Sunday, November 24, 2024
Magazine
More
    HomeTechnical Textileপরিবেশ দূষন রোধে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির যে উদ্যোগগুলো গ্রহন করা দরকার

    পরিবেশ দূষন রোধে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির যে উদ্যোগগুলো গ্রহন করা দরকার



    ‘Sustainable’ শব্দটির মানে হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব। টেক্সটাইল এর সাথে এই কথাটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশেষ করে টেক্সটাইল শিল্পে বাংলাদেশের জন্য বর্তমান সময়ে এই কথাটা শুনতে হচ্ছে অহরহ।এর কারণ কি??
    এর পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

    অন্যান্য টেক্সটাইল শিল্প রিলেটেড দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের পরিবেশ যথেষ্ট খারাপ।এতোটাই খারাপ যে বসবাস,চাষাবাদ, খামার,প্রকৃতির উপর প্রচুর পরিমাণে নেগেটিভ প্রভাব পড়ছে।শিল্পের আবর্জনা গিয়ে পতিত হচ্ছে খাল-বিল,নদীতে। এর ফলে কি হয় তা আর বলতে হয়না।এছাড়াও বায়ুতেও এর প্রভাব রয়েছে।

    এসব কারণে মানুষ, পশু এমনকি গাছপালাও শিকার হচ্ছে অসুস্থ পরিবেশের।যেখানে অন্যান্য দেশ এর থেকে প্রতিকারের পথ বের করে এর পজেটিভ ফল ভোগ করছে সেখানে আমরা আজও হাত গুটিয়ে বসে আছি।যদিও কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে(প্লামি ফ্যাশন, এনভয় গ্রুপ…..) কিন্তু এই গুটিকয়েক শিল্প প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে হবেনা।

    এখন কথা হচ্ছে কিভাবে এর প্রতিকার করা সম্ভব???
    হ্যা এটা একটা আলোচ্য বিষয়।টেক্সটাইল এর দিক থেকে বিবেচনা করলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।

    ১) আমরা যে প্লাস্টিক ব্যবহার করি এটা অপচনশীল।কিন্তু এই প্লাস্টিক থেকেই আমরা ম্যান মেড ফাইবার তৈরি করতে পারি।
    ২)আমরা জানি জুট থেকে পলিথিন আবিষ্কার হয়েছে।প্রতিনিয়ত কি পরিমাণ পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে তা ভাবনার অতীত। তাই আমাদের জুট থেকে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
    ৩)পানির রিসাইক্লিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।তাহলে কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি জলাশয়ে মিশে পরিবেশের ব্যাঘাত ঘটাতে পারবেনা।
    ৪) লেজার প্রিন্টিং জাতীয় টেকনোলজির ব্যবহার বৃদ্ধি করা
    ৫) শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত সেফটি নিশ্চিত করা
    ৬) এসব বিষয়ে গবেষণার প্রসার ঘটানো

    ইতিমধ্যে সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করে রয়েছে।যেমন গ্রীণ ফ্যাক্টরি করার লক্ষ্যে সরকার ৩৫%থেকে কমিয়ে মাত্র ১০% ভ্যাট আরোপ করেছে।



    মনে রাখতে হবে এই শিল্পই আমাদের মেরুদণ্ড। এটার দিকে তাকিয়ে আছে তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভারত, চীনসহ অনেক দেশ।গুণগত মান ও পরিবেশ বজায় রাখতে সচেতনতা ও কার্যক্রম জরুরি। নাহলে কি হয় বলা যায়না।

    লেখক :
    মোঃ হাসিবুল হাসান সুজন
    শিক্ষার্থী, টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট
    (বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন & টেকনোলজি)





    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed