💥 সবার আগে আমদের জানতে হবে টেক্সটাইল ফাইবার কি?
ল্যাটিন শব্দ ‘textiles’ থেকে টেক্সটাইল শব্দের উৎপত্তি। যার ভিত্তি হচ্ছে verb ‘texer to weave’.
টেক্সটাইল শব্দের অর্থ বোঝানো বা ব্যাখ্যা করা কঠিন। কিন্তু আধুনিক কালে টেক্সটাইল শব্দের ব্যাবহার বেড়েছে। কাপড় তৈরি করতে সুতা প্রয়োজন। সুতা তৈরিতে যেসব তন্তু বা আঁশ ব্যাবহার করা হয় তাকে টেক্সটাইল ফাইবার বলে।
টেক্সটাইল ফাইবার কে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১। প্রাকৃতিক ফাইবার
২। কৃত্রিম ফাইবার
💥 ১। প্রাকৃতিক ফাইবার: যে সমস্ত ফাইবার সরাসরি প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত সেই ফাইবার গুলোকে প্রাকৃতিক ফাইবার বলে । যেমনঃ তুলা,সিল্ক, ফ্লেক্স,পাট,কেপক,রেমি, কেনাফ, হেম্প, সিসাল, কয়ার, পিনা ইত্যাদি।
💥 ২। কৃত্রিম ফাইবার: যে ফাইবার সরাসরি প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত নয় অথবা সম্পূর্ণ রুপে পরীক্ষাগারে নির্মিত এবং মানুষের তৈরি সেই ফাইবার গুলোকে কৃত্রিম ফাইবার বলে। যেমনঃ রেয়ন, অ্যাসিটেট, ট্রাইএসিটেট, নায়লন, পলিয়েস্টার, স্পানডেক্স, স্যারন, এরামিড, একরাইলিক, ভিনিয়ন, মোড একরাইলিক ওলোফিন, নভোলয়েড, পলিকার্বনেট, রাবার, এলজিনেট, মেটাল, গ্লাস, সিরামিক, গ্রাফাইট ইত্যাদি।
💥 প্রাকৃতিক ও কৃএিম ফাইবার দিয়ে পোলো টি শার্ট তৈরী করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে পোষাক শিল্পের মধ্যে তরুণদের কাছে পোলো টি-শার্ট খুব জনপ্রিয়, শুধুমাত্র দেশিও বাজারে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও পলো টি-শার্টের ট্রেন্ডি আইটেমগুলোর রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
💥 পোলো টি শার্ট:
একটি পোলো শার্ট হল শার্টের একটি ফর্ম যা কলার, তিনটি বোতামযুক্ত একটি প্ল্যাককেট নেকলাইন এবং পকেট।পোলো শার্টগুলি সাধারণত স্বল্প হাতা। সেগুলি মূলত 1920 এর দশকে পোলো প্লেয়ারদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছিল।
পোলো শার্টগুলি সাধারণত বোনা কাপড়ের তুলনায় তৈরি হয় (বোনা কাপড়ের বদলে) সাধারণত পিকুই বোনা বা কম সাধারণত একটি ইন্টারলক বোনা, বা অন্যান্য তন্তু যেমন সিল্ক, মেরিনো উল, সিন্থেটিক ফাইবার বা প্রাকৃতিক এবং সিন্থেটিক ফাইবারগুলির সংমিশ্রণ ব্যবহার করে।শার্টের একটি পোষাক-দৈর্ঘ্যের সংস্করণটিকে পোলো পোষাক বলা হয়।
💥 Polo T-shirt এর ইতিহাস:
পোলো শার্টের ইতিহাস শুরু হয় ১৯ শতকের শেষের দিকে, বাইরের কাজগুলি ব্রিটিশ শাসক শ্রেণীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যোধপুর প্যান্ট এবং পোলো শার্ট ঘোড়া সম্পর্কিত ক্রীড়াগুলির জন্য পোশাকের অংশ হয়ে উঠল। পোলো খেলার পাশাপাশি দুটি পোশাক ভারত থেকে ব্রিটিশরা ফিরিয়ে এনেছিল।মূল পোলো শার্টগুলি সমকালীন বোতাম ডাউন স্পোর্ট শার্টগুলির মতো ছিল।এগুলি বোতামযুক্ত, লম্বা বা স্বল্প-কাট শার্টযুক্ত ছিল, পোশাক শার্টের চেয়ে বেশি উপাদান দিয়ে তৈরি করা এবং বোতাম-ডাউন কর্ন বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এই কারণে, ব্রুকস ব্রাদার্স তার অক্সফোর্ড কাপড়ের বোতামের ডাউন লাইন শার্টগুলি “অরিজিনাল পোলো” হিসাবে বাজারজাত করে।
💥 কিভাবে Polo T-shirt তৈরি করা হয়?
Polo T-shirt তৈরি করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভালো মানের ফেব্রিক্স বাছাই করা। ফেব্রিক্স এর GSM দেখা।
💥 জি এস এম কি?
জি এস এম বলতে বোঝায় গ্রাম পার স্কয়ার মিটার। প্রতি বর্গমিটারে কতটুকু ওজনের ফেব্রিক রয়েছে তা নির্ধারণ করা হয় জিএসএম এর মাধ্যমে। এটি ওজন পরিমাপের মেট্রিক পদ্ধতি।
জি.এস.এম মূলত কাপড়ের ঘনত্বের উপর নির্ভর করে। টি-শার্টের সাধারণত ১৬০ জি.এস.এম থেকে শুরু হয়, তবে ১৮০ জি.এস.এম-এর কাপড় দিয়ে কোয়ালিটি সম্পন্ন টি-শার্ট তৈরী হয়। ২০০ জি.এস.এম এর কাপড় নিতে হবে শীতের পোষাক তৈরী করার জন্য, যেমন- শীতের হুডি, ফুল হাতা পলো শার্ট অথবা অন্যান্য শীতের আইটেমগুলো।
💥 বিভিন্ন রকম ফেব্রিক্স দিয়ে পোলো টি শাট তৈরি করা যায়। যেমনঃ ফাইন কটন, মার্সিলেস, পিকে, কটন মিক্সড, চায়না সফট স্ট্রিছ কটন, স্পেনডেক্স কটন মিক্স, ব্লেন্ডেড ফেব্রিক, পলিস্টার কটন, জ্যাকার ফেব্রিক ইত্যাদি।
Writer information:
Israt Jahan Nadia.
College of Home Economics.