অল ওভার প্রিন্টিং টেকনোলজিস্টস বাংলাদেশ – এওপিটিবি” সংগঠন অল ওভার প্রিন্টিং সেক্টরের বর্তমান চ্যালেঞ্জ বিষয়ক একটি অনলাইন সেমিনার করেন। অনলাইন সেমিনারটি রবিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টায় জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুটেক্সের প্রতিষ্ঠাতা ভিসি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের উপদেষ্টা এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি জনাব প্রফেসর ড. নিতাই চন্দ্র সুত্রধর। সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন এওপিটিবি এর সভাপতি এবং ইউনিফিল টেক্স বিডি গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার অপারেশন জনাব ইঞ্জি, এস, এম, আব্দুর রহমান।
কী-নোট স্পিকার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এওপিটিবি এর সহ সভাপতি এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের জেনারেল ম্যানেজার অপারেশনইঞ্জি, মোহাম্মদ জামাল মিয়া। এছাড়াও অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার গ্রুপের এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর দিলীপ কুমার বৈদ্য, এওপিটিবি এর উপদেষ্টা ও ইউনিফিল গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার অপারেশন মো: সাইদুর রহমান এবং সওফটেক্স লি: এর ডিজিএম আব্দুল বাশার। সেমিনারটিতে মডারেটর হিসেবে ছিলেন জিএমএস কম্পজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ লি: এর জিএম প্রিন্টিং ইঞ্জি, মো, সালাউদ্দিন রিপন এবং কো মডারেটর হিসেবে ছিলেন এওপিটিবি এর সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিফিল গ্রুপের ম্যানেজার ক্যাড মো, সওকত হোসেন সোহেল।
৮০ দশকের শুরু হতে বাংলাদেশে অল ওভার প্রিন্টিং এর যাত্রা শুরু হয়। তখন হাতে গুনা কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে অল ওভার প্রিন্টিং ছিল। ২০২২ সালে এওপিটিবি এর জরিপে ১৮০ টি ফ্যাক্টরিতে অল ওভার প্রিন্টিং চলমান রয়েছে। যার কারণে ব্যপকভাবে এই সেক্টরে প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে। আরো বেড়েছে ডাইস-ক্যমিকেল সহ প্রিন্টিং এর যাবতীয় সরঞ্জামের দাম।
সেই সাথে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে অল ওভার প্রিন্টিং সেক্টর। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য অনেকেই কম প্রাইজে প্রিন্ট করছে। আর বায়াররা এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে দিন দিন প্রাইজ কমিয়ে দিচ্ছে। এর থেকে উত্তরণ পাবার জন্য এওপিটিবি প্রতিনিয়ত সেমিনার করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবারের সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. নিতাই চন্দ্র সুত্রধর বলেন, “আমরা যদি নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা না করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারি তাহলে সামনে আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে।”
কস্টিং এর বিষয়ে বলতে গিয়ে সেমিনারের কী-নোট স্পিকার ইঞ্জি. মোহাম্মদ জামাল মিয়া বলেন,”বর্তমানে প্রতিযোগিতা মূলক পরিবেশ, কম টাকায় অর্ডার নেয়ার কারণে আমাদের অবস্থা দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো । কোম্পানিগুলোকে কস্টিং সম্পর্কে জানতে হবে এবং কম টাকায় প্রোডাক্ট এর অর্ডার না নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিয়ে ভালো কোয়ালিটির পণ্য দিতে হবে।”
এওপিটিবি সম্পর্কে ইঞ্জি, এস, এম, আব্দুর রহমান বলেন, “এরই মধ্যে এওপিটিবি ৩০-৩৫টির বেশি সেমিনার করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়েও আমরা সেমিনার করেছি এবং তারা আমাদের সম্পর্কে জানে। আমরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এই সংগঠন পরিচালনা করে আসছি। এ ভাবে এওপিটিবি এগিয়ে যাচ্ছে।”