তানভীর হোসেন সরকার , নিজস্ব প্রতিবেদক।।
গত ৩০ জুন, মঙ্গলবার প্রকাশিত হয় ৩৮ তম বিসিএস এর ফলাফল। চার লাখের কাছা কাছি প্রার্থী প্রিলিমিনারিতে অংশ নেয়।লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা শেষে মাত্র২ হাজার ২০৪ জন বিসিএস ক্যাডার অফিসার পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আরো ৬ হাজার ১৭৩ জন নন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সংগত কারনেই বিশাল সংখ্যক প্রার্থী প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছেন। আর যারা বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে এনেছেন তাদের মুখে আাজ অবারিত হাসি। আর তেমনই একজন শরিফুল ইসলাম সাওন। যিনি পুলিশ ক্যাডারে ১৩ তম স্থান অর্জন করেছেন।চলুন জেনে আসা যাক বিসিএস ক্যাডার হবার পেছনের গল্প…
শরিফুল ইসলাম সাওন সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার) এর ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী। পড়াশোনা করেছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
তিনি ইন্টার্ন সম্পন্ন করেন আম্বর ডেনিম থেকে।পরবর্তী কর্মজীবন শুরু করেন একটি স্বনামধন্য টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে। এখানে চাকুরির পাশাপাশি সরকারি চাকুরি তে ও আবেদন করেন। পেয়েও যান চাকুরি ১ টি নয় ২ টি নয় একেবারে ৩ টি । বাংলাদেশ ফিনান্স কর্পোরেশন এর অফিসার, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে অফিসার ।এই ৩ টি থেকে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক এর চাকুরী টি বেঁচে নেন। উল্লেখ্য যে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক চাকুরী পরিক্ষায় ১৭ তম স্থান অর্জন করেন এবং এখানেই তিনি Financial Inclusion Department এ অফিসার হিসেবে চাকুরী শুরু করেন নতুন ভাবে।
৩৮ তম বিসিএস এর সার্কুলার হয় ১৯ জুন ২০১৭ সালে। মূলত বিসিএস কে টার্গেট করে উনি পড়াশোনা করেছেন।
বেশি পড়তেন বাংলাদেশ এন্ড গ্লোভাল স্টাডিজ। তাই যখনই সময়,পেতেন তখন তিনি কিছু না কিছু পড়তেন।চাকুরী কারার কারনে সময় বেশি পেতেন না, তারপরেও তিনি থেমে থাকেন নি। সব সময় কে তিনি কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেন।যার ফলশ্রুতিতে আজকের এই গৌরব উজ্জ্বল ঈর্ষণীয় ফলাফল। বিসিএস এ পুলিশ ক্যাডারে ১৩ তম স্থান লাভ। তিনি সহকারী পুলিশ সুপার (ASP) পদের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। ৩৮ তম বিসিএস উনার জীবনের প্রথম বিসিএস এবং প্রথম চয়েজ ছিলো পুলিশ ক্যাডার।
ভবিষ্যতে যারা বিসিএস এ সফল হতে চায় তাদের প্রতি কি উপদেশ থাকবে এমনটি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, পড়াশোনার বিকল্প নেই।পড়াশোনা করতে হবে। যার যে বিষয়ে আগ্রহ এবং দুর্বলতা আছে উভয় বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।বিসিএস একটা ম্যারাথনের মতো এখানে ধৈর্য, মেধা আর পরিশ্রম সব কিছুর সম্মিলন থাকতে হবে। যে যখন সময়,পাবেন স্টাডি করতে হবে।মোবাইল, ল্যাপটপ হাতের কাছে যা থাকুক তার মাধ্যমেই পড়তে হবে”।
উল্লেখ্য যে, নিটার দেশের বস্ত্র প্রকৌশল শিক্ষার উল্লেখযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রযুক্তি ইউনিট’ এর অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। নিটারের গ্রেজুয়েটরা দেশের বস্ত্রখাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
Reporter :
Md.Tanvir Hossain Sarker….NITER.
Email:[email protected]