বাজারে নতুন এসেছে পাট পাতার চা। গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে এটি বাজারে ছাড়া হয়েছে। এবার বাণিজ্যিকভাবে ছাড়া হয়েছে। একেবারেই নতুন এ পণ্যটির প্রতি ক্রেতাদের বেশ চাহিদা দেখা গেছে। এবারের বাণিজ্য মেলায় এটি বেশ বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন (বিজেএমসি) এটি বাজারজাত করেছে।
আর গবেষণা করে এ পাট পাতার চা উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট। প্রতি প্যাকেট পাট পাতার চা বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ টাকা করে। রাজধানীর মতিঝিলে বিজেএমসির শোরুমে এ চা পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের তৈরি পাট পাতার এ চা এখন রফতানি হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রচলিত চায়ের বিকল্প হিসেবে পাট পাতার চায়ের চাহিদা এখন বাড়তে শুরু করেছে।
যেভাবে তৈরি করবেন : দুইভাবে পাট পাতার চা তৈরি করা যায়। কেটলি বা পাতিলে পানি গরম করে তার মধ্যে পাটের চা পাতা ঢেলে দিতে হবে। প্রতি এক কাপ চায়ের জন্য চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ পাতা লাগবে। ফুটন্ত পানি পাতা ঢেলে ২ থেকে ৩ মিনিট ফোটালেই তা চা হিসেবে পান করা যাবে।
এছাড়া পানি ফুটিয়ে কাপে ঢেলে এর মধ্যে চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ পাতা ভিজিয়ে রাখতে হবে ৪ থেকে ৫ মিনিট। এর পর চা হিসেবে পান করতে হবে। ডায়বেটিস না থাকলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করা বেশি স্বাস্থ্যকর।
উপকারিতা : গবেষকরা দেখেছেন পাট পাতার পানীয় ডায়বেটিক, ক্যান্সার, পেটের বিভিন্ন পীড়া, আলসার, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ, লিভার সুস্থ রাখতে এবং কিডনির ক্ষয় রোধে কাজ করে। এছাড়া অন্যান্য রোগ প্রতিরোধেও পাট পাতার কোমল পানীয় ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাট পাতার পানীয়র মধ্যে নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। যেগুলো শরীরের বিভিন্ন উপকারে লাগে।
পাট পাতা থেকে যেভাবে চা পাতা: পাট চাষের পর পাট গাছ বড় হলে গাছের আগার দিকের কিছু স্বাস্থ্যকর পাতা ছিঁড়ে মেশিনে শুকিয়ে সেগুলো গুঁড়া করে চা পাতার উপযোগী করা হয়। পরে সেগুলো সুদৃশ্য প্যাকেটে ভর্তি করে বাজারজাত করা হয়। পাট মৌসুমের শুরু থেকে শেষ হওয়ার আগে এগুলো করা হয়।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর