অদূরে সাভারের নয়ারহাটে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর শিক্ষার্থীদের গত ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ মঙ্গলবারে করা আন্দোলনের ভিত্তিতে নিটারিয়ানদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা। গত ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ এ নিটারের ১৪ জন শিক্ষার্থীর একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
৪ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে বারোটায় নিটার প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন হয় এবং প্রথমে সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন নিটারের তৃতীয় বর্ষের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম। তিনি জানান ক্যাম্পাসে যারা দূর্নীতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষকেরা তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের আহত করে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে নিটারের চতুর্থ বর্ষের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ তার বক্তব্যে জানান তারা নিটার সংস্করণের দাবিতে কর্মসূচি গ্রহণ করেন এবং উক্ত কর্মসূচিতে সকল শিক্ষকদের সার্বিক সহায়তা করে নিটারের শিক্ষার্থীরা। এরপর নিটারের রেজিস্ট্রার ইকবাল রেজা সার্বিক সময়ে স্টুডেন্টদের সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সবশেষে নিটারের সিএসই বিভাগের হেড উম্মে সারা সার্বিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক বলে জানান এবং বিটিএমএ, বিটিএমসি এর আওতার বাইরে এসে ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিষয়গুলোর স্থায়ী সমাধানের জন্য আহ্বান করেন।
অপরদিকে শুরুতে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে বসার কথা থাকলেও পরবর্তীতে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত স্যারের সাথে সচিবালয়ে বৈঠক করেন উক্ত ১৪ জন শিক্ষার্থী এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিটিএমসি এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল হক স্যার। এসময় বিটিএমএ থেকে কোনো সাড়া পাননি উপদেষ্টা মহোদয়। নিটারের প্রতিনিধি দলে নিটার অ্যালামনাই এর দুইজন সিনিয়র ভাই উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো সমাধানের আশ্বাস পায় যার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হলো নিটারকে সরকারীকরণ, মাল্টিপল স্টকহোল্ডার থেকে বের হয়ে একমুখী হওয়া, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সেশন জট নিরসন এবং স্বল্পমেয়াদী সমাধানের মধ্যে রয়েছে শীঘ্রই ক্লাস শুরু, অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিচারের আওতায় আনা এবং নিটারিয়ানদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করা।
মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় আরও জানান তিনি স্বশরীরে নিটার ক্যাম্পাসে আসবেন। শীঘ্রই ন্যায্য দাবি আদায় করতে পারবে বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা।