Saturday, December 21, 2024
Magazine
More
    HomeGarments & Apparelপ্রোডাকশন ফ্লোরে অপারেটর এফিশিয়েন্সি যেভাবে নির্ণয় করবো

    প্রোডাকশন ফ্লোরে অপারেটর এফিশিয়েন্সি যেভাবে নির্ণয় করবো

    আমাদের গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি তে অপারেটরদের এফিশিয়েন্সি বা কর্মদক্ষতা বিশাল বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। ভালো মানের এফিশিয়েন্সি এর অপারেটর দিয়ে প্রোডাকশান ফ্লোর সাজানো থাকলে সময় মত অর্ডারটি শিপমেন্টের জন্য প্রস্তুত করা যায়। এই অপারেটরদের এফিশিয়েন্সি এর সাথে কোন অর্ডারের প্রোডাকশন রেটের সম্পর্কটা অনেকটাই সমানুপাতিক। তাই প্রোডাকশন টার্গেট নিশ্চিত করতে অপারেটরদের এফিশিয়েন্সি নির্ণয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমাদের এই ব্লগে অপারেটরদের এফিশিয়েন্সি যেভাবে বের করবো, সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

    আমরা যেভাবে অপারেটরদের এফিশিয়েন্সি বের করবো;

    অপারেটর এর এফিশিয়েন্সি নির্ণয় করতে হলে প্রথমেই আমাদের কে যে যে বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হলো;

    ১) একজন অপারেটর প্রতি শিফটে টোটাল যতগুলো প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন।
    ২) প্রোডাকশন ফ্লোরে SAM (Standard Allowed Minutes)
    ৩) প্রতি ওয়ার্কিং শিফটে যত ঘন্টা মেশিন অপারেট করা হয়।

    এখন নিম্নোক্ত সূত্রের মাধ্যমে আমরা অপারেটর এফিশিয়েন্সি বের করে নিতে পারবো।

    অপারেটর এফিশিয়েন্সি =

    {(প্রতি ওয়ার্কিং শিফটে একজন অপারেটর সর্বমোট যতগুলো প্রোডাক্ট তৈরি করতে সমর্থ হন X প্রোডাকশন ফ্লোরে SAM) ÷ (প্রতি ওয়ার্কিং শিফটে যত ঘন্টা মেশিন অপারেট করা হয় X ৬০)} X ১০০

    = {(A X SAM) ÷ (B X ৬০)} X ১০০

    যেখানে;

    A = প্রতি ওয়ার্কিং শিফটে একজন অপারেটর সর্বমোট যতগুলো প্রোডাক্ট তৈরি করতে সমর্থ হন।
    B = প্রতি ওয়ার্কিং শিফটে যত ঘন্টা মেশিন অপারেট করা হয়।

    সমস্যা: ধরা যাক, ‘ক’ নামের একজন অপারেটর ৭ ঘন্টার ওয়ার্কিং শিফটে সর্বমোট ৩০০ টি গার্মেন্টস তৈরি করতে সমর্থ। এখন প্রোডাকশন ফ্লোরে Standard Allowed Minutes (SAM) ০.৫ হলে, ‘ক’ নামের অপারেটর এর এফিশিয়েন্সি কত ? (ওয়ার্কিং শিফটের ৭ ঘন্টাই মেশিন চলে)

    সমাধান:

    দেওয়া আছে,

    প্রোডাকশন ফ্লোরে Standard Allowed Minutes (SAM) = ০.৫
    প্রতি ওয়ার্কিং শিফটে ‘ক’ অপারেটরের সর্বমোট তৈরিকৃত গার্মেন্টস এর সংখ্যা, A = ৩০০ টি
    প্রতি ওয়ার্কিং শিফটে যত ঘন্টা মেশিন অপারেট করা হয়, B = ৭ ঘন্টা।

    এখন;

    অপারেটর এফিশিয়েন্সি =

    {(প্রতি ওয়ার্কিং শিফটে একজন অপারেটর সর্বমোট যতগুলো প্রোডাক্ট তৈরি করতে সমর্থ হন X প্রোডাকশন ফ্লোরে SAM) ÷ (প্রতি ওয়ার্কিং শিফটে যত ঘন্টা মেশিন অপারেট করা হয় X ৬০)} X ১০০

    = {(A X SAM) ÷ (B X ৬০)} X ১০০

    = {(৩০০ X ০.৫) ÷ (৭ X ৬০)} X ১০০

    = ৩৫.৭১ %

    সুতরাং, এইখানে আমাদের ‘ক’ অপারেটর এর এফিশিয়েন্সি হলো ৩৫.৭১ %.

    References:

    1) www.accountingtools.com
    2) www.softschools.com

    Writer information:

    Name: Badhon Saha
    Institute: Primeasia University
    Batch: 181
    Department: Textile Engineering.
    E-mail: [email protected]
    Contact number: +880 1714-692688


    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed