেশেরত্ম শেখ হাসিনা টেক্সটাইল প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরের দাবি জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম উদ্দ্যোগ নিয়েছেন। বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দক্ষ জনশক্তি তৈরি সম্ভব নয়। নিটারকে বিশ্ববিদ্যালয় করতে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করা হবে আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।

    উলে­খ্য, ১৯৭৯ সালে ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি)’ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (টিআইডিসি)’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো আজকের নিটার। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সনে প্রতিষ্ঠানটি আপগ্রেডেশনের লক্ষ্যে ‘জাতীয় বস্ত্র নকশা প্রণয়ন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র; সংক্ষেপে নিট্রেড নামে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা ২০০৭ সালে সমাপ্ত হয়।
    প্রকল্পটি বাস্তায়ন শেষে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)’ এর আলোকে পরিচালনার লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৯ সাল হতে কার্যকরীভাবে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।
    ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষ হতে নিটারে বি. এসসি. ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আগস্ট ২০১৫ ইং মাসে নিটারের অধ্যক্ষ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে দেশের শিল্পখাতে অটোমেশনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি নতুন বিষয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আই.পি.ই),
    ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং (এফডিএই) ও ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষ হতে বি.এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স (ইইই) বিভাগ এবং মাস্টার্স পর্যায়ে এমবিএ ইন টেক্সটাইল এন্ড অ্যাপারেল ভ্যালু চেইন কোর্স চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২০০০।


    টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ রয়েছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে নিটারের টেক্সটাইল ল্যাবরেটরি সুবিধা সর্বাধুনিক ও এই সময়ে দেশের সর্বোত্তম। নিটারের আইপিই বিভাগে আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ প্রয়োজনীয় সকল ল্যাবরেটরি ইতোমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে, যা আইপিই বিভাগ পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ।


    এছাড়াও নিটারের ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অন্যান্য ল্যাবের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ‘ডিজাইন স্টুডিও’ ও পৃথক ‘আর্ট ল্যাবরেটরি’। এছাড়াও সিএসই ও ইইই বিভাগেও রয়েছে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ও ইকুইপমেন্ট সমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি।
    এছাড়াও নিটারে রয়েছে বেসিক সায়েন্সের আধুনিক সকল ল্যাবরেটরি, ডিজিটালাইজড লাইব্রেরী, ক্যাফেটেরিয়া, খেলার মাঠ, ওয়াই-ফাই জোন ক্যাম্পাস সহ প্রয়াজনীয় সকল অবকাঠামোগত সুবিধা।

    অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed