Flax এর বাংলা প্রতি শব্দ তিসি,শণ,তেলবীজ বিশেষ, মসিনা।ফ্লাক্স এক ধরনের নরম জাতীয় পদার্থ, নমনীয়,চিকন বা চাকচিক্যময়। একে স্বর্ণকেশী ও বলা হয়।এটি কটন থেকে শক্তিশালী কিন্তু ইলাস্টিক থেকে কম।
পৃথিবীর প্রথম ব্লাস্ট ফাইবার হচ্ছে ফ্লাক্স।একে পাটের ভাই বলা হয়। কান্ড থেকে এদের সংগ্রহ করা হয়।ফ্লাক্স থেকে যেমন যেমন ফাইবার সংগ্রহ করা হয় তেমনি এর থেকে বীজ ও সংগ্রহ করা হয়।বীজ থেকেও তেল উৎপাদন করা হয়।
লিলেন উৎপাদনের জন্য টেক্সটাইলে প্রথম ফ্লাক্স ব্যবহার করা হয়।১৭ দশকের দিকে পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লিলেন উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন শিল্প করখানা স্থাপন করা হয়। যাতে করে ফ্লাক্স থেকে লিলেন উৎপাদন করা যায়।ফ্রান্স, বেলজিয়াম,কানাডা, চীন, আমেরিকা ভারতে ফ্লাক্স উৎপাদন করা হয়।বাংলাদেশ ও ফ্লাক্স উৎপাদন করা হয়। তবে তা থেকে শুধু তেলবীজ পাওয়া যায়। আকারে ছোট হওয়ার কারনে সেখান থেকে ফাইবার সংগ্রহ করা যায় না।
ফ্লাক্স গাছের উচ্চতা ০.৫ মি. থেকে ১.২৫ মি.হয়।প্রস্থ প্রায় ১.৬ থেকে ৩.৩ মি.মি.। ফ্লাক্সে ৭০ – ৭৫ % সেলুলোজ ২০-২৫ % হেমি সেলুলোজ, ২.০-৩.০% লিলেন থাকে।
প্রথম দিকে ফ্লাক্স দিয়ে বিভিন্ন রকমের Damasks, lace, shetting, ইত্যাদি তৈরি করা হতো।পরবতীতে Canvas, webbing equipment, twine,rope তৈরি করা হয়।এরপর raw materials হিসাবে উন্নত মানের পেপার হিসাবে Banknotes, laboratory Paper(bolting & filtering), rolling paper & tea bags etc.
বর্তমানে ফ্লাক্স থেকে সুতা তৈরির মাধ্যমে উন্নত মানের কাপড় তৈরি করা হচ্ছে। যা আরামদায়ক ও টেকসই।গরমের দিনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে সুতি ও লিলেনের তৈরি জমা, শার্ট,টি শার্ট। ফ্লাক্স হাইড্রোফিলিক,আরামদায়ক, তাপশোষন করী,আদ্রতা অতিক্রমকরী,শক্তিশালী ও ঘর্ষণ প্রতিরোধকরী।বর্তমানে মাস্ক তৈরিতে ফ্লাক্স ফাইবার ব্যবহার করা হয়।
এই ফাইবারের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ফ্লাক্স এর উৎপাদন আমাদের দেশে বৃদ্ধি করতে হবে।নিতে হবে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পদক্ষেপ। উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার এর উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। তার সাথে উন্নত জাতের বীজ প্রয়োজন যাতে করে ফাইবার সংগ্রহ করা যায়।
তথ্য ঃ Google,Wikipedia
Nafiza Nizami Department Of Textile Engineering BGMEA University of Fashion & Technology (BUFT)