টেক্সটাইল সেক্টরে একাধিক ডাইজ এর ব্যবহার এবং একাধিক ডাইং পদ্ধতি প্রচলিত আছে । ডাইজের মাদ্ধ্যমে কাপড়কে বিভিন্ন নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়। ডাইজ এর কারুকার্য কাপড়কে আকর্ষনীয়ভাবে তুলে ধরে এবং কাপড়কে রঞ্জন করার পদ্ধতিকে সাধারণত ডাইং পদ্ধতি বলে।
প্রচলিত ডাইং পদ্ধতির মধ্যে উল্লেখ করা যেতে পারে যাদের নাম সেগুলি হচ্ছে : কন্টিনিউয়াস প্যাডডাই , জিগার ডাই , টাম্বল ডাই , ক্রস ডাই , বিম ডাই , রােগ ডাই ,টপ ডাই ইত্যাদি।
কাপড়ের রং করার জন্য ডাইজ এর ব্যবহার এবং ডাইং পদ্ধতি টেক্সটাইল সেক্টরে একটি বিশদ অধ্যায় । পর্যাপ্ত পেশাগত ট্রেনিং ছাড়া এই বিষয়ে পুরােপুরি জ্ঞানার্জন সম্ভব নয় । গার্মেন্টস মার্চেণ্ডাইসিং এর সাথে যারা জড়িত তাদরকে ডাইজ এর ব্যবহার এবং ডাইং পদ্ধতি সম্বন্ধে কমপক্ষে প্রাথমিক ধারণা রাখা উচিৎ । বিশেষ করে কাপড়ের রং করার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ডাইজ এর বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণ সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা রাখা জরুরী ।
প্রচলিত ডাই এর মধ্যে উল্লেখ করা যেতে পারে যেগুলির নাম সেগুলি হচ্ছে :
১/ ডাইরেক্ট ডাই ;
২/ সালফার ডাই ;
৩/ রি এ্যাকটিভ ভাই ;
৪/ ভ্যাট ডাই ;
৫/ ইণ্ডিগো ডাই ;
৬/ পিগমেন্ট ডাই ইত্যাদি ।
◾নিম্নে কতিপয় ডাই সম্বন্ধে কিছু প্রাথমিক ধারণা দেয়া
হলাে ➖
🔹ডাইরেক্ট ডাই –
ডাইরেক্ট ডাই দ্বারা কালার করা কাপড় উজ্জ্বল দেখায় তবে এই রং পাকা নয় । ইহা ক্লোরিন ব্লিচ সহ্য করতে পারে না এবং ইহার ক্রকিং স্ট্যাণ্ডার্ড নিম্নমানের । অতি অল্প রাবিং এর ফলেই এই রং উঠে যায় । এতে খরচ কম এবং এর ব্যবহারও সহজ । তবে সবচাইতে মারাত্মক হল যে ডাইরেক্ট ডাই করা কাপড় ( বিশেষ করে লাল রং এর ডাইরেক্ট ডাই কাপড় ) অন্য কাপড়ের যেমন সাদা কাপড়ের সাথে ওয়াস করলে , লাল রং উঠে গিয়ে সাদা কাপড়কে লাল রংএ রঞ্জিত করে ফেলে । ইহা একটি বড় সমস্যা ।অনেক সময় একই গার্মেন্টস – এ একাধিক রং এর কাপড় ও এক্সেসরিজ ব্যবহার হয় । এই সব ক্ষেত্রে । কাপড় ও এক্সেসরিজ অর্ডার দেবার সময় মার্চেন্ডাইজারকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে করে সাপ্লাইয়ারগণ । কোন ডাইরেক্ট ডাই ব্যবহার না করেন ।
🔹সালফার ডাই –
সালফার ডাই , ডাইরেক্ট ডাই অপেক্ষা উন্নতমানের । খরচটাও মােটামুটি গ্রহণযােগ্য । সাধারণত কালাে , নেভি ইত্যাদি ডার্ক কালার কাপড়ের জন্য সালফার ডাই ব্যবহার হয় । ইহা ক্লোরিন ব্লিচ সহ্য করতে পারেনা এবং ইহার ক্রকিং স্ট্যাণ্ডার্ড নিম্নমানের । এই ডাইজ ব্যবহৃত কাপড়ও অন্য কাপড়কে রঞ্জিত করতে পারে তবে তার মাত্রা ডাইরেক্ট ডাইজ ব্যবহৃত কাপড় অপেক্ষা অনেক কম । বায়ারের বিশেষ কোন নির্দেশনা থাকলে খরচ কমানাের জন্য ডার্ক কালারের কাপড়ের জন্য মার্চেন্ডাইজারগণ সাপ্লাইয়ারকে সালফারডাই এর ব্যবহার অনুমােদন করতে পারেন ।
🔹রি-এ্যাকটিভ ডাই –
সাধারণত প্যাস্টেল ও উজ্জল কালারের জন্য রি – এ্যাকটিভ ডাই ব্যবহার করা হয় । নরমাল ওয়াশিং – এ । সাধারণত এই রং উঠে না । ইহা ক্লোরিন ব্লিচ সহ্য করতে পারে না তবে ইহার ক্রকিং স্ট্যাণ্ডার্ড ভাল । অধিকাংশ রি – এ্যাকটিভ ডাই অন্য কাপড়কে ( লাল ও ব্লু ছাড়া ) রঞ্জিত করে না কিংবা করলেও মাত্রায় । অতি নগণ্য । ডার্ক কালারের জন্য রি – এ্যাকটিভ ডাই ব্যবহারে খরচ বেশী তবে এই ক্ষেত্রে রং পাকা ও রি – এ্যাকটিভ ডাই উজ্জ্বল । গার্মেন্টস অর্ডারের প্রয়ােজনে যদি রি – এ্যাকটিভ ডাই করার প্রয়ােজন হয় তবে সেক্ষেত্রে মার্চেন্ডাইজার সাপ্লাইয়ারকে প্রয়ােজনীয় নির্দেশাবলী প্রদান করবেন ।
🔹ভ্যাট ডাই –
ভ্যাট ডাই , রি – এ্যাকটিভ ডাই অপেক্ষা উন্নতমানের এবং ইহাতে খরচও বেশী । এই রং পাকা , ক্রকিং স্ট্যাণ্ডার্ড ভাল , অন্যকে রঞ্জিত করে না এবং ইহা ক্লোরিন ব্লিচ সহ্য করতে পারে ।
🔹পিগমেন্ট ডাই –
পিগমেন্ট ডাই একটি খনিজ ডাই , ইহা মসৃণ পাওডার আকারে পাওয়া যায় । অন্যান্য ডাইজ এর ন্যায় ইহা পানিতে দ্রবণীয় নয় । সাধারণত সলিড , পিস ডাইড কাপড়ের জন্য পিগমেন্ট ডাই ব্যবহার হয় । ইয়ার্ণ ডাইড কাপড়ের জন্য ইহা ব্যবহার হয় না বললেই চলে ।
Khadijatul jannat Promy
Bangladesh home economics college
22th batch of clothing and textile department, 3rd year
Source : Fashion drawing
Hazel R. Doten and
Constance Boulard.
& Google.com
Bad Quality Information