Saturday, December 21, 2024
Magazine
More
    HomeRMGপোশাকশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি পোশাকশিল্প

    পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি পোশাকশিল্প

    একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নির্ভর করে সে দেশ শিল্পে কতটা উন্নত তার উপর। তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাত।আনেক প্রতিকূলতা এবং আনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গত কয়েক দশকের পথ পরিক্রমায় দেশের তৈরি পোশাকশিল্প আজকের এ পর্যায়ে এসেছে। আজকে আমাদের দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮২ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত এখন একটি রোল মডেল বিশ্বের কাছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তিনটি রপ্তানিমুখী খাতে পোশাক শিল্পই অন্যতম। প্রতিবছরই রপ্তানী আয় বাড়ছে।

    জাপান,কানাডা,মেক্সিকো,প্রতিটি পোশাকশিল্পের বাজার চাহিদা বেশি এবং তা বাড়ছে প্রতি বছরই। আমাদের দরকার এসব দেশের বাজার চাহিদা অনুধাবনপূর্বক আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা, তাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক তৈরি করা। ২০২১ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের গত আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি)তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৭৫৬ কোটি ডলার,রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারিতেই রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। গত আট মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ২ হাজার ৩১৩ কোটি ডলার। প্রায় সমপরিমাণ আয় এসেছে পোশাক খাতের দুই নিট ও ওভেন পণ্য থেকে।

    পোশাক খাতের উন্নয়নের ধারা গোটা অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।বিগত ১০ বছরে জিডিপিতে শিল্পের আবদান ২৯.৮৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩.৬৬শতাংশ হয়েছে। আর একই সময়ে জিডিপিতে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের শেয়ার ১৭.৯০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২২.৮৫ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ জিডিপিতে সামগ্রিক বিনিয়োগের ভাগ ৩১.৪৭ শতাংশ। প্রক্ষেপণ ৩৩.৫৪ শতাংশ। বর্তমানে আমাদের সামনে রয়েছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা, যার মধ্যে সর্বমোট ১৭ টি লক্ষ্য রয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের পোশাক খাত বিশ্বে সবুজ শিল্পায়নেরও এক রোল মডেল বটে। বর্তমানে ৮২ টি গ্রিন কারখানা রয়েছে,যার মধ্যে ২২ টি প্লাটিনাম ক্যাটাগরির। USGBC থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে বিশ্বের সেরা ১০টি LEED প্লাটিনাম কারখানার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশের। বাংলাদেশের এই আপার সম্ভাবনাময় খাত কে আরো অনেক দূর এগিতে নিতে হলে আমাদের দরকার পোশক শিল্পের সাথে উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়, আটোমেশন প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং দক্ষ জন শক্তির।

     

    মোঃতানভীর হোসেন সরকার 

    ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ,

    ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ(নিটার)

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed