ঢাকা শহড় থেকে প্রায় ২১০ কিঃমি উওরে বগুড়া জেলা অবস্থিত। উওরবঙ্গের রাজধানী ও বলা চলে এ শহড়টিকে।প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিখ্যাত হয়ে আছে বগুড়া। বগুড়ার দই তো সারা বাংলায় বিখ্যাত। সনতান ঘোষ সম্প্রদায়ের হাত ধরে দই এর বাণিজ্য শুরু হলেও এখন তা আর তাদের হাতে নেই।যাই হোক আমরা, ইতিহাসের অতল গহব্বরের নিমজ্জিত না হয়ে চলুন জেনে আসি মিল্ক ফাইবার কি?!!
মিল্ক বা দুধ হতে প্রাপ্ত প্রোটিন ফাইবার ই হলো মিল্ক MILK FIBER. দুধে থাকে কেসিন প্রোটিন।।আর যেহেতু দুধ এর প্রোটিন থেকে এটি তৈরি হয় তাই অনেক সময় এর নাম কেসিন ফাইবার বলা হয়।।
উৎপাদন প্রক্রিয়াঃ-
১.প্রথমে দুধ থেকে ডিহাইড্রেশন প্রসেসে পানি বের করে নেওয়া হয়।
২.সর বা Skimmed ছেকে ফেলে দেওয়া হয়।
৩.অবশিষ্ট দুধ এর প্রোটিন(কেসিন) স্পিনিং এর জন্য পাঠানো হয়।
৪.ওয়েট স্পিনিং করা হয়
৫.ওয়েট স্পিনিং থেকে প্রাপ্ত ফিলামেন্ট কে কেমিক্যাল ফরমালডিহাইড যুক্ত করা হয় এবং ওয়াসিং এর জন্য পরবর্তী ধাপে পাঠানো হয়।
৬.ওয়াশিং এর পর এটিকে শুকানো হয় এবং নিদিষ্ট লেন্থে কাটা হয়।
৭.সর্বশেষে ফাইবার কে প্যাকেজিং করা হয় এবং বিপনন এর জন্য মার্কেটে প্রেরণ করা হয়।
দুধে থাকে প্রায় ১৮ প্রকার এ্যামিনো এসিড।যা খুবই উপারী।
ব্যাবহারঃ-মেডিক্যাল টেক্সটাইল, ফাউন্ডেশন গার্মেন্টস,বাচ্চাদের বিভিন্ন পোশাক তৈরিতে। ইত্যাদি।
এ তো গেল আমাদের মিল্ক ফাইবার এর কথা, তো চলুন জেনে আসি দই এ কি কি থাকে এবং কেন ফাইবার হবে নাকি হবে না।
দই হল এক ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয়া গাঁজন হতে প্রস্তুত করা হয়। ল্যাক্টোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাক্টিক এসিড তৈরি করা হয়, যা দুধে টক সাধ এনে দেয়। দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন B6 এবং ভিটামিন B12 এ অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
যেহেতু গাজন প্রক্রিয়ার দুধ এর কেসিন প্রোটিন ভেঙে যায় এবং ল্যাকটোজ উৎপন্ন হয় তাই দই থেকে ফাইবার উৎপন্ন হবে না।
যেহেতু বগুড়ার, দই বিখ্যাত, দুধ ও দই ওতোপ্রোতো ভাবে জরিত এ এলাকার সাথে। তাই যদি যথাযথ কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেন তবে এই অঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থপন সহ মিল্ক ফাইবার ফ্যাক্টরি স্হাপন করে দেশের অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নেওয়া যেতে পরে।
Writer Info:
Ateeya Jahan Labonno
Dept. Of IP Engineering
NITER
E-Mail:[email protected]