বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় আর এমজি মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে এটা হয়ত সবারই জানা।তবে সম্প্রতি কোভিড – 19 এর জন্য বাংলাদেশের আর এমজি ক্ষেত্র খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের আর এমজি নির্মাতারা সেই ক্ষতি পূরণের পথ খুজে বেড়াচ্ছেন ,যাদের মধ্যে অন্যতম একটি পথ হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ফাইবারের ব্যাবহার ।চলুন তাহলে দেখে আসি বাংলাদেশের আরএমজি নির্মাতারা কিভাবে এই আর্টিফিশিয়াল ফাইবারের দিকে আবর্তিত হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে পলিয়েস্টার এবং ভিস্কস পোশাকের চাহিদা বেশি হওয়ায় বাংলাদেশি স্পিনাররা ম্যান-মেড ফাইবার আমদানি করার পাশাপাশি এর বিনিয়োগ ও বাড়াচ্ছে ।বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে, স্থানীয় স্পিনাররা ৯৯,৩৪৫ টন পলিয়েস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (পিএসএফ) আমদানি করেছে যেখানে এক বছর আগেও কোভিড – 19 এর মহামারীর আগে আমদানি ছিল ৯৬.০৭৭ টন ,অর্থাৎ আমদানি ৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
বর্তমানে, 40 টি স্পিনিং মিলস পিএসএফ ফাইবার আমদানি করছে যেন তারা স্পোর্টসওয়্যারের মতো পোশাক তৈরি করতে পারে । গত কয়েক বছর ধরে ফাইবারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে কটন ফাইবারের বিকল্প ফাইবার হিসাবে ম্যান মেইড ফাইবারের ব্যাবহার করা হচ্ছে । সাধারণ মানুষ রাও এখন ম্যান মেইড ফাইবারের তৈরি পোশাক কিনছেন কেননা এগুলো দীর্ঘস্থায়ী এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য। প্রকৃত অর্থে সিন্থেটিক ফাইবারও এখন কটন ফাইবারের ন্যায় টেকসই পোশাকের শর্ত পূরণ করে। শুধু তাই নয় জেন-জেড ও সেই পণ্যগুলিকে পছন্দ করে যা ব্যাবহারের জন্য সহজ ।স্পিনিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রাথমিক টেক্সটাইল খাতে, ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে প্রায় ৩০% ম্যান মেইড ফাইবারের খাতে বিনিয়োগ হয়েছিল যা কিনা তিন বছর আগের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি ।
রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) বাংলাদেশে প্রবেশের পর থেকে এই শিল্পটি সুতির তৈরি পোশাক আইটেমগুলিতে অত্যন্ত মনোনিবেশিত। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে কটন ফাইবারের ব্যাবহার ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে 0৮.97 শতাংশ ছিল যা বেড়ে ২০১৮-১৯ সালে .৭৪.১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।বিশ্বব্যাপী কটনের তৈরি পোশাক ২০০৭-২০১৭ এর মধ্যে বার্ষিক ০.৫ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে।
বিজিএমইএর রাষ্ট্রপতি রুবানা হক জোর দিয়ে বলেছেন, “যদিও আমরা কটন -ভিত্তিক বাজারের গুরুত্বকে উপেক্ষা করতে পারি না, ম্যান মেইড ফাইবার -ভিত্তিক পোশাকের বাজার যতটা আমাদের পণ্য বৈচিত্র্য এর সাথে সম্পর্কিত ঠিক ততই কৌশলগত তাৎপর্যের সাথেও সম্পর্কিত । আর এই বৈচিত্রময় চ্যালেঞ্জের কারণে স্পিনারদের এই ম্যান মেইড ফাইবারের খাতে বিনিয়োগ করা বেশ চ্যালেঞ্জের।বর্তমানে যদিও ম্যান মেইড ফাইবারের ব্যয় বেড়েছে কারণ গত বছর COVID-19 এর জন্য চীন এবং ভারতে অনেক মিল বন্ধ ছিল।তবু বাংলাদেশের নির্মাতা রা এই খাত কে ব্যাবহার করেই বাংলাদেশের আর এমজি কে আবার সক্রিয় করতে চায় ।
Writer Information:
Nanjib Nawar Khan Nid
BGMEA University Of Fashion & Technology(BUFT)
Department of Textile Engineering